ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

একনেকে ইভিএম কেনার প্রকল্প অনুমোদন

প্রকাশিত: ২২:৫৫, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

একনেকে ইভিএম কেনার প্রকল্প অনুমোদন

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, ত্রুটিমুক্ত, বিশ্বাসযোগ্য ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর করতে দেড় লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনা হবে। আজ মঙ্গলবার ইভিএম কেনা প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একনেক সভায় মোট ১৩টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে ১৩ নম্বরে রাখা হয়েছিলো ইভিএম কেনা প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভা সকালে শুরু হয়। সভাশেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, দেড় লাখ ইভিএম কেনা প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পে প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। শুধু দেড় লাখ ইভিএম, সিস্টেম এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতির কেনার জন্য ৩ হাজার ৫১৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ফলে প্রতি ইউনিট ইভিএমের দাম পড়ছে প্রায় দুই লাখ টাকা। প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ চলতি সময় থেকে জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পাঠানো প্রস্তাবনায় দেখা গেছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ৩ হাজার ১১০ জন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নির্বাচন প্রক্রিয়া বিষয়ে সামগ্রিক দক্ষতা বৃদ্ধি, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বিষয়ক জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও সুষ্ঠু ও অবাধ করতে ইভিএম ব্যবহারে উদ্যোগ নেয় ইসি। ইতোপূর্বে ব্যবহৃত ইভিএমের ত্রুটিগুলো বিবেচনায় রেখে সম্পূর্ণ নতুন কনফিগারেশনের অত্যাধুনিক ও নির্ভরযোগ্য ইভিএম ব্যবহারে উদ্যোগ নেওয়া হয়। ইভিএম প্রস্তুতের জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়নের উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দক্ষ ও আইটি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীকে উপদেষ্টা করে একটা কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়। এই কারিগরি কমিটির পরামর্শ ও নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) নতুন কনফিগারেশনের উন্নত মানের ইভিএম প্রস্তুত করে। আপডেট করা নতুন ইভিএম মেশিন রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন-২০১৭ এ পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হয়। এই নির্বাচনের একটি কেন্দ্রের ছয়টি কক্ষে ইভিএম’র ব্যবহার মাধ্যমে সফলতার সঙ্গে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করা হয়। ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিটি কক্ষে ভোট গণনার সময় লাগে মাত্র এক মিনিট। দেশি-বিদেশি এবং নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মিডিয়া এবং সর্বসাধারণের মতে অনুযায়ী ইভিএম পরিচালিত কেন্দ্রের ভোট নিরপেক্ষ, সহজ এবং সময়বান্ধব হয়েছে। এসবের আলোকে মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।
×