ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী;###;খুনীদের রাজত্ব বাংলাদেশে আর আসবে না, জনগণ আসতে দেবে না

ওরা দেশের শত্রু ॥ কখনও দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি চায় না

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১৭ আগস্ট ২০১৮

ওরা দেশের শত্রু ॥ কখনও দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি চায় না

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, যারা কোমলমতি শিশুদের নিয়ে খেলতে চেয়েছিল, উস্কানি দিয়েছিল এবং তাদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চেয়েছিল, তারা দেশ ও জাতির শত্রু। আর যাই হোক এরা কখনই দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি চায় না। বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে চায়, আলোর পথের যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। কিন্তু দেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। খুনীদের রাজত্ব বাংলাদেশে আর আসতে পারবে না, দেশের জনগণ আসতে দেবে না। বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের সঙ্গে জিয়াউর রহমান ও তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়াও জড়িত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকা-ের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে শুরু থেকেই জড়িত ছিলেন জিয়াউর রহমান। সে পাকিস্তানের এজেন্ট হয়ে কাজ করেছে। জিয়া যদি বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতই না থাকবে তবে ইউলিয়াম টমাসের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু হত্যা তদন্তে গঠিত কমিশনকে কেন দেশে আসতে ভিসা দেননি। জিয়াউর রহমানের মতো তাঁর স্ত্রীও (খালেদা জিয়া) ভোট চুরি করে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীকে সংসদে বসিয়েছিলেন। তার মানে সেও (খালেদা জিয়া) বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। খুনীরাই খুনীদের ঠাঁই দেয়, প্রশ্রয় দেয়। খুনীদের পুরস্কৃত ও প্রশ্রয় দেয়াও সমান অপরাধ। এরা দেশের ক্ষমতায় আসলে খুনীদেরই রাজত্ব হবে, দেশের কিছু হবে না। রক্তাক্ত-শোকাবহ ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আলোচনায় অংশ নেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সভাপতিম-লীর সদস্য এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য সিমিন হোসেন রিমি এমপি ও আনোয়ার হোসেন। প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের পরিচালনায় আলোচনার সভার শুরুতেই বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভাপতির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছু গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু পত্রিকায় দেখবেন, যেন সরকার ও আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমানোই যেন তাদের একমাত্র লক্ষ্য। কারণ দেশে যখন অসাংবিধানিক সরকার আসে তখন তাদের খুব কদর বাড়ে। একটা পতাকা বা ব্যবসা-বাণিজ্য ভাল হয়। সে কারণে গণতন্ত্র তাদের ভাল লাগে না। আসলে এরা সুযোগসন্ধানী। এদের কারণেই বাংলাদেশের মানুষকে বারবার বিপদে পড়তে হয়েছে, গণতন্ত্র হারাতে হয়েছে, অধিকার হারা হতে হয়েছে। এরা এখনও তাদের পূর্ব প্রভুদের ভুলতে পারে না। পাকিস্তানের পদলেহন ও তাদের পা চেটে খাওয়াই তাদের চরিত্র। ১৯৭৫ এর ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় দেশে এখনও চক্রান্ত চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখনও যারা এই চক্রান্ত করে যাচ্ছে, বংশ পরম্পরায় চক্রান্ত করছেÑ বাংলাদেশের মানুষকে বলব এদের সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। এরা বাংলাদেশের উন্নয়ন, বাংলাদেশের মানুষের ভাল দেখতে চায় না। শুধু নিজের ভাল দেখতে চায়। পাকিস্তানী চিন্তাচেতনায় বিশ্বাসীরা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য উস্কানি দিয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দামি লেখক-সাংবাদিকরা অপরাধ করলে তাদের অপরাধ কী কারণে অপরাধ নয়? লেখার স্বাধীনতা আছে। কিন্তু লেখার মাধ্যমে দামি লেখক-সাংবাদিকরা দেশটাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলেন, সে উপলব্ধি কি তাদের থাকবে না? উস্কানিদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে কী অন্যায় হয়ে যাবে? শিশুদের ব্যাগে থাকবে বই-খাতা-কলম। কিন্তু সেখানে চাইনিজ কুড়াল-পাথর কেন? সেসব বুড়া হাবড়াদের গ্রেফতার করলে কেন এতো হাহাকার? বড় বড় লেখক-সাংবাদিকরা কী সেটা দেখবেন না, লিখবেন না? তাদের কলকের কালি কী ফুরিয়ে গেল? যে যত বড়ই হোক, যারা অন্যায় করবে, তাদের বিচার কি এদেশে হবে না? সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উস্কানিদাতাদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। বাসের ড্রাইভার, মালিকসহ সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোমলমতি শিশুরা মাঠে নামলো। আমরা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। সেই ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্পূর্ণ মিথ্যা গুজব ও উস্কানী দিয়ে দেশে একটি অস্থিরতা ও অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হলো। দেশে অনেক জ্ঞানী-গুণী ও আঁতেল রয়েছে। পাকিস্তানি চেতনার বংশধরদের অনেকে গুজব রটিয়েছে। তিনি বলেন, উস্কানি দিয়ে কোমলমতি শিশুদের বিভ্রান্ত করে যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা রাষ্ট্রের বা সরকারের দায়িত্ব। আর আমাদের অনেকেই ভাল লিখতে পারেন। কিন্তু আমরা প্রশ্ন, কোমলমতি শিশুদের বিভ্রান্ত করে মিথ্যা গুজব ছড়িযে যারা দেশকে অস্থিতিশীল করে নিজের ফায়দা হাসিল করতে চেয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা কী অপরাধ? এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আন্দোলন দুদিন যেতে না যেতেই দেখলাম স্কুলের ড্রেস বানানোর হিড়িক পড়ে গেল। জামা-প্যান্টের উপরে স্কুল ড্রেস পড়ে অনেকেই মাঠে নেমে পড়ল। এদের কে মাঠে নামাল? স্কুলের ব্যাগ থেকে দা, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি, পাথর বেরুচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ব্যাগে তো বই থাকবে, অস্ত্র থাকবে কেন? এরা কারা? যারা কোমলমতি শিশুদের সঙ্গে জড়িয়ে এসব ঘটনা ঘটিয়েছে, উস্কানি দিয়েছে তাদের গ্রেফতার করাও কী অপরাধ? যারা এসব ঘটনা ঘটিয়েছে, কোমলমতি শিশুদের গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্ত করেছে, ঘোলা পানিতে যারা মাছ শিকার করতে চেয়েছে- তাদের সম্পর্কে কেন লেখা হয় না। এ ব্যাপারে কী তাদের কলমের কালি শুকিয়ে গেছে? তাই যে যত বড়ই হোন না কেন অন্যায় করলে তার বিচার হবেই বাংলাদেশে। অন্যায়কে কোনদিন প্রশ্রয় দেইনি, দেবও না। বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের সঙ্গে জিয়াউর রহমান শুরু থেকেই জড়িত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর প্রতি মাসেই জিয়াউর রহমান তাঁর স্ত্রীকে (খালেদা জিয়া) ঘন ঘন আমাদের বাড়িতে আসতেন। এটাও কী ১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রের অংশ? বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অস্ত্র ঠেকিয়ে অসাংবিধানিকভাবে জিয়াউর রহমান নিজেকে নিজে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। খুনী মোশতাক জিয়াকে সেনা প্রধান বানিয়ে পুরস্কৃত করেছিল। জিয়া শুরু থেকেই এ হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং পাকিস্তানের এজেন্ট হয়ে কাজ করেছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অনেকেই রয়েছেন তখন জিয়াকে বড় করে দেখাতে এবং গণতন্ত্রের প্রবক্তা হিসাবে জাহির করার চেষ্টা করেছেন। যে মার্শাল ল’ জারি করে দেশ চালায়, সে গণতন্ত্র দেয় কীভাবে? যিনি অস্ত্র ঠেকিয়ে ক্ষমতা দখল করে অবৈধভাবে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে তিনি গণতন্ত্র দেয় কীভাবে? তিনি বলেন, দেশে একটা-দুইটা খুনী হলে সবাই বিচারের দাবি জানান। কিন্তু দেখুন, একদিনে আমি বাবা-মা-ভাইসহ পরিবারের সবাইকে হারিয়েছি। কিন্তু বিচার চাইতে পারিনি। আমরা দুবোন দেশে ফিরলে আওয়ামী লীগ মাথা তুলে দাঁড়াবেÑ এটা জেনেই জিয়া আমাদের দেশে ফিরতে পর্যন্ত দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী আবেগজড়িত কণ্ঠে বলেন, বাবা-মাসহ পরিবারের সকল হত্যাকা-ের বিচার চেয়ে আমাকে ৩৫টি বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। অনেক সরকার এসেছে এবং গেছে কিন্তু কেউ বিচার করেনি। ইনডেমনিটি দিয়ে বিচারের পথ বন্ধ করে রেখেছে। উল্টো খুনীদের পুরস্কৃত করেছে। