ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

লর্ডসেও ভারতীয় দলে থাকবে পাঁচ বোলার

প্রকাশিত: ২১:২৮, ৮ আগস্ট ২০১৮

লর্ডসেও ভারতীয় দলে থাকবে পাঁচ বোলার

অনলাইন ডেস্ক ॥ লর্ডস টেস্টে ভারতীয় দলের প্রথম এগারো কী হতে পারে, তা নিয়ে অনেক আলোচনাই চলছে। সুনীল গাওস্করের মতো কিংবদন্তি মনে করছেন, একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলালে ভালই হবে ভারতের। কিন্তু ভারতীয় দল পরিচালন সমিতি কী ভাবছে? দলের বোলিং কোচ বি.অরুণের কথা যদি কোনও ইঙ্গিত হয়, তবে পরিষ্কার, ভারতীয় শিবির একজন বোলার কমিয়ে বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলানোর পক্ষপাতী নয়। ভারত মনে করছে, একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলানোটা খুব বেশি রক্ষণশীলতার পরিচয় হয়ে যাবে। মঙ্গলবার লর্ডসে সাংবাদিকদের অরুণ বলেন, ‘‘লর্ডসে একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলানোটা রক্ষণশীলতার পরিচয় হয়ে যাবে। উইকেট কেমন হচ্ছে, সেটা দেখতে হবে। আমার মনে হয়, এখানকার পিচ এজবাস্টনের মতো হবে না। এখানে পাঁচ বোলার খেলানোই কাজের কাজ হবে।’’ কী রকম হতে পারে লর্ডসের বাইশ গজ? আপাতত যা ইঙ্গিত, তাতে দেখা যাচ্ছে, পিচ একটু শুকনো থাকতে পারে। তা হলে কি দ্বিতীয় স্পিনার খেলানোর কথা ভাবছে ভারত? অরুণ জানাচ্ছেন, আরও একটা দিন দেখে প্রথম একাদশ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বোলিং কোচের মন্তব্য, ‘‘আমরা পিচটা আরও দেখতে চাই। এজবাস্টনে আমাদের বোলাররা খুব ভাল বল করেছে। তাই একমাত্র পিচ যদি অন্য রকম কিছু হয়, তা হলেই রণনীতি বদলানোর কথা ভাবা যেতে পারে।’’ দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকেই অবশ্য ভারতীয় বোলাররা যথেষ্ট ভাল বল করে আসছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট ধরলে পর পর চারটে টেস্টে ভারতীয় বোলাররা বিপক্ষকে দু’ইনিংসেই অল আউট করেছেন। তবে সমস্যায় পড়েছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। এজবাস্টনে দেখা গিয়েছে, ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা অনেকটা করে ফ্রন্টফুটে চলে আসছেন ইংল্যান্ড পেসারদের সুইং সামলাতে। অরুণ অবশ্য এতে কোনও সমস্যা দেখছেন না। তাঁর মন্তব্য, ‘‘এজবাস্টন টেস্টের মতো প্র্যাক্টিস ম্যাচেও আমাদের ব্যাটসম্যানরা অনেকটা করে ফ্রন্টফুটে এসে খেলেছে। এর কারণ একটাই। সুইংটাকে সামলানো। অনেকটা ফ্রন্টফুটে চলে এলে বল বেশি সুইং করার আগেই সেটা খেলা যায়। বলের আরও কাছে যাওয়া যায়। আমাদের ব্যাটসম্যানরা মনে করছে, ফ্রন্টফুটে এলে শট খেলার জন্য অনেক বিকল্প হাতে থাকে। ব্যাকফুটে আটকে গেলে সেটা হয় না।’’ বাড়তি স্পিনার খেললে, কুলদীপ যাদব বা রবীন্দ্র জাডেজার মধ্যে কে খেলবেন, সে ব্যাপারে পরিষ্কার করে কিছু বলেননি অরুণ। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমাদের হাতে যে বিকল্প আছে, সেটাই দারুণ ব্যাপার। এদের দু’জনের মধ্যে থেকে কোনও একজনকে বাছাটাও কঠিন কাজ। আবার বলছি, পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’’ কোনও কোনও বিশেষজ্ঞ এও বলেছেন, হার্দিককে লর্ডস টেস্টে বসানো হোক। এজবাস্টন টেস্টে মাত্র ১০ ওভার বল করেছিলেন হার্দিক। যার পরে এই দাবি জোরালো হয়েছে। মাইকেল হোল্ডিংয়ের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটার তো বলেছেন, হার্দিকের জায়গায় চেতেশ্বর পূজারাকে খেলানো হোক। হার্দিক প্রসঙ্গে অরুণ বলছেন, ‘‘হার্দিক যত কম বল করে ততই তো ভাল। তার মানে আমাদের প্রথম সারির বোলাররা খুব ভাল বল করছে। যে জন্য হার্দিককে বেশি বলই করতে হচ্ছে না। তবে এটা ভুলবেন না, দক্ষিণ আফ্রিকায় হার্দিক খুব ভাল খেলেছিল। ইংল্যান্ডেও সেই পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি না ঘটানোর কারণ নেই।’’ কারও কারও মতে, প্রথম টেস্টে উমেশ যাদবকে খুব নিষ্প্রভ লেগেছে। এমনকি প্রথম ইনিংসে লাইন-লেংথও ঠিক ছিল না এই পেসারের। বোলিং কোচ অবশ্য তাঁর ছাত্রের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন। অরুণের মন্তব্য, ‘‘উমেশ সেরা ছন্দে থাকে যখন ও ভাল গতিতে বল করে। দ্বিতীয় ইনিংসে যেটা আমরা দেখেছি।’’ সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×