ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কোরবানি সামনে রেখে কিছুটা বেড়েছে মসলার দাম

প্রকাশিত: ০৩:১৫, ১৭ আগস্ট ২০১৮

কোরবানি সামনে রেখে কিছুটা বেড়েছে মসলার দাম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কোরবানি সামনে রেখে কিছুটা বেড়েছে মসলা পাতির দাম। চাহিদা বেড়েছে মাছ ও মুরগির। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে এসে প্রয়োজন মতো সবাই মসলা সামগ্রী কেনাকাটা করেছেন। অনেক ক্রেতাকে ইলিশ মাছসহ দেশীয় জাতীয় মাছ কিনতে দেখা গেছে। এ কারণে মাছের বাজার চড়া। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। কমেছে চিনির দাম। প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৫ টাকায়। চাল, ডাল, ভোজ্যতেল ও আটার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। রাজধানীর কাওরান বাজার, কাপ্তান বাজার, ফকিরাপুল বাজার এবং মুগদা বড় বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। পুরাণ ঢাকার কাপ্তান বাজারে বাজার করছিলেন র্যাঙ্কিন স্ট্রিটের বাসিন্দা বশির আহমেদ। তিনি জানান, কোরবানির দিন মাংস রান্না হবে। এ কারণে বেশি করে মসলাপাতি কেনা হচ্ছে। তবে অন্য সময়ের চেয়ে এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, তেজপাতা, জিরা, আদা, রসুন ও গোল ও মরিচের দাম কিছুটা বেড়েছে। তিনি বলেন, মসলাপাতির সঙ্গে কয়েক রকমের মাছ কেনা হয়েছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগিও কেনা হলো। মাছের দাম বেশি বলে জানালেন তিনি। তারমতে, এখন ইলিশ মাছের মৌসুম। অথচ ১ হাজারের নিচে কোন ইলিশ মাছ নেই। জাটকা সাইজের ইলিশের জোরাও হাজার টাকার উপর। শুধু তা নয়, ইলিশ মাছের সঙ্গে বেড়েছে দেশী রুই, কাতলা ও চিংড়ি মাছের দাম। এদিকে, পেঁয়াজ আগের মতো বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। জাত ও মানভেদে প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আমদানিকৃত বড় সাইজের ভারতীয় পেঁয়াজের দাম সেই তুলনায় কিছুটা কম। প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। এই দামও সাধারণ ভোক্তাদের কাছে অনেক বেশি। পেঁয়াজের পাশাপাশি সব ধরনের মসলার দামও বাড়তির দিকে রয়েছে। উন্নতমানের প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। এছাড়া আদা, রসুন, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, তেজপাতা, জিরা হলুদ ও শুকনো মরিচের মতো পণ্যের দামও একটু বেড়েছে। এক্ষেত্রে আদার দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৪০ টাকায়। অথচ গত সপ্তায় এই আদা ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আদার দাম বাড়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাওরান বাজারের খুচরা বিক্রেতা খলিল জানান, পাইকারি মার্কেটে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে তাদেরকে বেশি দামে বেচতে হচ্ছে। প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৯০ টাকায়। এছাড়া তেজপাতা ১৪০-১৬০, ধনে ১৩০-১৬০, এলাচ ২২০০-২৪০০, লবঙ্গ ১২০০-১৫০০, দারুচিনি ৩০০-৩৫০, জিরা ৩৮০-৪৬০, হলুদ ১৮০-২১০, শুকনো মরিচ ১৮০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোরবানি সামনে রেখে দাম বাড়ার বিষয়টি স্বীকার করে ফকিরাপুল বাজারের মসলা ব্যবসায়ী শাহিন জানান, এ সময় সব ধরনের মসলার দাম একটু বেড়ে থাকে। তবে কোরবানির পর আবার দাম হ্রাস পাবে। তিনি বলেন, বাড়তি চাহিদার কারণে দাম বেশি হয়ে থাকে।
×