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ইনডেমনিটি বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছি এবং বিচারের রায়ও কার্যকর করেছি। আমি ক্ষমতায় না আসলে হয়তো কোনদিনই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতো না। তিনি দেশবাসী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তারা ভোট দিয়ে আমাদের বিজয়ী করে দেশসেবার সুযোগ দিয়েছিল বলেই আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতে পেরেছি। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুকে বিতর্কিত করতে একাত্তরের পরাজিত শক্তিসহ মুক্তিযুদ্ধেরও পক্ষ কিছু শক্তির ষড়যন্ত্র প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের হানাদাররা একাত্তরের প্রতিশোধ নিতে এবং ওই সময় স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে কিছু আমাদের মানুষ আছে তারাও হাত মিলিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হলো, ছাত্রলীগ ভেঙ্গে জাসদ করা হলো। যার ফল রক্তাক্ত ১৫ আগস্ট। আমার প্রশ্নÑ বঙ্গবন্ধুকে সময় না দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যারা ওই সময় কথায় কথায় বঙ্গবন্ধুকে গালি দিতেন, বিতর্কিত করার চক্রান্তে লিপ্ত ছিলেন- তারা কী এতটুকু অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে তারা দেশ ও স্বাধীনতার কী সর্বনাশ ডেকে আনছেন? আমার মনে হয়, অনুধাবন করতে পারেননি, পারলে বঙ্গবন্ধুকে আরও সময় দিতেন। জাতির জীবনে ১৫ আগস্ট না আসলে অনেক আগেই বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াত। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনীরা দেশের নামই পরিবর্তন করে পাকিস্তানী কায়দায় নাম রাখার চেষ্টা করেছিল। বিবিসিতে সাক্ষাতকার দিয়ে খুনী ফারুক-রশিদ বলেছে যে, বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা এতই বেশি ছিল যে, শত চেষ্টা করেও তা কমানো যায়নি। তাই তাঁকে হত্যা করা ছাড়া তাদের কাছে অন্য কোন উপায় ছিল না। অথচ আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিচার করতে আমাদের ৩৫টি বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীদের সম্পর্কে দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্রের পর বাংলাদেশ আজ মহাকাশও জয় করেছে। উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ আজ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের মানুষ স্বস্তি ও শান্তিতে রয়েছে- এটা অনেকেরই ভাল লাগছে না। যারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত, যারা ক্ষমতায় থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করেছে- তারা বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াক, বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলুক তা চায় না বলেই নানা ষড়যন্ত্র করছে। খুনীদের রাজত্ব আর বাংলাদেশে আসবে না, আসতে দেয়া হবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্ত কখনও বৃথা যেতে পারে না, আমরা বৃথা হতে দেব না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। আজকের দিনে এটাই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা। আর বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যে নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। কোন অন্যায়কেও প্রশ্রয় দেয়া হবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই। আর খুনীদের রাজত্ব বাংলাদেশে আর আসতে দেয়া হবে না, দেশের জনগণও আসতে দেবে না। বাংলাদেশকে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবই।
×