ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সৌদি আরব থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানি

প্রকাশিত: ০৩:৩৭, ৮ আগস্ট ২০১৮

সৌদি আরব থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সৌদি আরব থেকে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ১ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া, ডিএপি ও এমওপি সার আমদানি করবে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩৪৪ কোটি ২২ লাখ টাকা। বুধবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত পাঁচটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণলয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) চুক্তি মোতাবেক শিল্প মন্ত্রণালয়কে ৫ লাখ ৫০ হাজার টন ইউরিয়া সার সরবরাহের মধ্যে প্রথম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৬৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের মা আদিন থেকে ২৫ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৬৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এছাড়া বেলারুশ পটাশ কোম্পানি থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক এমওপি সার আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৬৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমাদানি কা হবে। এতে ব্যয় হবে ৬৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনোমিক অ্যাসোসিয়েশন প্রডিনটর্গ থেকে ৩০ হাজার টন এমওপি সার আমদানি করবে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। এতে ব্যয় হবে ৬৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এছাড়াও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের জন্য ৪৬৩ কোটি ২৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকায় ২ লাখ ১৭ হাজার ৫৬৩টি স্পান প্রিস্ট্রিসড কনক্রিট পোল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেড (ইউএফএফএল) ও পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেডের (পিইউএফএফএল) ব্যবহৃত গ্যাস দিয়ে পিইউএফএফএল এর খালি জায়গায় নতুন, আধুনিক, শক্তি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে অর্থায়নকারীর সঙ্গে চুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১ হাজার ২৫ দশমিক ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
×