অহেতুক বিদেশে ঘোরাঘুরি করে কোনো লাভ হবে না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিউইয়র্ক সফররত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, অহেতুক বিদেশে ঘোরাঘুরি করে কোনো লাভ হবে না। নির্বাচন যথাসময়েই হবে। কেউ ঠেকাতে পারবে না। বৃস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরই) সংগঠনটির সাবেক সভাপতি মোস্তাক হোসেনের স্মরণে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুক্কুর আলী’র সঞ্চলনায় স্মরণ সভায় সংগঠনের সাবেক সভাপতি শফিকুল করিম সাবু, মাহফজুর রহমান ও সাকাওয়াত হোসেন বাদশা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বড় দলগুলো ভিতরে ভিতরে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। নির্বাচন দেশে হবেই। মুখে যে যত কথাই বলুক, বড় দলগুলো মাঠে ময়দানে প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভেতরে সবাই প্রস্তুত হচ্ছে, আর বাইরে ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছে। এ আওয়াজ দিচ্ছে , যাতে কিছু আদায় করা যায় কি না। তিনি বলেন, এই নির্বাচনের মাঠে যতবেশী দল আসবে, আসুক, আমরা তাদের স্বাগত জানাই। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। আজকে তথ্যপ্রযুক্তির যুগ, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার যুগ, কেউ কোথাও কিছু করতে পারবে না। এক মুহুর্তে সমস্ত খবর সবার কাছে চলে যাবে। তাহলে কেন আমরা নিজেরা এ হুমিকিগুলো দেবো, একজনকে ছাড়া নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আপনারা যদি ইলেকশন করতে না চান, ভালো কথা। এর খেসারত আপনাদের দিতে হবে। একবার তো খেসারত দিয়েছেন, আবার দিতে হবে। কিন্তু ইলেকশন বাদ দিয়ে, ইলেকশন ঠেকিয়ে কোনো লাভ হবে না। এ দেশে কেউ কোনোদিন ইলেকশন ঠেকাতে পারেনি। ১৯৭০ সালেও বড় বড় নেতারা শ্লোগান দিয়েছিল, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় প্রতিজ্ঞতার কারণে এ দেশে নির্বাচন হয়েছিল। সুতরাং ইলেকশন কেউ ঠেকাতে পারবে না। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। প্রশাসন যখন আছে, মিডিয়া যখন আছে, বিদেশি পর্যবেক্ষকও আসবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছেন, এদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে যার ইচ্ছা আসুক। কোনো অনুবিধা নাই। বাংলাদেশের সব অর্জন গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় এসেছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির জনককে হারানোর পর এদেশে যেটুকু ভালো তা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাই দিয়েছে। অন্য কোনো পথে আসে নাই। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে। রাজনৈতিক সরকারের ভুল-ত্রুটি হতে পারে। কিন্তু সব অর্জন এই রাজনৈতিক সরকার এনেছে। তাহলে কেন ? কী কারণে উত্তেজনা সৃষ্টি করে নির্বাচনের পথকে বন্ধ করে দেবো। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সামনে নির্বাচন আসছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে অহেতুক, অপ্রয়োজনীয়ভাবে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। কেন কী কারণে? নির্বাচন এখন ঘরের দোয়ারে এসে কড়া নাড়ছে। এখানে জাতীয় নির্বাচনের বিকল্প তো কিছু হতে পারে না।