ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কোহলির উপরে অতিরিক্ত নির্ভরশীলতার জন্যই ভারতের ভরাডুবি ॥ সাঙ্গাকারা

প্রকাশিত: ০১:০০, ১৬ আগস্ট ২০১৮

কোহলির উপরে অতিরিক্ত নির্ভরশীলতার জন্যই ভারতের ভরাডুবি ॥ সাঙ্গাকারা

অনলাইন ডেস্ক ॥ বিরাট কোহলির উপরে অতিরিক্ত নির্ভরশীলতার জন্যই ইংল্যান্ডে প্রথম দু’টেস্টে ভারতের ভরাডুবি হয়েছে, মানছেন না কুমার সাঙ্গাকারা। প্রাক্তন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, ‘‘বিরাট গত কয়েক বছর ধরেই ধারাবাহিক ভাবে পারফর্ম করে আসছে। অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করছে বিরাট। পাশাপাশি ভারতের অন্য ব্যাটসম্যানরাও দারুণ।’’ সাঙ্গাকারা আরও বলেছেন, ‘‘পূজারা আর রাহানে খুব বড় মাপের ব্যাটসম্যান। পূজারার টেস্ট ক্রিকেটে গড় প্রায় ৫০। রাহানেও বিদেশের মাঠে ৫০ গড়ে রান করেছে। তা ছাড়া ভারতীয় দলে আরও ব্যাটসম্যান রয়েছে। কে এল রাহুল ছন্দে থাকলে দুরন্ত, মুরলী বিজয়, শিখর ধাবন, দীনেশ কার্তিক— এই নামগুলো কিন্তু কম বড় নয়।’’ টেস্ট সিরিজে নামার আগে ভারত একটি প্রস্ততি ম্যাচ খেলেছিল। সেটা নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি যখন সেই ম্যাচ কমিয়ে তিন দিনের করে দেওয়া হয়। সাঙ্গাকারা বলছেন, ‘‘প্রথম দু’টেস্টে ভারতের সমস্যায় পড়ার কারণ হয়তো প্রস্তুতির অভাব। তাই এ ব্যাপারে ভারতীয় দলকে আরও ভাবনা-চিন্তা করতে হবে। কারণ টেস্ট খেলতে নেমে প্রস্তুতি নেওয়া যায় না। অনুশীলন আর প্রস্তুতি ম্যাচেই ইংল্যান্ডের বোলাররা যে প্রশ্নগুলো ছুড়ে দিয়েছে তার সমাধান খুঁজতে হবে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের।’’ প্রাক্তন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটার আরও যোগ করেছেন, ‘‘উপমহাদেশের তুলনায় এখানে পরিবেশের যে তফাৎ থাকে তার সুবিধা খুব ভাল করে নিতে পেরেছে ইংল্যান্ডের বোলাররা।’’ ভারতের ব্যাটিং নিয়ে সব চেয়ে বেশি সমালোচনা হচ্ছে লর্ডস টেস্টে ইনিংসে হারার পরে। তাও প্রথম দিন খেলা হয়নি বৃষ্টির জন্য। গোটা টেস্ট জুড়েই বৃষ্টির দাপট কম-বেশি দেখা গিয়েছে। কার্যত দু’দিনেই ইংল্যান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করে ভারতীয় ব্যাটিং। সাঙ্গাকারা যা নিয়ে বলছেন, ‘‘টস থেকেই সমস্যা পড়ে যায় ভারত। দ্বিতীয় দিন বোলাররা সুবিধে পেত পরিবেশের। ফলে জেমস অ্যান্ডারসন এবং ক্রিস ওকস প্রবল সমস্যা তৈরি করে দিয়েছিল ভারতের জন্য। ১০৭ রানে আউট হওয়ার পরের দিন বিপক্ষ ব্যাট করতে নামার সময় যদি ব্যাটিং-সহায়ক পরিবেশ হয়, কিছু করার নেই। মোহাম্মদ শামি ভারতের হয়ে দারুণ বোলিং করলেও এই পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন।’’ সূত্র : বিবিসি বাংলা আলজাজিরা আনন্দবাজার পত্রিকা
×