ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টুকরো খবর

প্রকাশিত: ০৭:০২, ১২ আগস্ট ২০১৮

টুকরো খবর

সুইস ব্যাংক ॥ সুমন্ত গুপ্ত সারা দুনিয়ার ধনী এবং বিখ্যাত লোকজন তাদের টাকা রাখার জন্য সুইস ব্যাংককে প্রথমেই বেছে নেন। একজন ডাক্তার বা আইনজীবী যেভাবে তার রোগী বা মক্কেলের গোপনীয়তা বজায় রাখেন ঠিক সেভাবেই একজন সুইস ব্যাংকার তার গ্রাহকের কোন তথ্য কাউকে দিতে বাধ্য নন, এটা রীতিমত নীতি এবং আইনবিরুদ্ধ। ঠিক এ কারণেই সুইটজারল্যান্ড হয়ে উঠেছে বিশ্বের ব্যাংকিং সেবার এক বড় কেন্দ্র। তাই দুনিয়ার ধনী এবং বিখ্যাত লোকজন তাদের টাকা রাখার জন্য সুইস ব্যাংককে প্রথমেই বেছে নেন। তিন শ’র উপরে ব্যাংক এবং আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান আছে সুইজারল্যান্ডে । এর মধ্যে সবচেয়ে বড় দুটি ব্যাংক হচ্ছে ক্রেডিট সুইস এবং ইউবিএস। ‘সুইস’ শব্দটি এসেছে ‘সুইজারল্যান্ড’ থেকে। সহজ করে বললে, সুইস ব্যাংক বলতে সুইজারল্যান্ডের কোন ব্যাংককে বোঝায়। সুইস ব্যাংক বলতে আসলে কোন একটি নির্দিষ্ট ব্যাংককে বোঝানো হয় না। বরং, এর মাধ্যমে একটি ব্যাংকিং নেটওয়ার্ককে নির্দেশ করা হয়। বাংলাদেশী ব্যাংক বলতে আপনি যা বোঝেন, সুইস ব্যাংকও সেটারই অনুরূপ। এটি হলো সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত একটি সমষ্টিগত অর্থনৈতিক সেবা। একত্রিত হওয়ার আগে, এই ব্যাংকটি ছিল সুইজারল্যান্ডের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাংক যার সম্পদ ছিল ৩০০ বিলিয়ন সুইস ফ্রাংকের বেশি এবং ইকুইটি ১১.৭ বিলিয়ন সুইস ফ্রাংক। নব্বইয়ের দশকে, সুইস ব্যাংক বড়সড় ক্রমবিকাশের উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়। সুইস প্রতিযোগী ক্রেডিট সুইসের সঙ্গে পাল্লা দিতে এই ব্যাংক প্রথাগত বাণিজ্যিক ব্যাংকিং থেকে বিনিয়োগ ব্যাংকিংয়ের দিকে দৃষ্টি দেয়। কৌশলের অংশ হিসেবে, ১৯৯০ এর দশকে এই ব্যাংক যুক্ত্ররাষ্ট্র ভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যাংক ডিলোন রিড এ্যান্ড কোঃ এবং লন্ডনভিত্তিক বণিক ব্যাংক এসজি ওয়ারবার্গকে অধিগ্রহণ করে। শিকাগো ভিত্তিক ব্রিন্সন পার্টনারস এবং ও’কনর এ্যান্ড এ্যাসোসিয়েটসকেও অধিগ্রহণ করে। এই অধিগ্রহণগুলো বৈশ্বিক বিনিয়োগ ব্যাংকিং ব্যবসার ভিত্তি স্থাপন করে। ১৯৯৮ সালে, সুইস ব্যাংক ইউনিয়ন ব্যাংক অব সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে একীভূত হয়ে ইউবিএস গঠন করে, যেটি ছিল ইউরোপের সবচেয়ে বড় এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংক। এই কোম্পানির লোগোতে তিনটি চাবি আছে, যেগুলো আত্মবিশ্বাস, নিরাপত্তা এবং সুবিবেচনার প্রতীক। লোগোটি ১৯৯৮ সালের একীভূত হওয়ার পরে গৃহীত হয়। যদিও এই দুই ব্যাংকের সম্মীলন হওয়ার পর এদের অবদানকে একসঙ্গে সমানভাবে বিবেচনা করা হতো, তবে ব্যবস্থাপনার দৃষ্টি থেকে দেখলে শীঘ্রই প্রমাণ পাওয়া যায়, সুইস ব্যাংক ইউনিয়ন ব্যাংক অব সুইজারল্যান্ডকে দখল করে নিচ্ছিল। কেননা, এই সম্মিলিত ব্যাংকের শতকরা ৮০ ভাগের মতো প্রথম সারির ব্যবস্থাপক পদ সুইস ব্যাংক চাকরিজীবীদের উত্তরসূরি দিয়ে পূর্ণ। বর্তমানে, এই ব্যাংক যা পূর্বে সুইস ব্যাংক হিসেবে পরিচিত ছিল, এটি ইউনিয়ন ব্যাংক অব সুইজারল্যান্ডের অনেক ব্যবসার ভিত্তি তৈরি করেছে। উদাহরণস্বরূপ ইউবিএস ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক। সুইজারল্যান্ডের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে অত্যন্ত গোপনে টাকা রাখা হয়। কোন ব্যাংক কর্মকর্তা ইচ্ছা করলেও ওই ব্যক্তির পূর্ণাঙ্গ পরিচয় জানতে পারেন না। এসব তথ্য থাকে গুটিকয় কর্মকর্তার হাতে। ফলে ওসব কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ গ্রাহকদের পরিচিতি সম্পর্কে কোন কিছুই জানেন না। শুধু একটি কোড নম্বর ও পাসওয়ার্ডের ভিত্তিতে চলে ব্যাংকিং লেনদেন। জরুরী প্রয়োজন হলে গ্রাহকদের সন্ধান করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংক টানা পাঁচ বছর বৃদ্ধির পর সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশী নাগরিকদের আমানত কমেছে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশীদের জমার পরিমাণ ৪৮ কোটি ১৩ লাখ সুইস ফ্রাঁ, বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের অর্থের পরিমাণ ছিল ৬৬ কোটি ১৯ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা ৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা। গত জুন মাসে সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে এসে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের আমানত কমেছে দেড় হাজার কোটি টাকা। