ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিরঞ্জন রায়

বঙ্গবন্ধুর খুনী নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ১৩ আগস্ট ২০১৮

বঙ্গবন্ধুর খুনী নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ

পর্ব-১ ॥ আগস্ট মাস এলেই আমাদের মতো কানাডা প্রবাসীদের ক্ষোভ, দুঃখ ও ঘৃণা বেড়ে যায়, কেননা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী নূর চৌধুরীও কানাডার টরনটো শহরে আমাদের পাশাপাশি বাস করছে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় অবৈধভাবে অধিষ্ঠিত হয়েছিল তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এবং পৃষ্ঠপোষকতায় এসব খুনী শুধু যে পুরস্কৃত হয়েছে তাই নয়, তারা দেশের অভ্যন্তরে থেকে রাজনীতি করার নামে নানারকম আস্ফালনও শুরু করেছিল। তারা প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কথা স্বীকার করে বক্তব্য তো দিয়েছেই, এমনকি আওয়ামী লীগ এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তারা নানারকম হুমকি-ধমকি দিয়ে গেছে ক্রমাগত। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে তারা এটা ধরেই নিয়েছিল যে, ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বরোচিত এই হত্যাকাণ্ডের বিচার কোনদিনই হবে না। কারণ এই ঘটনার প্রধানতম সুবিধাভোগী তৎকালীন অবৈধ সরকার আইন করেই ইতিহাসের এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ বন্ধ করে রাখে। অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা এবং চড়াই-উতরাই পেরিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করে ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে তখন এই কুলাঙ্গারদের আস্ফালন নিমিষেই থেমে যায়। এমনকি তাদের এই ঘৃণ্য অপরাধের পরিণতি আঁচ করতে পেরে বেশ কয়েকজন খুনী রাতের অন্ধকারে দেশ ত্যাগ করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আশ্রয় গ্রহণ করতে সক্ষম হয়। তাদেরই একজন নূর চৌধুরী। একসময় দম্ভভরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কথা প্রকাশ্যে বলে বেড়ালেও কানাডা এসে এই অপকর্মের পরিণতি বুঝতে পেরে সবকিছু অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে কানাডার আদালতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে। যতটুকু জানি তাতে কানাডার আদালত তার এই মিথ্যা আবেদন আমলে নেয়নি, বরং বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করেই তার সেই আশ্রয় প্রার্থনার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। এদিকে বাংলাদেশের আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্পন্ন হয়ে উচ্চ আদালতে আপীল নিষ্পত্তি করে আটক খুনীদের সাজাও কার্যকর হয়েছে। কিন্তু নূর চৌধুরীসহ যেসব খুনী এখনও বিভিন্ন দেশে আত্মগোপন করে আছে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে সাজা কার্যকর করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। পলাতক সবার সঠিক অবস্থান বাংলাদেশ সরকার কতটুকু নিশ্চিতভাবে জানে তা বলা না গেলেও নূর চৌধুরীর অবস্থান সকলেরই জানা। নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে নেয়ার নানারকম উদ্যোগ আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হলেও এ ব্যাপারে তেমন কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তেমনটা বলা যাবে না। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা, দাবি এবং কানাডা সরকারের নিকট আবেদন, এর সবই অব্যাহত আছে। কিন্তু ফলাফল তেমনটা আশাপ্রদ নয়। বাংলাদেশ সরকারের আইনমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেশ কয়েকবার কানাডা সফর করে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতবার কানাডা সফর করেছেন ততবারই তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে এই আত্মস্বীকৃত খুনী ও আদালতের রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। মাস দুয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কানাডা সফরের সময়ও এর কোন ব্যতিক্রম হয়নি। বিশেষভাবে আমন্ত্রিত হয়ে গত জুন মাসে জি-৭ সম্মেলনে অংশ নিতে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে আলোচনার সময় নিশ্চয়ই নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি পুনরায় উত্থাপন করেছেন। কেননা শেখ হাসিনার এই সফরের পরপরই কানাডার জাতীয় পত্রিকা ন্যাশনাল পোস্টে ‘খুনী নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য কানাডার ওপর বাংলাদেশের চাপ’ শিরোনামে বিস্তারিত এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। এর ফলে এই কুখ্যাত খুনী ও আদালতের রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে এখানকার মূল ধারার জনগণের মাঝে এক ধরনের জনমত তৈরি হয়। ইতোপূর্বেও অবশ্য এখানকার দুটো সর্বাধিক জনপ্রিয় পত্রিকা টরনটো স্টার এবং ন্যাশনাল পোস্ট নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেয়ার বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ফলে এক ধরনের জনমত বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থাৎ খুনী নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেয়ার পক্ষেই আছে। এখানকার কোন বিবেকবান মানুষই তাদের কষ্টার্জিত উপার্জন থেকে প্রদত্ত করের মাধ্যমে এ রকম জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কোন খুনীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিতে মোটেও রাজি নয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি নিয়ে কানাডার অনেক মূল ধারার নাগরিকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা কেউই খুনী নূর চৌধুরীর এখানে অবস্থান করা মোটেও সমর্থন করেন না। এমনকি কানাডা সরকার কেন এমন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে বাংলাদেশের নিকট ফিরিয়ে দিচ্ছে না, এ নিয়ে তারা এখানকার সরকারের ওপর অসন্তোষও প্রকাশ করেছেন। এতদসত্ত্বেও কানাডা সরকার নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে দিতে এখনও সম্মত হয়নি। বিষয়টি আমার মতো অনেকের কাছেই রহস্যজনক। নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে না দেয়ার পক্ষে এখানকার সরকার কানাডার মৃত্যুদণ্ডকে সমর্থন না করার নীতিকে যুক্তি হিসাবে দাঁড় করিয়ে থাকে বলে আমরা জেনেছি। যেহেতু কানাডা মৃত্যুদণ্ডকে সমর্থন করে না, তাই কোন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে এমন অবস্থায় কানাডা কাউকে তার দেশে ফেরত পাঠাতে পারে না। বিষয়টি আমার কাছে খুব একটা পরিষ্কার নয়। একজন আইনের ছাত্র হিসেবে এটি মেনে নিতেও কষ্ট হয়। প্রথমত এই ধরনের কোন বিধান কানাডার সংবিধান বা চার্টার অফ রাইটসে আছে কিনা বা কানাডার প্রচলিত কোন আইনে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত করে জানা সম্ভব হয়নি। কেননা এ সক্রান্ত সব আইন ভালভাবে পাঠ করাও যেমন আমাদের মতো সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়, ঠিক তেমনি এ বিষয়ে এখানকার বিজ্ঞ কোন আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভেরও সুযোগ হয়ে উঠেনি। তবে কানাডার উচ্চ আদালতের বেশ কয়েকটি রায় রয়েছে যেখানে এই মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা আছে যে, কাউকে তার দেশে বা অন্য কোন দেশে ফেরত পাঠালে যদি তার মৃত্যু হয় বা তার উপর নির্যাতন করা হয় তাহলে কানাডা তাকে ফেরত পাঠাবে না। তবে এর ব্যতিক্রমও আছে। আমি যেহেতু আদালতের সেইসব রায় বিস্তারিত পড়ার সুযোগ পাইনি, তাই সিদ্ধান্তগুলো কিভাবে প্রদান করা হয়েছে এবং কাদের উপর এটি প্রযোজ্য হবে তার বিস্তারিত কিছুই জানার সুযোগ পাইনি। তবে কিছু প্রাসঙ্গিক বিষয় স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে। আদালতের এই নির্দেশনা কি শুধু কানাডার নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দাদের (পিআর বা পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট) বেলায় প্রযোজ্য হবে, নাকি ভিন দেশের নাগরিক অর্থাৎ যারা কানাডার নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা কোনটিই নয়, তাদের বেলায়ও সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। যদি এটাই হয় তাহলে তো বিশ্বের খুনীদের কাছে কানাডা অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিতি পাবে, যা কানাডার মতো একটি উন্নত এবং সভ্য দেশের আইন ব্যবস্থায় থাকার কথা নয়। তাছাড়া আদালতের সেই নির্দেশে যে ‘মৃত্যু’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে তা দিয়ে কি বিচারবহির্ভূত মৃত্যু অর্থাৎ কোন পক্ষের দ্বারা হত্যার বিষয় বোঝানো হয়েছে, নাকি আদালতের বিচারের রায়ে প্রদত্ত দণ্ড কার্যকরের বিষয়টিও এই নির্দেশের আওতায় পড়বে। এগুলো খুবই স্বাভাবিক প্রশ্ন হলেও বেশ জটিল আইনী বিষয় যার সদুত্তর একমাত্র বিজ্ঞ আইনজীবীরাই দিতে পারবেন। সত্যি বলতে কি, উচ্চ আদালতের সেই রায়গুলো ভালভাবে পর্যালোচনা করতে পারলেই বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে। কানাডার যে সকল বিজ্ঞ আইনজীবী এসব রায় নিয়ে কাজ করে থাকেন তাদের সহযোগিতা নিতে পারলেই কেবল এই খুনী নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে একটি ভাল সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে। তবে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এটি বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, খুনী নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য যুগপৎভাবে রাজনৈতিক এবং আইনগত দুটো সিদ্ধান্তই প্রয়োজন। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে নেয়াটা খুব সহজ হবে বলে মনে হয় না। কেননা রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং তা কার্যকর করা হয় কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে। বাংলাদেশ এবং কানাডার যে অবস্থান তাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে কানাডাকে রাজি করানো খুব সহজ নয়। আজ ইউরোপের কোন দেশ যেমন ফ্রান্স বা জার্মানি অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি তাদের দেশের আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত কোন আসামিকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য কানাডা সরকারের ওপর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাত তাহলে কানাডার সরকার নিশ্চয়ই তাদের সেই প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করতে পারত না। বরং কালবিলম্ব না করে প্রচলিত আইন বা আদালতের নির্দেশে যাই থাকুক না কেন, তার আইনগত কোন ফাঁকফোকর বের করে সেই আসামিকে নিশ্চয়ই ফিরিয়ে দিত। তাছাড়া কানাডার সরকার সবসময়ই এখানকার আদালতকে যথেষ্ট সমীহ করে, এমনকি প্রচণ্ড ভয়ও পায়। তাই আদালতের কোন রায়, সিদ্ধান্ত বা নির্দেশনা আছে এমন বিষয়ে কানাডার কোন সরকার খুব সহজে হাত দিতে চাইবেন না, তা সে রাজনৈতিকভাবে বা মানবাধিকারের দিক থেকে যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন। কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর যতই ব্যক্তিগত ইচ্ছা বা সহানুভূতি থাকুক না কেন সে এই মুহূর্তে এই ধরনের কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত তো দূরের কথা, এ বিষয়ে আলোচনাও করবেন না। কেননা আগামী বছর ফেডারেল নির্বাচন। আমি নিজে যেহেতু এখানকার একটি রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য, তাই সেই রাজনৈতিক দলের অনেক কর্মসূচীতে অংশ নিতে হয় এবং সেসব অনুষ্ঠানে সুযোগ পেলে অনেক নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথাবার্তাও বলে থাকি। সেই আলোচনায় সুযোগ বুঝে প্রসঙ্গ টেনে খুনী এই নূর চৌধুরীর বিষয়টি নিয়েও কথা বলার চেষ্টা করি। তারা সকলেই বিষয়টি অত্যন্ত বিব্রতকর এবং দুঃখজনক বলে অভিহিত করে এই বাস্তবতাও স্বীকার করে নেন যে, রাজনৈতিক ভাবে নূর চৌধুরীকে ফেরত দেয়ার কাজটি বেশ জটিল। কোন রাজনৈতিক দলই আদালতের কোন নির্দেশনা থাকা অবস্থায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কাউকে ফেরত দেয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিতে চাইবেন না। কেননা এ রকম সিদ্ধান্ত নিতে গেলে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে প্রয়োজনীয় আইনগত পরামর্শ নেয়ার জন্য যে পরিমাণ অর্থ ও সময় ব্যয় করতে হবে সেটা তাদের হাতে থাকে না। কারণ তারা অন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে এত বেশি ব্যস্ত থাকেন যে, এসব বিষয়ে মনোনিবেশ করার সুযোগ পায় না এবং কোনরকম আগ্রহও দেখায় না। সে কারণেই নূর চৌধুরীর মতো একজন কুখ্যাত খুনী এবং আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফিরিয়ে দেয়ার মতো জটিল সিদ্ধান্ত সেই সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা মন্ত্রণালয় থেকে আসবে না তা মোটামুটি নিশ্চিত করেই বলা যায়। তাহলে খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে, এই খুনীকে ফিরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ কি আদৌ সফল হবে না। এই প্রশ্নের সরাসরি কোন উত্তর আছে কিনা আমার জানা নেই, তবে ফিরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ শুধু যে অব্যাহত রাখতে হবে তা নয়, এই প্রচেষ্টাকে বেগবানও করতে হবে। এক্ষেত্রে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি আইনী লড়াইয়ের পথে এগোতে হবে। কানাডা সরকার অন্য দেশের নাগরিক এবং সেই দেশের আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফেরত না পাঠিয়ে এখানে রেখে এ দেশের জনগণের ট্যাক্সের টাকার অপচয় করছে এই মর্মে অভিযোগ এনে এখানকার আদালতে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেই নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে নেয়ার উদ্যোগকে ত্বরান্বিত করা সম্ভব। এ রকম একটি মামলা কানাডার কোন আদালতে সরকারের বিরুদ্ধে দায়ের করতে পারলে কানাডা সরকার তখন মামলার রায় পর্যন্ত অপেক্ষা না করেই খুনী নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। লেখক : ব্যাংকার, টরনটো, কানাডা [email protected]
×