ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

‘রাজনীতির কবি’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

প্রকাশিত: ০৭:৫০, ১৫ আগস্ট ২০১৮

‘রাজনীতির কবি’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

আজ ১৫ আগস্ট ২০১৮। হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি মহাকালের মহানায়ক স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী। বিশ্ব ইতিহাসে সর্বোচ্চ নৃশংস ও জঘন্যতম বর্বর হত্যাকান্ডে এক নজিরবিহীন যন্ত্রণাকাতর দিন। আজকের এই দিনে বিনম্র চিত্তে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। এটি সর্বজনবিদিত যে, ভারতের মহাত্মা গান্ধী, যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন, চীনের মাওসেতুং, ভিয়েতনামের হো-চি মিন, কিউবার ফিদেল কাস্ট্রো, ঘানার পেট্রিস লুমাম্বা ও কওমী নক্রুমা, দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলা, সোভিয়েত ইউনিয়নের লেনিন, যুগোস্লাভিয়ার মার্শাল টিটোর মতো বঙ্গবন্ধুও তাঁর অসামান্য দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের চিরঞ্জীব উদাহরণের জন্য বিশ্ব-ইতিহাসের অনিবার্য ও অবিচ্ছেদ্য অধ্যায় হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। তিনি শুধু বাঙালির বঙ্গবন্ধু নয়, বিশ্ববরেণ্য রাজনীতিক ’বিশ্ববন্ধু’ উপাধিতেও বিশ্বনন্দিত। বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠত্ব- তিনি শুধু বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের একজন স্বপ্নদ্রষ্টাই ছিলেন না, অনন্য সাধারণ এক ঐক্যের বন্ধনে বাঙালি জাতিকে একতাবদ্ধ করে হাজার বছরের বাঙালি জাতির স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদান করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আগে ও পরে বহু খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ এসেছেন কিন্তু এমন করে কেউ বাঙালিকে জাগাতে পারেননি। তাই বঙ্গবন্ধুকে প্রতিষ্ঠার জন্য শক্তি প্রয়োগের যেমন প্রয়োজন পড়ে না, তেমনি তাঁকে ইতিহাস থেকে নির্বাসিত করাও অসম্ভব। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অন্যতম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও গবেষক মিঞা মুজিবুর রহমানের রচিত ‘জাতির জনক’ গ্রন্থে তিনি যথার্থভাবে উল্লেখ করেছেন যে, বঙ্গবন্ধু তাঁর নেতৃত্বের এক সম্মোহনী শক্তি ও যাদুস্পর্শে ঘুমন্ত, পদানত বাঙালিদের জাগিয়ে তুলে উদ্দীপ্ত করেছিলেন স্বাধীনতার মন্ত্রে। ১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল প্রকাশিত নিউজউইক ম্যাগাজিন বঙ্গবন্ধুকে ’রাজনীতির কবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে যে মন্তব্যটি উপস্থাপন করেছে, বস্তুতপক্ষে তা অত্যন্ত গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ। তা ছিল এ রকম, ‘মুজিব মৌলিক চিন্তার অধিকারী বলে ভান করেন না। তিনি একজন রাজনীতির কবি, প্রকৌশলী নন। শিল্প-প্রকৌশলের প্রতি উৎসাহের পরিবর্তে শিল্পকলার প্রতি ঝোঁক বাঙালিদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক। কাজেই সকল শ্রেণী ও আদর্শের অনুসারীদের একতাবদ্ধ করার জন্য সম্ভবত তাঁর ‘স্টাইল’ সবচেয়ে বেশি উপযোগী ছিল।’ এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী ৭ মার্চের ভাষণকে এক অনবদ্য কবিতা এবং বঙ্গবন্ধুকে মহাকবি হিসেবে ভূষিত করার অবারিত যুক্তি রয়েছে। এ জন্যই বঙ্গবন্ধু বিশ্বপরিমন্ডলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন এক অসাধারণ মহাগ্রন্থে। বাঙালি কবি ও লেখক অজয় দাশ তার ‘বঙ্গবন্ধু : আদিগন্ত যে সূর্য’ কবিতায় বঙ্গবন্ধুকে যে সব সহজ সরল পংক্তিতে চিত্রায়িত করেছেন, তা হলো ‘বাঙালি কি বাঙালি হয় শাড়ি, ধুতি, লুঙ্গি ছাড়া/ থাকে না তার বর্গ কিছুই না থাকলে টুঙ্গিপাড়া/ সুর-অসুরে হয় ইতিহাস, নেই কিছু এ দু’জীব ছাড়া/বাংলাদেশের ইতিহাসে দেবতা নেই মুজিব ছাড়া/ ... বাংলাদেশের মুক্তিও নেই মুজিব নামের সূর্য ছাড়া’। আর ১৯৭৫-এর ২৮ আগস্ট তারিখে লন্ডনের ‘দি লিসনার’ পত্রিকায় বিবিসির সাংবাদদাতা ব্রায়ান ব্যারন-এর ভবিষ্যতবাণী- ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের