কলাপাড়ায় ছাত্রীর লাশ উদ্ধার ॥ ধর্ষণের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১৫ আগস্ট ॥ কলাপাড়ার মহিপুর ইউনিয়নের সেরাজপুর গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ইভা (১১) রহস্যেঘেরা ঘটনায় মারা গেছে। ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা গেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরে ঘণ্টাখানেক শিশুটির সৎমা সালমা বেগম (২৫) অচেতন ছিলেন। স্থানীয় লোকজন ডাকাতের দুর্বৃত্তপনার সন্দেহ করলেও পুলিশ মানতে নারাজ। স্থানীয়রা গণধর্ষণের কথাও বলে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনায় পুলিশ সালমা বেগমকে রাতেই আটক করে বুধবার দুপুর পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোন কূলকিনারা করতে পারেনি। গণমাধ্যমের কর্মীদের ওই মহিলার সঙ্গে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। গোটা বিষয়টি নিয়ে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ রয়েছেন। পুলিশ নিজেরা ধোঁয়াশায় রয়েছেন বলে মানুষ বলাবলি করছেন। নিহত শিশুটি মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। নিহত শিশুর চাচা ইউসুফ ঘরামী জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত তার ভাই ইসমাইল ঘরামীর ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। এ সময় মা সালামা বেগম দৌড়ে পাশের বাড়ি গিয়ে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে অচেতন হয়ে গেছে। আশপাশের লোকজন গিয়ে ঘরে ছোট্ট অপর শিশুকে দেখতে পেলেও ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ইভাকে খুঁজে পাচ্ছিল না। অনেক খোঁজার পর ঘরের দোতলায় বিবস্ত্র অবস্থায় ইভাকে পাওয়া যায়। এসময় তার শরীরের গোপনাঙ্গ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে দেখে স্থানীয়রা দ্রুত কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। সেরাজপুর গ্রামের আবুল কালাম দাবি করেন, ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা ধারণা করছি।