ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাজধানীতে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তায় ১৪ হাজার পুলিশ : ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত: ০৩:১৩, ২০ আগস্ট ২০১৮

রাজধানীতে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তায় ১৪ হাজার পুলিশ    :  ডিএমপি কমিশনার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর একটি ঈদ জামাতও পুলিশি নিরাপত্তার বাইরে থাকবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। সোমবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদের সময় রাজধানীতে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ১৪ হাজার পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি জানান, মহানগরীর প্রতিটি ঈদ জামাতে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একটি জামাতও পুলিশের নিরাপত্তার বাইরে থাকবে না। সব জামাতকে ঘিরে সমন্বিত, সুদৃঢ় ও সুবিন্যস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সমগ্র ঈদগাহ এলাকা এবং এখানে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথসহ চারপাশের এলাকা সিসিটিভির আওতায় থাকবে। ডিএমপি’র কন্ট্রোল রুম থেকে সিসি ক্যামেরাগুলো সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে বলেও জানান তিনি। তিনটি রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করা যাবে। শিক্ষা ভবন, মৎস্য ভবন ও প্রেসক্লাবের সামনে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করে প্রবেশ করতে দেয়া হবে। মূল গেটেও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ইমামের পেছনে ভিআইপিদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। সেখানে প্রবেশের সময় আর্চওয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। পোশাকে ও সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে চারপাশে বহিঃবেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। তিনি জানান, স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও ডিএমপি’র ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে পুরো এলাকা সুইপিং করা হবে। যেকোনও সময় যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট প্রস্তুত থাকবে। ফায়ার সার্ভিস ও মেডিক্যাল টিম নিয়োজিত থাকবে। ঈদগাহ এলাকায় ওয়াচ টাওয়ার থাকবে, সেখান থেকে পুরো এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররম ছাড়াও নগরজুড়ে সব ঈদের জামাতে আয়োজকদের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। ঈদ জামাতে আসা মুসল্লিদের জায়নামাজ এবং প্রয়োজনে ছাতা ছাড়া অন্য কিছু না আনার আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সবাইকে তল্লাশি করা হবে। এজন্য যদি গেটে দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয়, সবাইকে ধৈর্য সহকারে পুলিশকে সহযোগিতা করার আহ্বান রইলো। প্রয়োজনে মুসল্লিদের সঙ্গে আনা জায়নামাজ কিংবা ছাতা খুলেও পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। ঈদ উপলক্ষে এখনও নগরীর কোথাও ছিনতাই বা অজ্ঞান পার্টির তৎপরতার খবর পাওয়া যায়নি দাবি করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এবার রাজধানীর কোথাও অনুমোদন ছাড়া গরুর হাট বসতে দেয়া হয়নি। প্রায় এক কোটি মানুষ রাজধানী থেকে বের হবে। এজন্য ঢাকার বহির্গমন পথগুলোতে পুলিশের নজরদারি রয়েছে। ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, অনেক মানুষ রাজধানী ছেড়ে যাবে। ফাঁকা ঢাকা ও শপিংমলগুলোর নিরাপত্তায় পুলিশের টহল টিম ও চেকপোস্ট বাড়ানো হবে। ঈদ-কেন্দ্রিক সার্বিক নিরাপত্তায় ডিএমপি’র ১৪ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুস্পষ্ট কোনও থ্রেট নেই। তবে আগাম পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকবে।
×