অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শুধু শ্রমিকদের অদক্ষতার কারণেই দেশে প্রতিবছর নষ্ট হচ্ছে শতকোটি টাকার চামড়া। ট্যানারি মালিকরা বলছেন, এ জন্য চামড়া রফতানিতে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারছেন না তারা। ট্যানারি শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দিতে সরকারকে এখনই উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ তাদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু ট্যানারিতেই নয় দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা বাড়াতে হবে পাদুকা শিল্পেও।
গোলাম সারোয়ার। কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণে যার অভিজ্ঞতা ২২ বছরের। পুঁথিগত শিক্ষা কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক কোন প্রশিক্ষণ না থাকলেও, বছরের পর বছর শুধু অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করেই চামড়া শিল্পে শ্রম দিচ্ছেন এমন প্রায় ৬৫ হাজার শ্রমিক। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, শ্রমিকদের অদক্ষতার কারণে প্রতিবছর নষ্ট হয় শত কোটি টাকার চামড়া। এজন্য প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের কোন ব্যবস্থা না থাকাকেই দায়ী করছেন শ্রমিকরা।
দক্ষ শ্রমিকের অভাবে চামড়া খাতের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানায় ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বিটিএ। শুধু ট্যানারিতেই নয়, পরিকল্পনা মাফিক পাদুকা শিল্পের শ্রমিকদেরও প্রশিক্ষণের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, দক্ষ শ্রমিক যদি থাকত, তাহলে উৎপাদনটা ৫০ কোটি বর্গফুট করতে পারতাম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান সবুর আহমেদ বলেন, দক্ষ জনবল হিসেবে যদি তাদের তৈরি করতে পারি তাহলে এটার ইনকাম গার্মেন্টস এর ইনকামকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।