ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রুশ বিশ্লেষকের মন্তব্য

আফ্রিকায় রাশিয়ার উপস্থিতি বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৩:৩২, ১৬ আগস্ট ২০১৮

আফ্রিকায় রাশিয়ার উপস্থিতি বাড়ছে

রাশিয়া সামরিক সহযোগিতা ও প্রশিক্ষক পাঠিয়ে এবং অস্ত্র চুক্তি ও বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকান্স (সিআরসি) আবারও এর অবস্থান গড়ে তুলছে। দেশটি এখানে বেশ কয়েক বছর নিষ্ক্রিয় থাকার পর এখন ইউরোপীয় দেশগুলো ও এমনকি চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চাইছে। বিশ্লেষকরা এ কথা বলেছেন। খবর এএফপির। আফ্রিকায় মস্কো এর অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য গত তিন বছর ধরে আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। তাদের এ উদ্যোগ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জোরদার হয়েছে। এ দরিদ্র দেশটি ঐতিহ্যগতভাবে এতদিন সহায়তা চেয়েছে এর সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্সের। রাশিয়া এ বছরের প্রথম দিকে সিএআর-এর সেনাবাহিনী অস্ত্র সরবরাহ করেছে এবং প্রেসিডেন্ট ফস্টিন-আরচেঞ্জ তৌদেরার জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। রাশিয়া এ উদ্যোগ নিয়েছে জাতিসংঘের কাছ থেকে কতৃর্ত্ব অর্জনের পর। উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা উপদেষ্টা একজন রুশ। রাশিয়া দেশটিতে ৫জন সামরিক কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষক হিসেবে ১শ’ ৭০ জন বেসামরিক কর্মকর্তা পাঠিয়েছে সিএআর-এর সেনাবাহিনীর জন্য যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সিএআর-এর সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রশিক্ষকরা ওয়াগনার নামে একটি ছায়াসদৃশ ভাড়াটে সদস্য হতে পারেন। ওয়াগনার বাহিনী সিরীয় যুদ্ধে লড়াই করছে বলে জানা যায়। তিন রুশ সাংবাদিক গত মাসে তাদের কর্মকা- তদন্তকালে সিএআরয়ে নিহত হন। রাশিয়া, অন্যত্র ক্যামেরুনেও অস্ত্র পাঠাচ্ছে, বোকো হারাম জিহাদীদের সঙ্গে লড়াইয়ে দেশটিকে সহযোগিতার জন্য ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (ডিআরসি), বুরকিনা ফাসো, উগান্ডা ও এ্যাঙ্গোলার সঙ্গে সামরিক অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করছে এবং সুদানের সঙ্গে পরমাণু শক্তি বিষয়ে সহযোগিতা করছে। রাশিয়া জিম্বাবুইয়ে ও গিনির খনিজ শিল্পগুলোর সঙ্গেও কাজ করছে। চীন আফ্রিকার এ খাতগুলোতে এক উদীয়মান শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া সংযুক্তির পর রাশিয়া পাশ্চাত্যের সঙ্গে বিপরীতমুখী অবস্থানে রয়েছে এবং আবারও বিশ্বশক্তি হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছে প্রকাশ্যে। কিন্তু তিনি যুক্তি দেখিয়ে বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক অর্জনের জন্য আগ্রহ কম এবং রাজনৈতিক অগ্রগতির জন্যই বেশি। সোভিয়েত ইউনিয়ন পাশ্চাত্যের বিরুদ্ধে এর আদর্শগত যুদ্ধের অংশ হিসেবে আফ্রিকায় অত্যন্ত দৃঢ় অবস্থান বজায় রেখেছিল। দেশটি আফ্রিকার লিবারেশন মুভমেন্টের সমর্থন যুগিয়েছে এবং দেশগুলোতে হাজার হাজার উপদেষ্টা পাঠিয়েছে। অবসান হয়েছে ঔপনিবেশিক শাসনের।
×