ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফ্রিজ, এসি ও কম্প্রেসর তৈরিতে দীর্ঘমেয়াদী নীতি সহায়তার দাবি

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ফ্রিজ, এসি ও কম্প্রেসর তৈরিতে দীর্ঘমেয়াদী নীতি সহায়তার দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের প্রযুক্তি শিল্পে সবচেয়ে সফল ইলেকট্রনিক্স খাতের উদ্যোক্তারা; বিশেষ করে রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার এবং এসি উৎপাদনকারীরা। এজন্য গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রেখেছে সরকারের যথাযথ নীতি সহায়তা। কিন্তু এই সহায়ক নীতি আগামি জুনের পর থাকবে কি না তা নিয়ে শঙ্কিত উদ্যোক্তারা। আর তাই এ খাতের পূর্নাঙ্গ বিকাশে বিদ্যমান সুবিধা অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা। এদিকে দেশে তৈরি কম্প্রেসরের ক্ষেত্রে আরোপিত ভ্যাট ও শুল্ক বৈষম্য এ শিল্পকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে। স্থানীয়ভাবে কম্প্রেসর উৎপাদনে বিদ্যমান ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার এবং কাঁচামাল আমদানিতে ভারসাম্যমূলক শুল্ক আরোপের দাবি জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। বিগত কয়েক বছর ধরে ফ্রিজ এবং এসি উৎপাদন খাত আশানুরূপ উন্নতি সাধন করেছে। মোট চাহিদার প্রায় ৯০ শতাংশ যোগান দিচ্ছেন স্থানীয় উৎপাদকরা। ফ্রিজ এসি উৎপাদনে দেশ প্রায় স্বয়সম্পূর্ন; আমদানি না করলেও চলে। এমনকি এসব পণ্য এবং আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ রপ্তানিও হচ্ছে। ২০২০ সাল নাগাদ ১০০ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানির টার্গেট রয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে কিছু স্বপ্নবাজ উদ্যোক্তা এবং সরকারের নীতি সহায়তার কারণে। ভ্যাট অব্যাহতি এবং অন্যান্য শুল্ক সহায়তা এ খাতকে বিকশিত করছে। তবে পূর্ণাঙ্গ বিকাশে দরকার বিনিয়োগ বাড়ানো। কিন্তু আগামি জুনের পর এই সহায়তা না-ও থাকতে পারে। কারণ সবশেষ দুই বছরের জন্য প্রদেয় সুবিধা আগামি জুনেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত বিকাশমান এ খাতকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাতে হলে সরকারের এই সহায়তা অব্যাহত রাখার জোর দাবি জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
×