ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: ১৮:১৬, ১৮ আগস্ট ২০১৮

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

অনলাইন ডেস্ক ॥ রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর দমন-পীড়নের ঘটনায় মিয়ানমারের চার সামরিক ও পুলিশ কমান্ডারসহ দুটো সামরিক ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়। রোহিঙ্গা নিপীড়নের জবাবে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এটিই এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ। তবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের কেউ এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় নেই। তাছাড়া, রোহিঙ্গা বিরোধী প্রচারকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ কিংবা গণহত্যাও আখ্যা দেয়নি ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্র সরকারে এ বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গতবছর রোহিঙ্গদের ওপর নতুন করে অভিযান শুরুর পর অগাস্ট থেকে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তারা জানায়, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সেনা সদস্যরা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ মেরেছে। এরপর অক্টোবরেই এর জবাবে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবা হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরে ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের মেজর জেনারেল মাউং মাউং সোয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এবারের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র যোগ করেছে- মিয়ানমারের সামরিক কমান্ডার অং কায়াও জ, খিন মাউং সোয়ে, খিন হায়িং এবং সীমান্ত পুলিশ কমান্ডার থুরা সান লিউইন কে। তাদের সঙ্গে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে পদাতিক বাহিনীর ৩৩ এবং ৯৯ তম ডিভিশন। তবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। রাখাইনে সেনা অভিযানকে জাতিসংঘ ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে চিহ্নিত করলেও সেনাবাহিনী তা অস্বীকার করেছে। ওই অভিযানকে ‘সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই’ হিসেবে বর্ণনা করেছে তারা।
×