ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মার্কিন ডলারের তুলনায় আরও পড়তে পারে ভারতের টাকার দাম

প্রকাশিত: ২৩:০৯, ১৪ আগস্ট ২০১৮

মার্কিন ডলারের তুলনায় আরও পড়তে পারে ভারতের টাকার দাম

অনলাইন ডেস্ক ॥ মার্কিন ডলারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আরও পিছিয়ে পড়ল টাকা। নিজের ‘মান’ খুইয়ে ভারতীয় মুদ্রা আরও বেশি শক্তিশালী করে তুলল মার্কিন ডলারকে। আজ মঙ্গলবার সকালে এক মার্কিন ডলারের দাম দাঁড়াল ৭০ টাকা ৯ পয়সা। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর গত ৭১ বছরে মার্কিন ডলারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় কখনও এতটা পিছিয়ে পড়েনি টাকা। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, মার্কিন ডলারের তুলনায় আরও পড়তে পারে টাকার দাম। এক মার্কিন ডলার আরও মূল্যবান হয়ে পৌঁছে যেতে পারে ৭২ টাকায়। কেন গত দু’-তিন মাসে মার্কিন ডলারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে পারছে না ভারতীয় মুদ্রা? কেন তা পিছিয়ে পড়ছে উত্তরোত্তর? কেন হু হু করে পড়ছে টাকার দাম? বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, টাকার এই অধঃপতনের অন্যতম কারণ, এ দেশে বিদেশি লগ্নির পরিমাণে ঘাটতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ স্লোগানে যে তেমন সাড়া মেলেনি, প্রত্যাশামাফিক বিদেশি পুঁজি লগ্নির ঢল নামেনি ভারতে, মার্কিন ডলারের তুলনায় টাকার উত্তরোত্তর অধঃপতন তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের কটাক্ষ, এগিয়ে যাওয়ার রেকর্ড গড়া, ভাঙা নিয়ে খবর হয়, আলোচনা হয় সর্বত্র। মার্কিন ডলারের তুলনায় উত্তরোত্তর হৃতবল হয়ে পড়ে টাকা রোজই নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙে চলেছে! কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অর্থনীতি বিষয়ক সচিব সুভাষ চন্দ্র গর্গ অবশ্য ওই যুক্তি মানতে রাজি হননি। তাঁর বক্তব্য, মার্কিন ডলারের তুলনায় ভারতীয় মুদ্রার এই অধঃপতন হচ্ছে মূলত বৈদেশিক কারণে। টাকার অবমূল্যায়নের জন্য অন্তত দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক চালচিত্রের কোনও দায় নেই। গর্গের আশা, ঘুরে দাঁড়াতে খুব একটা সময় নেবে না ভারতীয় মুদ্রা। কারণ, এ বছর মার্কিন ডলারের তুলনায় তুরস্কের মুদ্রা ‘লিরা’রও দাম পড়েছে ৪৫ শতাংশ। তার প্রেক্ষিতে মার্কিন ডলারের তুলনায় টাকার দাম পড়েছে বরং অনেক ধীর গতিতে। এখনও পর্যন্ত মার্কিন ডলারের তুলনায় টাকার দাম পড়েছে মাত্র ৭ শতাংশ। কেন্দ্রীয় অর্থনীতি বিষয়ক সচিব যা-ই বলুন, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, টাকার দামের এই উত্তরোত্তর অধঃপতনের খেসারত ইতিমধ্যেই দিতে হচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতিকে। যা আমদানি না করলে একেবারেই চলে না, সেই পেট্রো-পণ্য, কিছু অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, ইলেকট্রনিক্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং সামগ্রীর দাম চড়চড়িয়ে বাড়তে শুরু করেছে মার্কিন ডলারের তুলনায় টাকার দ্রুত অধঃপতনের জন্য। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×