ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ছড়া-কবিতা

প্রকাশিত: ০৭:৩৬, ১৮ আগস্ট ২০১৮

 ছড়া-কবিতা

সেই ছেলেটা -আহসান মালেক টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙা ভোরের আলোয় হলো রাঙা। জন্ম নিল একটি ছেলে, সেই খুশিতে ডানা মেলে গাইল পাখি মধুর সুরে গাছের শাখায় উড়ে উড়ে। সেই ছেলেটাই বড় হয়ে দেশ-মানুষের দুঃখ জয়ে হাত দুখানা দেয় বাড়িয়ে অনাচারের ভিত মাড়িয়ে নামল যখন পথের বাঁকে সূর্য দিল সাহস তাকে। পথ দেখাল পথের দিশা বলল, তাড়াও অমানিশা। জ্যোৎস্না দিল স্নিগ্ধ মায়া বৃক্ষ দিল শীতল ছায়া। বিশ্ব মাঝে তাক লাগাল মরা গাঙে বান জাগাল নিজের জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতার স্বপ্ন এঁকে। গড়ল নতুন দেশ ও জাতি জ্বেলে দ্রোহের লক্ষ বাতি। তাই তো সে আজ পরম মিতা বীর বাঙালীর জাতির পিতা। . সেই সে বালক -আইরীন নিয়াজী মান্না মধুমতি নদীর পাড়ে ছোট্ট একটি গ্রাম, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে গেছে সেই গাঁয়েরই নাম। সবুজ-শ্যামল সেই গাঁয়েরই ছোট্ট একটি বালক, মেঠো পথে ঘুরতে গিয়ে আনতো পাখির পালক। দুখির দুঃখে কাঁদতো সে যে কষ্ট পেতো কত, মনের মাঝে স্বপ্ন যত দুলতো অবিরত। সেই যে বালক প্রতিবাদী কষ্ট যে তার মনে স্বাধীন করতে মাতৃভূমি স্বপ্নের জাল বোনে। জেল-জুলুম অত্যাচার আর মৃত্যুকে নেই ভয় গাঁয়ের বালক উঠলো ফুঁসে; জয় হবে নিশ্চয়। সেই সে বালক ছোট্ট বালক জাতির সেতো নেতা তার ডাকেতে জাগলো সবাই ভাঙলো নীরবতা। দেশ স্বাধীনের স্বপ্ন মনে আঁকলো সবাই যখন সেই নেতা এক ঐতিহাসিক ভাষণ দিলেন তখন। রেসকোর্সে সাত মার্চে, হাজার লোকের ভিড় কালো কোটে নেতা এলেন সৌম্য এবং ধীর। হাত উঁচিয়ে বীরদর্পে দিলেন সে কি ভাষণ! পশ্চিমারা বুঝলো এবার নড়লো তাদের আসন। প্রিয় নেতা স্বাধীনতার দেন ঘোষণা যেই সাহস বুকে যুদ্ধে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই। মুক্ত হলো জন্মভূমি, স্বাধীন হলো দেশ জন্ম নিলো সোনার বাংলা, মুক্ত বাংলাদেশ। কিন্তু আহা, বলছি তাহা, স্বাধীন বাংলাদেশে সেই নেতার প্রাণ কেড়েছে দৈত্য-দানব এসে! . মুজিব আমার স্বাধীনতা -আ. ফ. ম. মোদাচ্ছের আলী আজকে আমি স্বপ্ন দেখি স্বপ্নটা কার জানো? শেখ মুজিবুর নামটা লিখি কাগজ কলম আনো। যুদ্ধজয়ের মন্ত্র দিয়ে গর্জে ওঠেন যিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর তিনি। জীবনজুড়ে জেলজুলুমে সময় গেছে তাঁর, আঙ্গুল উঁচু ঐ মানুষকে শ্রদ্ধা অশেষ বার। বুঝতে তিনি পেরেছিলেন পাকিস্তানীর ছল মুজিব আমার স্বাধীনতা মুজিব আমার বল। .
×