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশীদের মতোই পাকিস্তানীদের জমাকৃত আমানত কমেছে। তবে ভারতীয়দের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ বেড়েছে সুইস ব্যাংকে। প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সাল শেষে সুইস ব্যাংক পাকিস্তানীদের জমাকৃত আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১০ কোটি ৭ লাখ সুইস ফ্রাঁ। ২০১৬ সাল শেষে ওই ব্যাংকগুলোয় পাকিস্তানীদের ১৩৮ কোটি ৬৬ লাখ সুইস ফ্রাঁ জমা ছিল। সে হিসেবে বিদায়ী বছরে সুইস ব্যাংকে পাকিস্তানীদের জমাকৃত আমানত কমেছে ২৮ কোটি ৫৯ লাখ সুইস ফ্রাঁ। গত বছর সুইস ব্যাংকগুলোয় পাকিস্তানীদের আমানত কমলেও ভারতীয়দের ৩৩ কোটি ৪২ লাখ সুইস ফ্রাঁ বেড়েছে। ২০১৭ সাল শেষে সুইস ব্যাংকগুলোয় ভারতীয়দের জমাকৃত অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৯ কোটি ৯০ লাখ সুইস ফ্রাঁ। ২০১৬ সাল শেষে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোয় ভারতীয়দের জমাকৃত অর্থ ছিল ৬৬ কোটি ৪৮ লাখ সুইস ফ্রাঁ। এসএনবির বার্ষিক প্রতিবেদনে দেশভিত্তিক জমাকৃত আমানতের পরিমাণ উল্লেখ থাকলেও গ্রাহকদের বিষয়ে কোন তথ্য দেয়া হয়নি। কয়েক বছর ধরে দেশভিত্তিক আমানতের পরিমাণ প্রকাশ করে আসছে এসএনবি। বরাবরের মতোই গ্রাহকদের বিষয়ে গোপনীয়তা রক্ষা করেছে ব্যাংকটি। তবে সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষণা অনুযায়ী, কোন বাংলাদেশী নাগরিকত্ব গোপন করে অর্থ জমা রাখলে ওই অর্থ এ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত নয়। গচ্ছিত স্বর্ণ বা মূল্যবান সামগ্রীর আর্থিক মূল্যমানও হিসাব করা হয়নি প্রতিবেদনে। . বিনিয়োগ বান্ধব মুদ্রানীতি ॥ জলি রহমান দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় মুদ্রানীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে। এক্ষেত্রে দারিদ্র্য বিমোচন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর মতো সামষ্টিক লক্ষ্যমাত্রাসমূহ বিবেচনায় রাখা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষণে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা অনিশ্চিত হলেও বাংলাদেশের বাণিজ্যের প্রধান অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। এই পরিবর্তন বাংলাদেশের মুদ্রানীতির রূপরেখা তৈরিতে প্রভাব ফেলেছে প্রধানত মূল্যস্ফীতির চাপ নিয়ন্ত্রণ, সাধারণ ভোগ্যপণ্যের দামস্তর বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্যের উর্ধগতিকে গুরুত্ব দিয়ে মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা। মুদ্রানীতির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে অর্থনীতির অস্থিতিশীলতা মোকাবেলা করা হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দেশে যেখানে বিপুলসংখ্যক মানুষের বাস সেখানে খাদ্যদ্রব্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনী বছরে টাকার সরবরাহ বেড়ে যাবে। এ জন্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতি সংযত ধরনের হয়েছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ৭.৮ শতাংশ ধরা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের (২০১৮-১৯) প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ফজলে কবির। মুদ্রানীতিতে বেসরকারী খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ। সরকারী ঋণের প্রাক্কলন করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ শতাংশ। এ ছাড়াও অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ। ঘোষিত মুদ্রানীতি পুঁজিবাজার সম্প্রসারণ তথা সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। এ জন্য ডিএসইর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। মুদ্রানীতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সমর্থনের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের সম্প্রসারণ তথা সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। মুদ্রানীতিতে তারল্য