ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে তিনটি বিল পাস দুটি নতুন বিল উত্থাপিত

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সংসদে তিনটি বিল পাস দুটি নতুন বিল উত্থাপিত

সংসদ রিপোর্টার ॥ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বুধবার তিনটি বিল পাস এবং দুটি নতুন বিল উত্থাপিত হয়েছে। পাসকৃত তিনটি বিলের ওপর বিরোধী দলের আনীত যাচাই-বাছাই ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নাকচ হয়ে যায়। পরে কন্ঠভোটে বিল তিনটি পাস হয়। পাসকৃত তিনটি বিল হলো- কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী উত্থাপিত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিল, ২০১৮ ও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল, ২০১৮ এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহাঃ ইমাজ উদ্দিন প্রমাণিকের পক্ষে প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের উত্থাপিত বস্ত্র বিল, ২০১৮। এছাড়া গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন হাউজিং এ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট বিল, ২০১৮ এবং শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড বিল, ২০১৮ নামের নতুন দুটি বিল উত্থাপন করেন। বিল দুটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অধিবেশনে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্ট দুটি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়েছে। পাসকৃত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিল সম্পর্কে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বিবৃতিতে বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির নিমিত্ত সার, সেচ, বীজ ও উদ্যান উন্নয়ন সংক্রান্ত কৃষি উপকরণ ও যন্ত্রপাতি প্রভৃতির উৎপাদন, সংগ্রহ, মেরামত, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিবহণ, গুদামজাতকরণ এবং কৃষক পর্যায়ে সরবরাহের কার্যক্রমসমূহ অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। সে পরিপ্রেক্ষিতে অর্ডিন্যান্সটি বাংলায় রূপান্তরসহ আইনে পরিণতকরণ আবশ্যক। সে বিবেচনায় বিলটি আনা হয়েছে। পাসকৃত বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল সম্পর্কে বলা হয়েছে, দেশের বরেন্দ্র এলাকায় ভূ-পরিস্থ ও ভূ-গর্ভস্থ পানি সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবহার, উন্নত সেচ কার্যক্রম, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, সেচযন্ত্র বৈদ্যুতিকরণ, বীজ উৎপাদন ও সরবরাহ, মৎস্য উৎপাদন, ফসলের বৈচিত্রায়ন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে বৃক্ষরোপণ ও সংরক্ষণ প্রভৃতি কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে বিলটি প্রণয়ণ করা হয়েছে। পাসকৃত বস্ত্র বিল সম্পর্কে বলা হয়েছে, বস্ত্র ও তৈরি পোশাক শিল্প ও দেশের অন্যতম প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত এবং অর্থনীতির অন্যতম মূল চালিকাশক্তি। তাই বস্ত্র খাতের কৌশল নির্ধারণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন ইত্যাদি কাজ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের পরিধিভূক্ত। এ পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশের বস্ত্রখাতকে যুগোপযোগিকরণ, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জনে সহায়তাকরণ, টেকসই উন্নয়ন, বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণ, আধুনিকায়ন, সমন্বয় ও মান নিয়ন্ত্রণ, বস্ত্র শিক্ষা ক্ষেত্রে চাহিদা ভিত্তিক ক্যারিকুলাম প্রণয়ন, গবেষণা, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দক্ষ জনবল সৃষ্টির লক্ষ্যে বস্ত্র আইন-২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। কারাদন্ডের বিধান রেখে ওজন পরিমাপ বিল ॥ নিবন্ধন সনদ ব্যতিত মোড়কজাত পণ্য উৎপাদন, বিপণন, বিক্রয় করলে এক বছরের কারাদন্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান সংসদে ‘ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন ২০১৮ বিল সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। একইসঙ্গে নিবন্ধন সনদ ছাড়া এলপিজি, এলএনজি বটলিং, টার্মিনাল ও ফিলিং স্টেশন পরিচালনা করলেও একইদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। এছাড়া ইমারত বা স্থাপনা তৈরী বা মেরামতে সিডিউলে ঘোষিত পরিমাপ লংঘন করলে ২ বছরের কারাদন্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। ডেপুটি স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার সংসদের ২২তম অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিলের ওপর রিপোর্ট প্রদান করার জন্য বিলটি সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।
×