ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নান্দাইলে পশু বিক্রির অবৈধ হাট

প্রকাশিত: ০৩:০৪, ১৬ আগস্ট ২০১৮

নান্দাইলে পশু বিক্রির অবৈধ হাট

সংবাদদাতা, নান্দাইল, ময়মনসিংহ ॥ আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে কোরবানীর পশু বিক্রির ৩০টি স্থানে অবৈধ হাট বসানোর অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে অবৈধ হাট বসানোর জন্য প্রতিদিন মাইকিং করা হচ্ছে। এসব হাটে কোরাবানির পশুর ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নানা সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এদিকে উদলার বাজারে কোরবানীর পশু বিক্রির অননুমোদিত হাটটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অপর হাটটি বেতাগৈর ইউনিয়নের চারশ্রীরামপুর আয়োজক মো. আবুল কাশেম ইউএনওর কার্যালয়ে এসে হাট বসাবেন না মর্মে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান। ইউএনওর কার্যালয় থেকে পাওয়া হাটবাজারের তালিকা সূত্রে জানা যায়, ১৪২৫ বাংলা বছরে সরকারিভাবে ইজারাকৃত হাট-বাজারের সংখ্য ৪৪টি। ইজারা ডাকের বাইরেও ছোটবড় একাধিক হাটবাজার রয়েছে। ৪৪ টির হাটের মধ্যে সারা বছর পশু বিক্রি হয় এমন হাটের সংখ্যা ১৩টি। তবে ১৩টি হাটের মধ্যে পশুর বৃহৎ হাট বলে পরিচিত নান্দাইল সদর ইউনিয়নের ‘হেমগঞ্জ বাজার’, চন্ডীপাশা ইউনিয়নের ‘নান্দাইল রোড বাজার’ ও শেরপুর ইউনিয়নের ‘পাঁচরুখী বাজার’ নানা জটিলতার কারণে কয়েকবছর ধরে ইজারা দিতে পারছে না প্রশাসন। সেগুলোতে সরকারিভাবে পশু কেনাবেচার হাসিল (খাজনা) আদায় করা হচ্ছে। তবে এই পদ্ধতিতে সরকার প্রচুর রাজস্ব মার খাচ্ছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিগত ১৪২৪ বাংলা বছরে ঈদুলআজহা উপলক্ষে ৩০টির বেশি অবৈধ হাট বসানো হয়েছিল। এসব অবৈধ হাটের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। দত্তপুর বাজারের ইজারাদার মোশাররফ হোসেন বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় ‘সাহেব বাজার’ নামে একটি অননুমোদিত বাজারে কোরবানীর পশু বিক্রির হাট বসানোর মাইকিং চলছে। উপজেলার কালিগঞ্জ বাজারের ইজারাদার শাহাদাৎ হোসেন বলেন, তাঁর বৈধ হাটের আশেপাশে কোনো অবৈধ হাট বসানো হলে তিনি প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেবেন। তারঘাট বাজারে পশুর হাট বসানোর কোনো অনুমতি নেই। বিগত বছরে এই বাজারে ইজারাডাক ছাড়াই কোরবানীর পশু বিক্রির হাট বসানো হয়েছিল। এবারও পশু বিক্রির হাট বসানোর জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসাদ্দেক মেহ্দী ইমাম বলেন, তিনি ‘শিকদার মার্কেট বাজার’ নামে পশু কেনাবেচার একটি হাট বাসনোর তোড়জোড় দেখতে পান। ইজারাকৃত হাটের তালিকায় এই নামে বাজার দেখতে না পেয়ে তিনি আয়োজক আবুল কাশেমকে হাট বন্ধ করার নির্দেশ দেন। কোরবানীর পশু বিক্রির অবৈধ হাট খুঁজের বের করার জন্য তিন সদস্যের একটি পরিদর্শন দল গঠন করেন বলেও জানান তিনি। নান্দাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মালেক চৌধুরী বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানীর পশুর হাট বসানোর জন্য অনেকেই আবেদন করেছেন। তবে বৈধ হাটের বাইরে নতুন হাট বসানোর কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি।
×