ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

লিয়াকত ও রজব আলীর রায় যেকোনো দিন

প্রকাশিত: ২২:৫২, ১৬ আগস্ট ২০১৮

লিয়াকত ও রজব আলীর রায় যেকোনো দিন

অনলাইন রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের লাখাই থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. লিয়াকত আলী এবং কিশোরগঞ্জের আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় হবে যে কোনো দিন। আজ বৃহস্পতিবার উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল মামলাটি শুনানি শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষামাণ রাখেন। আসামি মো. লিয়াকত আলী ও আমিনুল ইসলাম ওরফে রজব আলী মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন। ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাস গুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন গাজী এম এইচ তামিম। পরে প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন সাংবাদিকদের জানান, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এ দুই আসামির সর্বোচ্চ সাজা দাবি করে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে। দুই আসামি ১৯৭১ সালে বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানি সেনা সদস্য ও রাজাকার বাহিনীর সদস্যদের দোসর হয়ে লাখাই থানার কৃষ্ণপুর গ্রামে গণহত্যা, লুটপাটসহ নানা অপকর্ম করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা আশা করছি, উভয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। মামলার বিবরণে জানা যায়, লিয়াকত আলী ১৯৭১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের ছাত্র থাকাবস্থায় মুসলিম লীগের সদস্য হিসেবে ফান্দাউক ইউনিয়নে রাজাকার বাহিনীর দায়িত্ব পালন করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দীর্ঘদিন পালিয়ে থেকে লিয়াকত হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার নিজ এলাকায় ফেরেন। তিনি ২০০৩ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। সভাপতি থাকা অবস্থাতেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়। বর্তমানে তিনি ওই পদে নেই। কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম থানার আলী নগর গ্রামের রজব আলী ১৯৭০ সালে ভৈরব হাজী হাসমত আলী কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় ইসলামী ছাত্র সংঘের কলেজ শাখার সভাপতি হন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ভৈরবে পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে তিনি অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেন এবং পরে এলাকায় ফিরে আলবদর বাহিনী গঠন করেন। ২০১৬ সালের ১৮ মে এই দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। সেই থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছেন।
×