ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নতুন সংস্করণের অ্যাপল ওয়াচ হৃদপিণ্ডের অবস্থা পরিমাপ করতে পারবে

প্রকাশিত: ২০:১৪, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নতুন সংস্করণের অ্যাপল ওয়াচ হৃদপিণ্ডের অবস্থা পরিমাপ করতে পারবে

অনলাইন ডেস্ক ॥ বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল নতুন সংস্করণের আইফোন বাজারে এনেছে। নতুন সংস্করণের তিনটি আইফোন এবং অ্যাপল ওয়াচ (ঘড়ি) উন্মুক্ত করেছে অ্যাপল। যিনি এ ঘড়ি ব্যবহার করবেন, তাঁর হৃদপিণ্ড ঠিকমতো কাজ করছে কিনা সেটি জানিয়ে দেবে অ্যাপল ওয়াচ। নতুন সংস্করণের আইফোন কেনার জন্য শুক্রবার থেকে বিশ্বের ত্রিশটি দেশে প্রি-অর্ডার করা যাবে। তবে সেসব দেশের অ্যাপল স্টোরে এ ফোনগুলো পাওয়া যাবে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে। যে তিনটি নতুন সংস্করণের আইফোন উন্মুক্ত করা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে - 'আইফোন এক্সএস', 'আইফোন এক্সএস ম্যাক্স' এবং আইফোন এক্সআর । আই ফোন এক্সএস ম্যাক্স এর ডিসপ্লে ৬.৫ ইঞ্চি, যেটি এ যাবতকালে আইফোনের সবচেয়ে বড় ডিসপ্লে। আইফোন এক্সএস-এর ডিসপ্লে আগের মতোই ৫.৮ ইঞ্চি। স্বাস্থ্য সচেতন অ্যাপল ওয়াচ অ্যাপল নতুন সংস্করণের যে হাতঘড়ি উন্মুক্ত করেছে সেটি ব্যবহারকারীর হৃদপিণ্ডের অবস্থা পরিমাপ করতে পারবে। হৃদযন্ত্রের কম্পন অনিয়মিত হচ্ছে কিনা সেটি চিহ্নিত করতে পারবে অ্যাপল ঘড়ি। এটা অনেকটা ইসিজি যন্ত্রের মতো কাজ করবে। অ্যাপল জানিয়েছে আমেরিকার ফুড এন্ড ড্রাগ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে নতুন এ সংযোজন। নতুন অ্যাপল ওয়াচে এমন একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার মাধ্যমে ঘড়ির ব্যবহারকারী কোথাও পড়ে গেলে এবং এক মিনিট নড়াচড়া না করলে অ্যাপল ওয়াচ থেকে জরুরী সেবায় বার্তায় পাঠাবে। সে বার্তায় ব্যবহারকারী অবস্থান সম্পর্কেও তথ্য থাকবে। এছাড়া ব্যবহারকারী যদি তাঁর পছন্দের বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের যোগাযোগ করার বিষয়টি ঘড়িতে নির্ধারণ করে রাখে, তাহলে তাদের কাছেও বার্তা পাঠানো হবে। নতুন আইফোনে কী আছে? 'আইফোন এক্সএস' এবং 'আইফোন এক্সএস ম্যাক্স' নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। তিনিটি নতুন সংস্করণের মধ্যে 'আইফোন এক্সআর' কম দামের । অ্যাপল বলছে স্মার্ট-ফোনের ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় ধরণের এক অগ্রগতি। ১. নতুন সংস্করণের এ দুটো আইফোনের ডিসপ্লে হবে আগের তুলনায় অনেক ঝকঝকে। এখানে সুপার রেটিনা ডিসপ্লে সংযোজন করা হয়েছে। এ ফোন সেট পানি ঢুকবে না। দুই মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট পর্যন্ত থাকতে পারবে এটি। এছাড়া প্রতিদিনের ব্যবহার সময় চা, কফি কিংবা অন্যকোন ধরনের তরল জিনিস ফোন সেটের উপর পড়লেও কোন সমস্যা হবে না। ২. নতুন এ দুটো আইফোন সেটে ছবি, ভিডিও, ভিডিও এডিটিং এবং গ্রাফিক্স-এর জন্য ভালো ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। এর ধারণ ক্ষমতা সর্বোচ্চ ৫১২ জিবি। ৩. ৫১২ জিবিতে সর্বোচ্চ দুই লক্ষ ছবি রাখা যাবে। কারণ এখানে ব্যাবহার করা হয়েছে এ১২ বায়োনিক চিপ। স্মার্ট ফোনের জগতে এটি সবচেয়ে উন্নত বলে বলছে অ্যাপল। ৪. নতুন সংস্করণের আইফোনে ছবি তোলার পর সেটির ব্যাকগ্রাউন্ডের গভীরতা পরিবর্তন করা যাবে। ৫. ব্যাটারির ক্ষমতা পুরনো সংস্করণের চেয়ে কিছুটা উন্নত। আইফোন এক্স-এর চেয়ে এক্সএস-এর ব্যাটারিতে চার্জ থাকবে ৩০ মিনিট বেশি। অন্যদিকে এক্সএস ম্যাক্স-এ ব্যাটারির চার্জ থাকবে দেড় ঘণ্টা বেশি। ৬. আইফোন এক্সএস এবং এক্সএস ম্যাক্স পাওয়া যাবে ৬৪জিবি, ২৫৬জিবি এবং ৫১২জিবি। শুরুতে এর মূল্য হবে যথাক্রমে ৯৯৯ মার্কিন ডলার এবং ১০৯৯ মার্কিন ডলার। ৭. নতুন সংস্করণের আইফোনের একটিতে পেছনে তিনটি ক্যামেরা থাকবে বলে বাজারে জোর গুজব উঠেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেল 'আইফোন এক্সএস' এবং 'আইফোন এক্সএস ম্যাক্স'-এ ১২ মেগাপিক্সেল-এর দুটো ক্যামেরা আছে। এখানে রয়েছে টুএক্স অপটিক্যাল জুম এবং ডুয়াল অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন। ফটোগ্রাফির জগতে এটি নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে অ্যাপল জানিয়েছে। শুধু ছবি নয়, উন্নত মানের ভিডিও ধারণ করা যাবে এ ফোন সেটের মাধ্যমে। ভিডিও ধারণের সময় নড়াচড়া হলেও ভিডিওতে সেটির প্রভাব পড়বে না এবং কম আলোতেও ভালো মানের ভিডিও ধারণ সম্ভব হবে। কারণ এখানে রয়েছে উন্নত মানের ইমেজ স্ট্যাবিলাইজার। ভিডিও'র শব্দ হবে উন্নত মানের। সর্বশেষ ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে আইফোন এক্স বাজারে এনেছিল অ্যাপল। সূত্র : বিবিসি বাংলা
×