ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকার দিনরাত - মারুফ রায়হান

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ১৪ আগস্ট ২০১৮

ঢাকার দিনরাত - মারুফ রায়হান

বৃহস্পতিবার সড়কমন্ত্রী মহোদয় সড়কে নেমে যান এ্যাকশনে। গাড়ির লাইসেন্স ও কাগজপত্র যাচাই শুরু করেন। ট্রাফিক পুলিশের এ কাজটিতে নিশ্চয়ই বাহাদুরি আছে। তবে এটি তো শুধু গাড়ি আর গাড়ি চালকের বিষয়। গণপরিবহনের যাত্রীদের কী করুণ অবস্থা, তাদের কী কী সমস্যা ও সঙ্কট রয়েছে সেটি জানাও যে দরকার, সে কথা সংশ্লিষ্ট কর্তাদের কে বলে দেবে। আমরা লিখে চলি, যদিও সংশয় জাগে এসব তারা পড়েন কিনা। কিংবা তাদের গোচরে আনা হয় কিনা। উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি আবদুল্লাহপুর-ফার্মগেট-মতিঝিল রুটে চলাচলকারী বিআরটিসির একমাত্র এসি বাসের কথা। বাসে এসি যথাযথভাবে কাজ করে না। অতিরিক্ত যাত্রী বহনও এর কারণ হতে পারে। সিটগুলো যথেষ্ট সংকীর্ণ বলে দুই সারির প্রান্তের যাত্রীদের শরীরের কিছু অংশ সিটের বাইরে চলে যায়। আবার ঠাসাঠাসি গাদাগাদি করে যাত্রী ওঠানোয় আসনে উপবিষ্ট কিংবা দাঁড়িয়ে থাকা- সব যাত্রীরই অস্বস্তিকর অবস্থায় পথ পাড়ি দিতে হয়। তার অর্থ হলো বাস কর্তৃপক্ষ টাকা বেশি নিলেও প্রাপ্য সার্ভিস দিচ্ছে না। যাত্রীদের সবচেয়ে বড় জিজ্ঞাসা হচ্ছে বিপুলসংখ্যক যাত্রী থাকতে এই রুটে মাত্র একটি এসি বাস সার্ভিস কেন? অবস্থা পর্যালোচনা করলে আমরা সম্ভাব্য সিদ্ধান্তে আসতে পারি। স্পষ্টত এক্ষেত্রে অনৈতিক কিছু ঘটছে। যাদের বিষয়টি দেখার কথা, তারা চোখ বুজে আছেন। সরকারের কোন একটি খাত, সেটি যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন, তা যদি ঠিকঠাক না চলে তাহলে ধরে নিতে পারি এটির উর্ধতন কর্তৃপক্ষ হয় অযোগ্য, নয় দুর্নীতিপরায়ণ। কিন্তু মানুষ দোষ দেয় সরকারকেই। ফলে সব দায় সরকারের ওপর চাপতে পারে। সেজন্যেই আমরা মনে করি, অযোগ্য কিংবা দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের সরিয়ে সেক্টরে নিয়মশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো জরুরী। দু-চারজনের জন্য হাজার হাজার যাত্রী কেন নিত্য ভোগান্তিতে থাকবে। আর সরকারও বা কেন অপবাদ সহ্য করবে? সিটিং সার্ভিস নিয়ে যে ‘চিটিং’ শুরু হয়েছে সেটি থামানোর দায়িত্ব কার? গত বছর নতুন করে সিটিং সিস্টেম চালু হওয়ার আগে আবদুল্লাহপুর থেকে শাহবাগ পর্যন্ত ৩ নং লোকাল বাসে ভাড়া ছিল ১৮ টাকা। এখন সিটিং নামের একই বাসগুলো একই দূরত্বের যাত্রায় যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করছে দ্বিগুণ, অর্থাৎ ৩৫ টাকা। নামে সিটিং হলেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর এই রুটের বাসগুলো এখন কোনোকিছু তোয়াক্কা না করে গাদাগাদি ঠাসাঠাসি করে বাসে লোক নিচ্ছে। তার সোজা অর্থ হলো সিটিং ঘোষণা দিয়ে একদিকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে, অন্যদিকে লোকাল বাসের দশাও ফিরে এসেছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী দায়িত্বশীল হলে অন্তত এই সিটিং বাসের ‘চিটিংগিরি’ নিশ্চয়ই বন্ধ হয়ে যেত। . নিরাপদ সড়কের প্রত্যাশায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শেষে ঢাকার সড়ক পরিস্থিতির বৈপ্লবিক পরিবর্তন যারা প্রত্যাশা করেছিলেন নিঃসন্দেহে তারা হতাশ হয়েছেন। