অনলাইন রিপোর্টার ॥ ঈদযাত্রার তৃতীয় দিন রবিবারে রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে আগের দিনের মতই অধিকাংশ ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশ খানিকটা দেরিতে।
যাত্রীদের অনেকে ট্রেনের ছাদে চড়ছেন। ইঞ্জিনের সামনে, দরজার হাতলে ঝুলেও বাড়ির পথ ধরেছেন অনেকে। এই ভিড়ের সঙ্গে দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা মিলিয়ে বিড়ম্বনা সঙ্গে নিয়েই চলছে ঈদযাত্রা।
রবিবারের ট্রেনের সূচি অনুযায়ী সকাল ৬টায় কমলাপুর থেকে দিনের প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি ছেড়ে যায় এক ঘণ্টা দেরিতে, সকাল ৭টার পর।
খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে স্টেশন ছাড়ে।
চিলাহাটির নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮টায় কমলাপুর ছাড়ার কথা, তবে ট্রেনটি স্টেশনেই আসে বেলা ১০টা ৫ মিনিটে, ছেড়ে যায় ১০টা ৫৫ মিনিটে। বেলা ৯টার রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন বেলা এগারোটা পর্যন্ত প্ল্যাটফর্মে আসেনি।
দিনাজপুরের এক্সপ্রেস সকাল ১০টায় কমলাপুর ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি পৌনে ১১টায় কমলাপুরে এসে বেলা ১১টায় স্টেশন ছেড়ে যায়।
লালমনিরহাট ঈদ স্পেশাল ট্রেন ছাড়ার কথা বেলা ৯টা ১৫মিনিটে। তবে বেলা ১১টা পর্যন্ত সেটি স্টেশনেই আসেনি। রেলওয়ে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ট্রেনটি ছাড়ার সম্ভাব্য সময় দিয়েছে।
ঢাকা-চিলাহাটি রুটের নীলসাগর ট্রেনের কমলাপুর ছেড়ে যাওয়ার কথা সকাল ৮টায়। দুই ঘণ্টা ৫ মিনিট দেরি করে বেলা ১০টা ৫ মিনিটে ট্রেনটি কমলাপুরের প্ল্যাটফর্মে আসে। দীর্ঘসময় অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা ট্রেনে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করেন।
রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টায় কমলাপুর ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত সেটি স্টেশনে আসেনি।
কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্ত্তী বলেন, শনিবার তেজগাঁওয়ে একটি ট্রেন এক ঘণ্টা আটকে থাকায় অন্য ট্রেনগুলো দেরি করেছে। গতকাল যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় অন্য ট্রেনগুলো ছাড়তে দেরি হয়েছে। সেগুলো ফিরতেও দেরি হয়েছে।