প্রবাহ উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থিক স্থিতিবস্থার সহায়তার প্রতি জোর দেয়া হয়েছে। ডিএসইর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি চীনের কনসোর্টিয়াম সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ও শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী হয়েছে। এর ফলে পুঁজিবাজারের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। এছাড়াও প্রবৃদ্ধির ভারসাম্যের জন্য বন্ড মার্কেটকে আরও বৃহত্তর ভূমিকা রাখতে হবে যা বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং প্রবৃদ্ধির গতিপথকে উন্নিত করবে। সদ্য সমাপ্ত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে জুন পর্যন্ত বেসরকারী খাতে ঋণপ্রবাহ ধরা হয়েছিল ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ। যা প্রথমার্ধে ছিল ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ। এছাড়া মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৬ শতাংশ। আগে ছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। আর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৪ শতাংশ ধরা হয়। যা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। চলতি বছরে জাতীয় নির্বাচনের কারণে কালো টাকার প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বাজারে নগদ অর্থের প্রবাহে লাগাম টানার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল গত অর্থবছরের (জানুয়ারি-জুন) দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিবছর ২ বার মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করে থাকে। একটি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জুলাই মাসে এবং অন্যটি জানুয়ারি মাসে। সাধারণত মুদ্রার গতিবিধি প্রক্ষেপণ করে এই মুদ্রানীতি। মুদ্রানীতির অন্যতম কাজগুলো হলো- অভ্যন্তরীণ ঋণ, মুদ্রা সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে এর একটি পরিকল্পনা তুলে ধরা। বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতির আলোকে কর্মসূচী বাস্তবায়নে যেসব নীতিগত পদক্ষেপ নিয়ে থাকে তা হলো, উৎপাদনশীল বিনিয়োগে ব্যক্তিগত ঋণ বৃদ্ধির সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো, বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকের জন্য তারল্য বৃদ্ধি নিশ্চিত করবে যাতে উৎপাদনশীল খাতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত না হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার মনিটর করবে যাতে এই হারের বৃদ্ধি একমাত্র এসএমই ছাড়া অন্য খাতে ৫ শতাংশের নিচে থাকে, ভবিষ্যতে নতুন বহিঃখাতের সঙ্গে লেনদেন ভারসাম্য রক্ষার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি চাহিদা যৌক্তিকরণ করবে। দেশের সঞ্চয় যাতে দরিদ্রবান্ধব হয় সেই অনুযায়ী প্রবৃদ্ধি কৌশল বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যংক কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে। . প্রবাসী আয় চলতি অর্থবছরের (২০১৮-১৯) প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৩১ কোটি ৭০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত বছরের জুলাইয়ে যা ছিল ১১১ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরে একই সময়ের চেয়ে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে ১৮ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। বিদায়ী অর্থবছরের শেষ মাস জুনে প্রবাসী আয় আসে ১৩৮ কোটি ২০ লাখ ডলার। অর্থাৎ জুনের চেয়ে জুলাইয়ে প্রবাসী আয় আসার পরিমাণ কমেছে। রোজা ও ঈদ সামনে রেখে গত অর্থবছরের শেষ দুই মাস মে ও জুনে বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। মে মাসে এসেছিল ১৪৮ কোটি ১৮ ডলার। জুলাইয়ে ১৩১ কোটি ৭০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, সদ্য শেষ হওয়া ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশে মোট প্রবাসী আয় এসেছিল ১ হাজার ২৭৭ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত তিন অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ৫৩১ কোটি ডলার, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে যা ছিল ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার।
×