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে সামান্য পরিমাণ উন্নতি দেখা যাচ্ছে এটা মানতেই হবে ( চালকদের লাইসেন্স ও অ্যন্যান্য কাগজপত্র সঙ্গে রাখার হার বেড়েছে, মোটরসাইকেলের পেছনের আরোহীর মাথায়ও হেলমেট শোভা পাচ্ছে এবং বহু পথচারী এখন পদচারী সেতু ব্যবহার করছেন)। তবে ট্রাফিক সপ্তাহ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে ইতিবাচক পরিবর্তনটুকুও উধাও হয়ে যাবে কিনা এ নিয়ে সংশয় রয়েছে নাগরিকদের মনে। সড়কে নৈরাজ্যের জন্য ট্রাফিক পুলিশের ব্যর্থতাকেই বেশি দায়ী করা হয়। পত্রিকার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বেশকিছু ব্যর্থতা। এর মধ্যে রয়েছে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশদের ঘুষ ও হয়রানি বন্ধ করতে না পারা, আলাদা লেন বাস্তবায়ন না করতে পারা, প্রভাবশালীদের আইন মানাতে না পারা, চালকের যোগ্যতা যাচাই ও গাড়ির ফিটনেস নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা, স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবহার না করা ও উল্টো পথে গাড়ি চলাচল প্রতিরোধ করতে না পারা ইত্যাদি। বেপরোয়া গতির প্রতিযোগিতা দূর হচ্ছে না। বেশির ভাগ ফুটপাথ দখলে থাকায় পথচারীরা একান্ত বাধ্য হয়েই রাস্তা দিয়ে পথ চলেন। এর ওপর থাকে অবৈধ পার্কিং। ঘটে দুর্ঘটনা। একই সঙ্গে রাস্তাজুড়ে অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল করায় রাস্তার গতি কমে যায়। সৃষ্টি হয় যানজট। এমন আরও বহু কারণ রয়েছে সড়কের বিদ্যমান বিশৃঙ্খলার পেছনে। শুধু আন্তরিক উদ্যোগই পারে কিছুটা হলেও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে। সেই আন্তরিকতার অভাবই আমরা বরাবর দেখে এসেছি। শুধু ট্রাফিক পুলিশ নয়, সড়কের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যদেরও দায়িত্ব পালনে সৎ ও আন্তরিক হতে হবে। দেখা যাচ্ছে রাস্তায় কড়াকড়ির কারণে বিআরটিএ কার্যালয়ে ফিটনেস সংগ্রহের হিড়িক পড়েছে। কিন্তু সেখানে দুর্নীতিমুক্ত হয় কর্মসম্পাদন হচ্ছে কিনা সেটি মনিটর করবে কে? রাস্তা পারাপারের জন্য আন্ডারপাস বা ফুট ওভারব্রিজের সংখ্যা এখনও খুবই কম। সেগুলো বাড়াতে হবে। নিদেনপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সিগন্যালযুক্ত জেব্রাক্রসিং দিতে হবে। এরপর পথচারীদের বাধ্য করতে হবে সেগুলো ব্যবহার করতে। পাবলিক হয়তো অনেকটাই ‘সোজা’ হয়ে যাবেন, কিন্তু চালক, হেলপার, পরিবহন নেতারা কি দেশের আইন মেনে পেশায় নিয়োজিত থাকবেন? . প্রজ্ঞাপারমিতার পরিবেশনা বলছি এক আশ্চর্য কিশোরী উচ্চাঙ্গসঙ্গীতশিল্পীর কথা। প্রজ্ঞাপারমিতা আরশি তার নাম। বর্তমানে বাবা-মায়ের সঙ্গে বসবাস কানাডায়। এসেছিলেন ঢাকায়, গত শুক্রবার ধ্রুপদী সঙ্গীত পরিবেশন করলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে। সম্ভবত