ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কোহলির কিংবদন্তি হতে আর বেশি দেরি নেই ॥ ধোনি

প্রকাশিত: ২১:০১, ৮ আগস্ট ২০১৮

কোহলির কিংবদন্তি হতে আর বেশি দেরি নেই ॥ ধোনি

অনলাইন ডেস্ক ॥ তিনি নিজে ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি। তাঁর সাফল্যের তালিকা দেশের যে কোনও তারকা ক্রিকেটারের কাছে ঈর্ষণীয়। সেই মহেন্দ্র সিংহ ধোনিই যখন নতুন এক কিংবদন্তি দেখতে পাচ্ছেন বিরাট কোহালির মধ্যে, তখন তা বাস্তব হতে কতক্ষণ? প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের মতে, ‘‘বিরাট কোহলিই সেরা। ও এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, যেখান থেকে কিংবদন্তি হতে আর বেশি দেরি নেই।’’ ভারতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক যে দলের অন্যান্য ক্রিকেটারদের চেয়ে অনেক এগিয়ে, তা বোঝা গিয়েছে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সদ্যসমাপ্ত প্রথম টেস্টেই। যেখানে তিনি একা লড়াই করে গেলেও অন্যরা তাঁর ধারেকাছে যাওয়ার মতো পারফরম্যান্সও দেখাতে পারেননি। এর আগে যে ইংল্যান্ড ছিল বিরাটের বড় গাঁট, সেই দেশে এ বার সফরের শুরু থেকেই বুঝিয়ে দিতে শুরু করলেন, তিনিই সেরা। তাঁর এই ধারাবাহিক সাফল্যে মুগ্ধ ধোনি এক বাণিজ্যিক প্রচার অনুষ্ঠানে এসে বললেন, ‘‘গত কয়েক বছরে ও যে ভাবে প্রায় সব দেশেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে, তা অসাধারণ।’’ ধোনির নেতৃত্বেই খেলা শুরু যে কোহলির, সেই কোহালি আজ বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান। এজবাস্টনে নিজের পারফরম্যান্সে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা নিয়ে ধোনি বলেন, ‘‘ও দলটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। একজন নেতার সবচেয়ে বড় গুণ তো এটাই। ওর প্রতি শুভেচ্ছা রইল।’’ বিরাট যতই ভারতীয় ক্রিকেটকে শাসন করুন, ধোনিকে নিয়ে চর্চার শেষ নেই। তিনি আর কত দিন ভারতীয় ক্রিকেটে রয়েছেন, তা নিয়ে সম্প্রতি বিস্তর জল্পনা শুরু হয়েছিল সারা বিশ্ব জুড়ে। যখন টিভিতে দেখা যায়, ইংল্যান্ডে ওয়ান ডে সিরিজের শেষ ম্যাচে তিনি আম্পায়ারের কাছ থেকে বল চেয়ে নেন। তবে ধোনি এই অনুষ্ঠানে সাফ জানিয়ে দেন, ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে তিনি কোথাও যাচ্ছেন না। এবং তার প্রস্তুতিও নাকি তিনি শুরু করে দিয়েছেন। বলেন, ‘‘কেন রিভার্স সুইং হচ্ছিল না, তা দেখতেই আমি সে দিন বলটা চেয়ে নিয়েছিলাম আম্পায়ারের কাছ থেকে,’’ ব্যাখ্যা দেন ধোনি। কারণ, আমাদের এই ইংল্যান্ডেই বিশ্বকাপ খেলতে হবে। ওখানে আমাদের রিভার্স সুইং পেতে হবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খেলার পরে তো এই বলের কোনও দাম থাকে না। তাই আম্পায়ারদের কাছ থেকে বলটা নিয়ে আমাদের বোলিং কোচকে দিই।’’ রিভার্স সুইং পেতে যে বল কী ভাবে তৈরি করে নিতে হবে, সেটা বুঝতেই বলটা নিয়েছিলেন বলে জানান ধোনি। বলেন, ‘‘এই বলে রিভার্স সুইং পেতে হবে কী ভাবে, সেটাই বুঝতে হবে। এতে আমাদের পেসাররা উপকার পাবে। ৪০ ওভার নাগাদ ইয়র্কার দিয়ে উইকেট তুলতে পারবে। যাতে শেষ দশ ওভারে বিপক্ষ বেশি রান না তুলতে পারে।’’ এজবাস্টনে প্রথম টেস্টে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা তাঁকে দেখতে হয়েছে। তবে বোলারদের উপর যথেষ্ট আস্থা রয়েছে ধোনির। বলেন, ‘‘টেস্ট জিততে কুড়িটা উইকেট নিতে হয়। সেটা তো আমরা নিয়েছিলাম। এই প্রশ্নে এটাই আমার উত্তর। কত ভাল ব্যাট করলে বা পাঁচ দিন ধরে টিকে রইলে কি না, তার চেয়েও বড় কথা কুড়ি উইকেট নিতে পারছ কি না। এতেই একটা টেস্ট জেতা সম্ভব।’’ হয়তো বলতে চাইলেন, বোলাররা যখন কুড়ি উইকেট নিতে পারছেন, তখন জয়ে ফেরা সম্ভব। ধোনির মতোই এখন বিখ্যাত তাঁর মেয়ে জিভা। প্রায়ই বাবার সঙ্গে নানা ম্যাচে ও অনুষ্ঠানে দেখা যায় প্রাণোচ্ছল ধোনি-কন্যাকে। গর্বিত বাবা বলেন, ‘‘আমি যেখানেই যাই, সবাই জিজ্ঞেস করে জিভা কেমন আছে? ও প্রাণশক্তিতে ভরপুর। এ রকম একজন সব সময় কাছে থাকলে তার চেয়ে ভাল আর কিছু হয় না। তিন-সাড়ে তিন বছর বয়সেই এখন একটা চরিত্র জিভা। যে জীবনে অনেক চাপ কমিয়ে দিতে পারে।’’ মেয়েই হয়তো এখন ধোনির বিশ্বকাপ জয়ের ইচ্ছা জাগিয়ে রেখেছে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×