ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এ বছর চামড়া কিনতে ৬০০ কোটি টাকা ঋণ

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২১ আগস্ট ২০১৮

 এ বছর চামড়া কিনতে ৬০০ কোটি টাকা ঋণ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রতি বছরের মতো এবারও কোরবানির পশুর চামড়া কিনতে ঋণ দিচ্ছে সরকারী চার ব্যাংক। চামড়া খাতে দেয়া ঋণ সহজে আদায় না হলেও শিল্পের স্বার্থে ৬০০ কোটি টাকার ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকগুলো। স্বল্পমেয়াদী এ ঋণ বিতরণ করবে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, রূপালী ও অগ্রণী ব্যাংক। ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, চামড়া শিল্পের স্বার্থে কাঁচা চামড়া সংগ্রহে ঋণ দিচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। প্রতি বছর কোরবানি ঈদের আগে এ ঋণ দেয়া হয়। এবার ৪২ প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী আগের বছরের ঋণ যারা পুরোপুরি পরিশোধ করেছে তারাই ঋণ পায়। তবে গ্রহক সম্পর্কের বিবেচনায় ব্যাংক অনেকেই ঋণ দিয়ে থাকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার চার বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে চামড়া কিনতে সবচেয়ে বেশি ঋণ দিচ্ছে জনতা ব্যাংক। ব্যাংকটি এবার ৩২ প্রতিষ্ঠানকে দেবে ২১০ কোটি টাকা। গত বছর ব্যাংকটি দিয়েছিল ২০১ কোটি টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঋণ দিচ্ছে রূপালী ব্যাংক। এ বছর ব্যাংকটি দেবে ১৭৫ কোটি টাকা। রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান প্রধান বলেন, গত বছর চারটি প্রতিষ্ঠানকে চামড়া কিনতে ১৩৫ কোটি টাকা দেয়া হয়। এবার তিন প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হবে ১৭৫ কোটি টাকা। আগে ঋণ পেয়েছিল এ রকম একটি প্রতিষ্ঠান পুনঃতফসিল সুবিধা নিয়েছে বলে জানান তিনি। সোনালী ব্যাংক এ বছর ৭০ কোটি টাকা ঋণ দেবে। ভুলুয়া ট্যানারি, আমিন ট্যানারি ও কালাম ট্যানারিকে এ ঋণ দেয়া হবে বলে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান। চার প্রতিষ্ঠানকে ১৪৬ কোটি টাকা দেবে অগ্রণী ব্যাংক। গত বছর দুই প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছিল ১২০ কোটি টাকা। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ নির্দেশনা মোতাবেক কম সুদেই এসব ঋণ দেয়া হয়। বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সালমা ট্যানারির মালিক সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, চামড়া কেনার ঋণ মূলত এক বছরের জন্য পাওয়া যায়। যারা গত বছরের টাকা পরিশোধ করেছে তারাই ঋণ পায়। এ বছর সাভারে ট্যানারি স্থানান্তরের কারণে চামড়া শিল্পে অর্থের সঙ্কট চলছে। দুই তিনজন ব্যবসায়ী ছাড়া কেউ ঋণ পরিশোধ করতে পারেনি।
×