এত অল্পবয়সী কোনো উচ্চাঙ্গসংগীত শিল্পীর একক অনুষ্ঠান ঢাকায় প্রথম। বয়স বোধহয় তার তেরো পেরোয়নি, অথচ সিনিয়র শিল্পীদের মতোই সাবলীল ও সুরেলাসুন্দর তার পরিবেশনা। শুধু বিভিন্ন রাগ, তারানা, ঠুমরি নয়; রাগাশ্রয়ী সুবিখ্যাত কিছু গানও শুনিয়েছেন। যেমন, যমুনা কি বলতে পারে, পিয়া ভোলো অভিমান, ইত্যাদি। অল্প কয়েক বছর হলো দেশে ধ্রুপদী সঙ্গীতের ওপর তরুণদের আগ্রহ বাড়ছে। তার প্রমাণও পেলাম মিলনায়তন প্রায় পূর্ণ হতে দেখে। কিন্তু এটা অস্বীকার করার কিছু নেই যে এখনও সিংহভাগ নবীন শিক্ষার্থীর প্রথম পছন্দ নজরুলগীতি ও রবীন্দ্রসঙ্গীত। ধ্রুপদী সঙ্গীত শিখতে আসেন হাতেগোনা দুয়েকজন। তাই আরশির এই নির্বাচন, সাধনা ও তার আন্তরিক নিবেদন প্রশংসাযোগ্য। বয়স কম বলে তাকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখার কিছু নেই। এই বয়সেই যে শিল্পী ওস্তাদদের মতো তিনি পরিবেশন করতে পারছেন, সেটিই আনন্দের, বিস্ময়জাগানিয়াও। কণ্ঠস্বরের মিষ্টতা বড় বিবেচ্য সব ধরনের সঙ্গীতের ক্ষেত্রে। এদিকেও আরশি আমাদের তৃপ্ত করেন। শব্দবর্ধকযন্ত্র-বিঘিœত ওই সান্ধ্য আসরে মালকোশের দুটি বন্দিশ পরিবেশন করলেন আরশি। শুনতে শুনতে মনে পড়ছিল শিল্পীর মা লেখক শিকোয়া নাজনীন তার এই মালকোশ চর্চার সময়ে কিছু কথা শেয়ার করেছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে ফেসবুকে। প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় তুলে দিচ্ছি কথাগুলো। তিনি লিখেছিলেনÑ ‘আরশির থিম মিউজিক এখন মালকোশ। তার গুরুমা শ্রীমতী অভিনন্দা মুখার্জি তাকে বলেছেন, মালকোশ মধ্যরাতের রাগ, আরশি এখন তানপুরা নিয়ে তবলায় বিলম্বিত করে ১৬ বিটে। সা গা মা সা।।মা।।ধা।।নি সা।। ধামা গামা ধা মা গা সা।।আট মাত্রা গান আর আট মাত্রা সারগাম। বিশুদ্ধ প্রেমের আহ্বান ঝরে পড়ে এই মালকোশের তানে, প্রণয়কাতরতা, আর প্রণয় প্রার্থনার গান কি এটি? হয়ত এই প্রেম সংসারের না। সে প্রণয় যদি শেষমেশ ঈশ্বরও হন তাহলেও আগে তা কি মানুষ দিয়েই শুরু নয়? সেদিন আরশি শুনিয়েছে সেই মালকোশ। যে রাগ তার গুরুমা শিখেছিলেন চল্লিশ বছর আগে, এক বর্ষণমুখর দুপুরে ভারতবর্ষের নমস্য এক গুরুজীর কাছে। সেটা ছিল ‘গুরুমুখ বিদ্যা’, গুরু“ছাত্রীকে গলায় তুলে দিয়েছিলেন এই গান। এর কোন রেকর্ড নেই, কোথাও লিখিত নেই এর ইতিহাস। যেন এই সুর এক প্রাচীন পুঁথিচিত্র।’ . কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ যেসব সড়কে বাস চলে না, সেখানে যাত্রীরা অনেকটা বাধ্য হয়েই ‘লেগুনা’র মতো যানবাহনে চলাচল করেন। বিপুল সংখ্যক নারীর জন্যও এই উদ্ভট নাম ও আকৃতির মোটরযানের বিকল্প নেই। গাদাগাদি করে বসানো হয় যাত্রীদের। পাদানিতেও তোলা হয় একাধিক যাত্রীকে। বলাবাহুল্য এসব যানের অধিকাংশই নিয়মরীতির তোয়াক্কা করে না। ফিটনেস সার্টিফিকেটের মেয়াদ বহু আগেই ফুরিয়ে গেছে এমন যানই চলে বেশি। আর চালকের লাইসেন্স? সেসব বলে আর কী হবে। ট্রাক-বাসের হেলপার কয়েক বছরের মধ্যে ড্রাইভার বনে যায়। এসব হিউম্যান হলারের দশা আর কী হবে! অনেক ক্ষেত্রে রুট পারমিটও থাকে না। হঠাৎ করেই লেগুনার ভাড়া দ্বিগুণ হয়ে গেছে। কী কারণ? লেগুনা কি বিশেষ ফুয়েলে চলে! তা কি দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে? আসল ব্যাপারটি ভিন্ন। লেগুনার মালিকদের ঘাটে ঘাটে চাঁদা দিতে হয়। নিজের দুর্বলতা ঢেকে ব্যবসা করার জন্যই এই অবৈধ লেনদেন। একটি জাতীয় দৈনিকেই এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ঢাকায় লেগুনা থেকে মাসে কোটি টাকার চাঁদাবাজি চলছে। লেগুনার মালিকরা চাঁদা হিসেবে যে অর্থদ- দেন সেটা আদায় করে নেয়া হয় যাত্রীদের কাছ থেকে। ফলে যাত্রীদের এই বাড়তি ভাড়া গোনা। যাত্রীরা তা দিতে বাধ্য হন। কারণ বিকল্প নেই। তারা ভাবেন, রিক্সার চেয়ে তো কম ব্যয় পড়ছে! বলিহারি ঢাকা! . বাসের ভেতরে ডাক্তার! বাসের ভেতর ‘পঙ্গু’ ও ‘সবল’ ভিক্ষুকসহ বহু ধরনের সাহায্যপ্রার্থী ওঠেন। একেকজনের বলার ধরন একেক রকম। মূল উদ্দেশ্য মানুষের ভেতর দয়া ও করুণা জাগিয়ে তুলে কিছু দানে উৎসাহিত করা। কমবেশি সফল হয়ে থাকেন প্রতিটি সাহায্যপ্রার্থীই। কিন্তু অর্থমূল্যের বিনিময়ে কোন পণ্য বা পুস্তিকা যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা অত সহজ নয়। সাধারণত এসব ক্যানভাসারেরও মানুষকে প্রভাবিত করার কৌশলটি আয়ত্ত করে নিতে হয়। তা না হলে বিক্রেতার পেশাটি ধরে রাখবেন কিভাবে? সেদিন দাড়িঅলা এক হাসিখুশি তরুণ বাসে ওঠার পর মানবদেহ, তার অসুস্থতা এবং খাদ্য বিষয়ে এমনভাবে বলে যেতে লাগলেন যেন তিনি ছোটখাটো কোন চিকিৎসক। নানা অসুখের নানা ওষুধের নামও তার মুখস্থ। শাকসবজি খাওয়ার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা এবং উদ্ভিদজাত খাদ্যের ভেতর রয়েছে কত উপকারী দিকÑ এ সম্পর্কে তরুণটির বলার ভেতরে এমন কিছু ছিল যে দেখতে দেখতে তার হাতের পুস্তিকার অনেকগুলো কপি বিক্রি হয়ে গেল। দাম মাত্র দশ টাকা। পুস্তিকাটি হাতে নিয়ে দেখলাম মন্দ নয়। প্রচ্ছদে লেখা আছে ‘সুস্থ যদি থাকতে চান, নিয়মিত শাকসবজি খান।’ জিজ্ঞেস করে জানলাম এই পুস্তিকা বিক্রেতার নাম আবুবকর। টঙ্গী থেকে মতিঝিল আবার মতিঝিল থেকে টঙ্গীÑ এই রুটে চলতে চলতে বাসের ভেতর বই বিক্রি করা তার বহুদিনের পেশা। অবশ্য মাঝে মধ্যে রুট বদল করেন। ৪৮ পৃষ্ঠার এই পুস্তিকাটি বিক্রি করেই তার সংসার বেশ ভাল মতোই চলে যায়। আবুবকর এই পুস্তিকা কিনে আনেন জুরাইন থেকে। নিজে ছাপেন না। ভাবছিলাম বইটির লেখক ও প্রকাশক এক ব্যক্তি কিনা। শুধু আবুবকর তো নয় তার মতো কয়েকজন এটি বিক্রি করে থাকেন রাস্তায় রাস্তায়। একজন খুচরো বিক্রেতার যদি এই পুস্তিকা বেচে সংসারের খরচ উঠে যায় তবে যিনি ছাপেন বা যিনি লিখেছেন তারও এই পুস্তিকা থেকে রয়েছে নিয়মিত আয়। ঢাকা শহরে কত ধরনের জীবিকার সঙ্গেই না লোকে যুক্ত। ভাললাগে শাকসবজি খেতে উদ্বুদ্ধ করার মতো একটি পুস্তিকার প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ দেখে। মানুষ উপকারটা ভালই বোঝে। আর সাধ্যের মধ্যে থাকলে সেটি সে কিনে নিতে দ্বিধা করে না। অবশ্য তার হাতের নাগালে সেটি নিয়ে আসা চাই। আরও চাই মানুষকে প্রভাবিত করার কৌশল। ১২ আগস্ট ২০১৮ [email protected]
×