হৃদয়ে উচ্চতর আসনেই অবস্থান করবেন। তাঁর বুলেট-বিক্ষত বাসগৃহটি গুরুত্বপূর্ণ ‘স্মারক-চিহ্ন’ এবং কবরস্থানটি ‘পূণ্যতীর্থে’ পরিণত হবে’। আজ উল্লেখিত কবিতার বক্তব্য এটি প্রমাণ করে যে, বঙ্গবন্ধু সেই অসাধারণ অবিসংবাদিত নেতা যিনি সকল বাঙালির হৃদয়ের গভীরে প্রোথিত ও তাঁর অবস্থানকে অত্যন্ত সুদৃঢ় করতে পেরেছেন। বঙ্গবন্ধু রচিত ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থে ‘থালা বাটি কম্বল/জেলখানার সম্বল’ লেখাটি থেকে বঙ্গবন্ধুর অনন্য সাধারণ রচনাসমূহ যে কত গভীর ও বিশাল কবিতার প্রতীক, উপমা ও কালের ক্যানভাস সমৃদ্ধ, তা সহজেই অনুমেয়। বঙ্গবন্ধু বলেছেন ‘জেলে যারা যায় নাই, জেল যারা খাটে নাই- তারা জানে না জেল কি জিনিস। বাইরে থেকে মানুষের যে ধারণা জেল সম্বন্ধে ভিতরে তার একদম উল্টা...। আমি পাঁচবার জেলে যেতে বাধ্য হয়েছি। রাজবন্দী হিসেবে জেল খেটেছি, সশ্রম কারাদ-ও ভোগ করতে হয়েছে। আবার হাজতি হিসেবেও জেল খাটতে হয়েছে। তাই সকল রকম কয়েদির অবস্থা নিজের জীবন দিয়ে বুঝতে পেরেছি।’ এমন চমৎকার ভাষায় কাব্যিক উচ্চারণে বন্দী জীবনকে চিত্রিত করার এত সহজ-সরল ভঙ্গিমা ক’জন মহান কবি ইতিহাসে উপস্থাপন করতে পেরেছেন- তা সকলের অজানা। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে এসে এক অপ্রতিরোধ্য গতিধারা সঞ্চার করে সর্বক্ষেত্রে বিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করার মহাকর্মযজ্ঞে সর্বোচ্চ সততা ও আন্তরিকতা দিয়ে সমগ্র দেশবাসীকে নিয়ে আত্মনিয়োগ করেন। দশ মাসের মধ্যেই বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে জাতিকে বিশ্বশ্রেষ্ঠ সংবিধান উপহার দেন। সকল মিল-কারখানা, ব্যাংক ইত্যাদি রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সবার জন্য সমান অধিকারের ভিত্তিতে এক ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত জাতি-রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাকল্পে সোনালী স্বপ্নের আবরণে জাতিকে উদ্বুদ্ধ ও উজ্জীবিত করেন। ‘ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার’ নীতির ভিত্তিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পরিপূর্ণ অক্ষুণ্ণ রেখে অসাম্প্রদায়িক ও বিশ্বজনীন মানবতাবাদের ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান দেশের ইতিহাসে শুধু নয় বিশ্ব মানবধিকার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা ও জায়গা বরাদ্দ, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড গঠন, বিশ্ব ইজতেমার জমি বরাদ্দ, বাংলাদেশের ওআইসি সদস্য পদ লাভ এবং সৌদি আরবে কম খরচে হজযাত্রীদের পবিত্র হজ পালনের উদ্যোগ, মদ ও জুয়া নিষিদ্ধকরণ এবং বেতার ও টেলিভিশনে আল কোরআনের বাণী প্রচার করাসহ ইসলামী মূল্যবোধ প্রচার ও প্রসারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবদান যুগে যুগে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধু রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থের ১৮০ পৃষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু লিখেছেন ‘আমি নামাজ পড়তাম এবং কোরআন তেলাওয়াত করতাম রোজ। কোরআন শরীফের বাংলা তরজমাও কয়েক খন্ড ছিল আমার কাছে। ঢাকা জেলে শামসুল হক সাহেবের কাছ থেকে নিয়ে মওলানা মোহাম্মদ আলীর ইংরেজী তরজমাও পড়েছি’। ১৯৭৫ সালে বিশ্বের ইতিহাসে অমানবিক হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ব্যক্তিখাতের যে ধারাটি চালু করা হয়, পরবর্তীতে সেনা শাসকদের আমলে তার পৃষ্ঠপোষকতার জন্য শিল্প স্থাপনের নামে কোটি কোটি টাকা ঋণ প্রদান করা হলেও সে অনুপাতে শিল্পের কোন বিকাশই ঘটেনি। প্রাক ’৭৪ পূর্বে যেখানে ব্যক্তিগত খাতে ঋণদানের পরিমাণ ছিল বার কোটি টাকা, সেটি ১৯৭৫-৮১ সালে রাষ্ট্রখাত বাদে ৮৭৬ কোটি টাকায় এবং ১৯৮২ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার উপরে গিয়ে দাঁড়ায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ১৯৭৮-৮২ সালে ঋণ গ্রহণকারী চার হাজার শিল্প প্রকল্পের কোন হদিস পাওয়া যায়নি। পুঁজিবিনিয়োগ বোর্ডের এক জরিপে দেখা যায়, কেবল ৮৫-৯০ সালে (পাঁচ বছরে) গড়ে ৭৫৩১টি অনুমোদিত শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৪২২টি শিল্পের কোন অস্থিত্ব নেই। এভাবেই শিল্প বিকাশের সকল সম্ভাবনাকে অঙ্কুরে বিনাশ করা হয় সামরিক শাসন আমলের সৃষ্ট দুর্নীতিবাজদের স্বেচ্ছাচারী লুটপাটে। দীর্ঘ ক্রান্তিকাল ও অন্ধকারের ষড়যন্ত্রকে নিধন করে উন্নয়নের সকল সূচক ও বহুমাত্রিকতায় সামগ্রিকভাবে দেশকে এগিয়ে নেয়ার সফল ইতিহাস সৃষ্টির জন্য বর্তমানে জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববরেণ্য এবং নন্দিত রাষ্ট্রনায়কের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন। ধরিত্রী, সমুদ্র, সীমান্ত বিজয়ী হয়ে দেশকে শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেননি, দেশকে খাদ্য রফতানী দেশে পরিণত করেছেন। মানব উন্নয়ন সূচকে উন্নয়নশীল বিশ্বকে ডিঙ্গিয়ে সকল ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় অগ্রগতি সাধনের মাধ্যমে দেশকে উন্নয়নের রোল মডেল এবং নিজেকে উন্নয়নের সফল রূপকার হিসেবে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রার সকল নিয়ামক অর্জন, জাতিসংঘ ঘোষিত ২০৩০ সালের মধ্যে ‘টেকসই উন্নয়ন’ লক্ষ্যমাত্রার সফল অর্জনের লক্ষ্যে ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার উন্নয়ন কর্মকান্ডের কার্যকর বাস্তবায়ন অব্যাহত রেখেছেন। ইতিমধ্যেই সততা, নারী নেতৃত্ব, উন্নয়ন দর্শন ও মহাকাশ বিজয়সহ নানা ক্ষেত্রে অপ্রতিরোধ্য সাফল্যের জন্য বিশ্বনেতৃত্বের অতি উঁচুমার্গের আসনে শুধু নিজেকে নয়, জাতি এবং দেশবাসীকেও এক সুমহান মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। শোকাবহ আগস্ট মাসের এই কঠিন শোককে নিরন্তর অফুরন্ত শক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে জাতিকে অনুপ্রাণিত করার এক নবযুগের সূচনা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রমে অত্যন্ত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক নীতি অবলম্বন করে সুষ্ঠুভাবে বিচার ও বিচারের রায় কার্যকর এবং এর ধারাবাহিকতা অব্যাহতভাবে সচল রেখেছেন। ইতোমধ্যে বেশ কিছু বিচারের রায় কার্যকর করে নির্ভীক সাহসিকতা ও দৃঢ়চিত্তের রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ ও আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে অবিরাম ও নিরলস প্রচেষ্টায় দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করতে অজস্র উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছেন। পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে এর বাস্তবায়নের কাজ বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন। জাতির জনকের মত রাজনীতির কবি শুধু নয়, উন্নয়নের সুদক্ষ প্রকৌশলী হিসেবেও নিজেকে মহিমান্বিত ও দেশকে গৌরবান্বিত করেছেন। প্রায় পাঁচ লক্ষ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রণয়ন, বিগত বছরের তুলনায় বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির উদ্যোগ এবং দেশকে ৭২ বৎসরের অধিক গড় আয়ুর দেশে পরিণত করে বিশ্বে বিস্ময়কর অর্জনের অধিকারী হয়েছেন। দ্রুত দেশকে অগ্রগতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনায় যখন সকল সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করছেন, ঠিক তখনই প্রতিহিংসাপরায়ণ ও দেশবাসী কর্তৃক পরিপূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যাত পরাজিত শক্তি, রাষ্ট্র, দল, প্রতিষ্ঠান দেশের অগ্রগতিকে রুদ্ধ করার লক্ষ্যে জঙ্গী, উগ্র ও সন্ত্রাসবাদ এবং মাদকের আগ্রাসনে অপসংস্কৃৃতির নষ্ট মোড়কে নৃশংসতা, বর্বরতা দিয়ে দেশের মানুষকে আতঙ্কিত ও বিভ্রান্ত করার নানাবিধ অপকৌশল অবলম্বন করে চলেছে। সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রকে সংহার করে দেশের আপামর জনসাধারণ ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে জঙ্গী, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে স্ব স্ব অবস্থানে থেকে দেশবাসী যথার্থ ভূমিকা পালন করবেন- শোকাবহ আগস্ট মাসের সকল শোককে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর মহান আদর্শে নবতর চেতনায় শাণিত হয়ে জনগণের কল্যাণে সকলেই নিজেদের নিবেদন করবেন- এটিই আজকের দিনের শোকারুদ্ধ প্রত্যাশা।
×