ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কবিতা

প্রকাশিত: ০৭:৫৮, ১০ আগস্ট ২০১৮

কবিতা

সেদিন অন্ধকারে মুখ ঢাকে বাংলাদেশ সোহরাব পাশা ৩২ নম্বর ধানম-ি থেকে শোকার্ত বাতাস সেদিন তুমুল বয়ে যায় দিগন্তের পান্ত ছুঁয়ে পৃথিবীর রুদ্ধ জানালায়, দীর্ঘ বেদনার চেয়ে ভারি তার গহিন শূন্যতা তীব্রদাহে পুড়ে যায় স্বপ্নদিন আলো বুননের, পুড়ে যায় গন্তব্যের দ্যুতিময় বাসনার ঘর টিয়ে পাখির উড়াল; ছিঁড়ে যায় প্রিয় বন্ধনের নীলসুতো বিহঙ্গ ডানার মতো মুক্তির বিশ্বাস, কাপালিক মেঘ; ঝড়ে ঢেকে যায় উজ্জ্বল দুপুর সকাল ওঠে না আর গোলাপি রোদ্দুর ভোরের মেয়েরা দিব্যি ভুলে যায় শিউলি কুড়োতে মরা ডালে বসে ঝিমোয় বিষণœ কাক; গাঢ় অন্ধকারে মুখ ঢাকে বাংলাদেশ; অতঃপর সেই আঁধারে সমুদ্র তীরে নির্ভীক দাঁড়িয়ে একা জ্বালালেন আলোর মশাল বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী সেই থেকে আজ আলোকিত বাংলাদেশ; ** বন্দি মুজিব জাফর ওয়াজেদ বন্দি মুজিব, মুক্তি চেয়ে ডাক দিয়েছেন ভাই তোফায়েল বাংলা মায়ের দামাল ছেলে সেই ডাকেতে ছুটেই গেল আমরা কী আর ঘুমুতে পারি, ডাক এসেছে বাধভাঙ্গার বারুদ মাখা রাজপথেতেই শপথ নিলাম রক্তে রাঙ্গার জেলের তালা ভাঙতে গেলে বুকে অনেক বল লাগে সেই সাহসে সারা বাংলায় ছাত্র-শ্রমিক যৌথ জাগে পদ্মা মেঘনা যমুনা হয়ে ঠিকানা তখন বুড়িগঙ্গা ঢাকা না পি-ি-সিদ্ধান্তে নামল নিশান ত্রিরঙ্গা আমরা তখন শেখ মুজিবের মুক্তি চেয়ে দ"প্ত লড়ি আমরা তখন তোফায়েলের নির্দেশনায় সাহস গড়ি কারাগারের বন্দীখানায় শ"ড়খলিত সাত কোটি প্রাণ তোফায়েলের ডাকে হলো গরাদ ভেঙেই খান খান জেলের তালা ভেঙেছি-মুক্তপ্রাণে শেখ মুজিবকে এনেছি কে এনেছে কে এনেছে-রক্ত ঢেলে সে কথাটা বলে গেছি সাী আছে বাংলার মাটি-সাী ঢাকার সড়ক ব" জনপদ হ্যামিলনের বংশী হাতেই এসেছিলেন তোফায়েল আহমদ। ** বন্দি মুজিব জাফর ওয়াজেদ বন্দি মুজিব, মুক্তি চেয়ে ডাক দিয়েছেন ভাই তোফায়েল বাংলা মায়ের দামাল ছেলে সেই ডাকেতে ছুটেই গেল আমরা কী আর ঘুমুতে পারি, ডাক এসেছে বাধভাঙ্গার বারুদ মাখা রাজপথেতেই শপথ নিলাম রক্তে রাঙ্গার জেলের তালা ভাঙতে গেলে বুকে অনেক বল লাগে সেই সাহসে সারা বাংলায় ছাত্র-শ্রমিক যৌথ জাগে পদ্মা মেঘনা যমুনা হয়ে ঠিকানা তখন বুড়িগঙ্গা ঢাকা না পি-ি-সিদ্ধান্তে নামল নিশান ত্রিরঙ্গা আমরা তখন শেখ মুজিবের মুক্তি চেয়ে দ"প্ত লড়ি আমরা তখন তোফায়েলের নির্দেশনায় সাহস গড়ি কারাগারের বন্দীখানায় শ"ড়খলিত সাত কোটি প্রাণ তোফায়েলের ডাকে হলো গরাদ ভেঙেই খান খান জেলের তালা ভেঙেছি-মুক্তপ্রাণে শেখ মুজিবকে এনেছি কে এনেছে কে এনেছে-রক্ত ঢেলে সে কথাটা বলে গেছি সাী আছে বাংলার মাটি-সাী ঢাকার সড়ক ব" জনপদ হ্যামিলনের বংশী হাতেই এসেছিলেন তোফায়েল আহমদ। ** অন্যায়বিলাস মারুফ রায়হান বাতাস বাতলে দিল মানুষের অন্যায়বিলাস কোন জাদুকর মুঠো খুলে ছড়ায় বাতিল তাস! মাড়িয়ে এসেছে রক্ত- অনিচ্ছায়- চলেছে ভাগাড়ে চেপে রাখা দীর্ঘশ্বাস তার পড়ছে আমার ঘাড়ে বিষ পুষ্পগন্ধ রাখে জমা সম উদাসীনতায় তার থেকে শ্বাস টেনে তাজা থাকছি ঘোর ঊনতায় টলে যাচ্ছে নষ্টনীড় বহুতল সাম্রাজ্য ভোগের বাতাসই সামাল দিচ্ছে যত খেলা যোগ-বিয়োগের আজো কারা সুধা ঢালে নিষ্ঠাভরে বাতাসের কানে দমবন্ধ বায়ুহীন ঘর ভরে দেয় গানে গানে বাতাস পাঠালো ভোরবেলা মৃদুমন্দ খোলা হাওয়া আমরাও হয়ে উঠি মৃত্যুঞ্জয় আদম আর হাওয়া ** ক্ষুদিরামের রক্তাক্ত দেহ মিলু শামস তুরস্কের কবি নাজিম হিকমত বলেছিলেন- বিংশ শতাব্দীতে মানুষের শোকের আয়ু বড়জোর এক বছর; একবিংশতে তার দৈর্ঘ্য আশঙ্কাজনকভাবে কমলেও হিকমত, আপনি জানবেন- শোকের হয়েছে নানা মাত্রিক বহির্প্রকাশ সংজ্ঞাও বদলেছে এর। ‘ইনফিনিটি জ্যাস্টিস’ওয়ালাদের বাঁধভাঙা শোকের কথা আপনি জানেন তাদের শোকের দৈর্ঘ্য প্রস্থ এবং গভীরতা পরিমাপে হিমশিম খেয়েছে দজলা ফোরাত। শোক প্রকাশের এ প্রকরণের সঙ্গে আপনার পরিচয় ছিল জানি আপনিও ছিলেন এ জাতীয় শোকের শিকার; এদেশে এমন শোক উদযাপিত হয় এখনও তারকাখচিত আইকনেরা বোঁ করে সশ্রদ্ধ প্রকাশ করেন তা। তবে শোকের যে নাম প্রতিবাদ তাও আছে এখানে ছাইচাপা আগুন সে শোকেরা বাক্সময় হয় রাষ্ট্রের শৈল্পিক রোলারের আঁচড়ে। নাজিম হিকমত, একুশ শতকে শোকের সংজ্ঞা বদলালেও বদলায়নি প্রতিবাদের সংজ্ঞা; বিচারক উডম্যানদের চেহারা ও চরিত্র আছে অভিন্ন ক্ষুদিরাম বসু রাজপথে হেঁটে গেলে আজও রুমাল ওড়ায় তারা সহিংস উল্লাসে।
×