ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বর্তমান সরকারের ৯ বছরে ৩৭৩ কিলোমিটার রাস্তা ৪-লেন করা হয়েছে : সেতুমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০১:০০, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বর্তমান সরকারের ৯ বছরে ৩৭৩ কিলোমিটার রাস্তা ৪-লেন করা হয়েছে :  সেতুমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সাল থেকে ২০০৮ পর্যন্ত গত ৩৭ বছরে মাত্র ৯১ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক চারলেন বা তদুর্ধ্ব লেনে উন্নীত হয়েছে। আর বর্তমান সরকারের গত ৯ বছরের শাসনামলে ৩৭৩ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক ৪-লেন বা তদুর্ধ্ব লেনে উন্নীত করা হয়েছে। বর্তমানে ১০১ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক ৪-লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম হাজেরা খাতুনের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, রূপকল্প-২০২১ এর লক্ষ্য ও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০ অর্জন এবং সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৪১ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে বর্তমান সরকার নিরবিচ্ছিন্নভাবে করে যাচ্ছে। সময়োপযোগী উদ্যোগ, নিবিড় পরিবীক্ষণ ও তত্ত্বাবধায়ন এবং আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে মহাসড়ক নেটওয়ার্ক ও গণপরিবহন ব্যবস্থা ধারাবাহিকভাবে উন্নত হচ্ছে। ফলে জনগণের যাতায়াত এবং পণ্য পরিবহণ নির্বিঘ্ন ও সহজতর হয়েছে। মন্ত্রী জানান, উন্নত খাতের আওতায় ৩ হাজার ৯৩০ কিলোমিটার মহাসড়ক মজবুতীকরণসহ ৪ হাজার ৫৯১ কিলোমিটার মহাসড়ক প্রশস্তকরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৮৪২টি সেতু ও ৩ হাজার ৫৪৬টি কালভার্ট নির্মাণ/পুণঃনির্মাণ করা হয়েছে। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ঢাকা মহানগরীর অভ্যন্তরীণ সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন, প্রবেশ ও নির্গমন মহাসড়কের যানজট নিরসন এবং ঢাকা ও পাশ্ববর্তী এলাকার জন্য পরিকল্পিত ও সমন্বিত আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাস র্যাপিট ট্রানজিট (বিআরটি) ও মেট্টোরেল (এমআরটি) প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া ঢাকার চারপার্শ্বে ও পাশ্ববর্তী এলাকার জন্য ঢাকার ইনার সার্কুলার রুট এবং ঢাকা মিডল সার্কুলার রুটের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি দলের অপর সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান, মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ৬০ এর ৩(৫) ধারায় নির্দিষ্ট স্টপেট ছাড়া যত্রতত্র গাড়ি থামানো যাবে না মর্মে উল্লেখ রয়েছে। নির্দিষ্ট স্টপেজ ছাড়া যত্রতত্র গাড়ি থামানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ বিষয়ে ট্রাফিক বিভাগ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণও ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। তিনি জানান, সড়ক দূর্ঘটনা রোধকল্পে বিভিন্ন কার্যক্রমের পাশাপাশি পেশাজীবী গাড়ি চালকদের দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। তাছাড়া সড়ক দূর্ঘটনা রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে লিফলেট, পোস্টার ও স্টিকার বিতরণ করা হচ্ছে।
×