অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিডি অটোকার্সের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নিয়ে লুকোচুরি খেলা চলছে। কোম্পানির পক্ষ থেকে মূল্য সংবেদনশীল এই তথ্য ডিএসইকে জানানো হলেও ডিএসইর ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করা হচ্ছে না। অথচ আইন অনুযায়ী কোম্পানির মূল্য সংবেদনশীল তথ্য স্টক একচেঞ্জগুলোকে জানানোর আধা ঘন্টার মধ্যে তা ওয়েবসাইটে জানানোর কথা। তবে ডিএসইর সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, ডিএসইতে কোম্পানির পাঠানো এই তথ্য মূল্য সংবেদনশীল তথ্যের মধ্যে পড়ে না। যার কারণে ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, বিডি অটোকার্সের তাদের কাছে প্রাপ্ত বেলিজিংয়ের অর্থ পরিশোধ করেছে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ এ অর্থ পরিশোধ করে।
কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, বিডি অটোকার্স তিনটি মেশিন ক্রয় করার জন্য বেলিজিং হতে ঋণ নিয়েছিল, যার প্রতি কিস্তি ছিল ১২ লাখ ৭৬ হাজার ৯৩৫ টাকা। সম্প্রতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের শেষ কিস্তির অর্থ পরিশোধের মধ্যে দিয়ে বেলিজিংয়ের সঙ্গে করা ১৭৫০ নম্বার চুক্তির সর্ব অর্থ পরিশোধ করা হয়। সূত্র জানায় সামনে প্রতিষ্ঠানটির নতুন পরিকল্পনা রয়েছে, যা পরবর্তী পরিচালনা পষর্দের সভার পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ তিন কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আর এ মূলধনের বিপরীতে কোম্পানিটির দুই কোটি ৭৯ লাখ টাকার ঋণাত্মক রিজার্ভ রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির মোট শেয়ারের মধ্যে ৫৪ দশমিক ২৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। এছাড়া ৩৮ দশমিক ২৫ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছেন পরিচালকরা। বাকি সাত দশমিক ৪৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে।
বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে এ প্রতিষ্ঠানটি। গত দুই মাস ধরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি শেয়ার ৩৫৮ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়। গত এক বছরের মধ্যে এ শেয়ার নি¤œ ৯৯ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪৯০ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়।
আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিডি অটোকারস ২০১২-১৩ অর্থবছর পর্যন্ত লোকসানে ছিল। এরপরে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মুনাফায় ফিরে। তবে ওই বছরে শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয় মাত্র দশমিক শূন্য ছয় টাকা, যা পরবর্তীতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দশমিক ৩৫ টাকা, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দশমিক ৪১ টাকা ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দশমিক ৯৫ টাকা ইপিএস হয়। চলতি অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে দশমিক ৮৩ টাকা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ভাল-মন্দ যাই হোক কোম্পানির পাঠানো তথ্য স্টক একচেঞ্জগুলোর সংবাদ আকারে প্রকাশ করা উচিত। এতে বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য পাবেন। এছাড়া কোম্পানির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল থাকবে। তবে পাঠানো তথ্যের বিশেষ কোন গুরুত্ব আছে কিনা সেটা অবশ্যই দেখা উচিত।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: