নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুর ইউনিয়নের সেরাজপুর গ্রামে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ইভা (১১) রহস্যেঘেরা ঘটনায় মারা গেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বর্বর এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরে ঘন্টাখানেক শিশুটির সৎমা সালমা বেগম (২৫) অচেতন ছিলেন। স্থানীয় মানুষ ডাকাতের দুর্বৃত্তপনার সন্দেহ করলেও পুলিশ মানতে নারাজ। স্থানীয়রা গণধর্ষণের কথাও বলে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনায় পুলিশ সালমা বেগমকে রাতেই আটক করে আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোন কূল কিনারা করতে পারেনি। গণমাধ্যমের কর্মীদের ওই মহিলার সঙ্গে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। গোটা বিষয়টি নিয়ে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ রয়েছেন।
নিহত শিশুর চাচা ইউসুফ ঘরামী জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত তার ভাই ইসমাইল ঘরামীর ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। এসময় মা সালামা বেগম দৌড়ে পাশের বাড়ি গিয়ে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে অচেতন হয়ে গেছে। আশপাশের লোকজন গিয়ে ঘরে ছোট্ট অপর শিশুকে দেখতে পেলেও ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ইভাকে খুঁজে পাচ্ছিল না। অনেক খোঁজার পর ঘরের দোতলায় বিবস্ত্র অবস্থায় শিশুটিকে পাওয়া যায়। এসময় তার শরীরের গোপনাঙ্গ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে দেখে স্থানীয়রা দ্রুত কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। মহিপুর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘এলাকায় ডাকাতের গুজব রয়েছে। তবে কি কারণে হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটেছে এটি এখনও স্পষ্ট নয়। শিশুটি ধর্ষণ পরবর্তী হত্যা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা নিরীক্ষার আগে বলা যাবেনা। লাশ পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া শিশুটির মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সঠিক কিছু জানা যায়নি। অজ্ঞাত আসামিদের নামে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। ’
