ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

চা বিক্রেতা থেকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক

প্রকাশিত: ২৩:৫৬, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

চা বিক্রেতা থেকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ মাত্র পাঁচ বছরে চা বিক্রেতা থেকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক হয়ে “আঙুল ফুলে কলাগাছ” বনে গেছেন। একইসাথে তার সেন্টারে আসা রোগীদের ইসিজি করে রিপোর্ট তৈরি করে দিচ্ছেন সেই চা বিক্রেতা নজরুল ইসলাম। ঘটনাটি জেলার আগৈলঝাড়ার ৫০ শয্যা উপজেলা হাসপাতালের সামনের ‘সন্যামত ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ এর। সূত্রমতে, বাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দীর্ঘদিন ভুল রিপোর্ট ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক না থাকার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পায়নি ভূক্তভোগীরা। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে চা বিক্রেতা নজরুল ইসলামের অবৈধ সন্যামত ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি বন্ধ করে দিয়েছে জনতা। পাশাপাশি অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ভুয়া টেকনোলজিস্ট দিয়ে পরিচালিত আরেকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়ার ৫০ শয্যা উপজেলা হাসপাতালের সামনে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা একাধিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে বন্ধ করে দেয়া দুটি সেন্টার চালুর পর থেকে সার্টিফিকেটধারী কোনো প্যাথলজিস্ট নেই। হাসপাতালের চিকিৎসকদের ম্যানেজ করে অদক্ষ কর্মচারী দিয়ে রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে ভুল রিপোর্ট দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করে আসছিল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা। এ ব্যাপারে আজ বুধবার সকালে ডাঃ জ্যোতি রানী বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সন্যামত ডায়াগনস্টিক সেন্টার ভুয়া টেকনোলজিস্ট দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে তা আমার জানা ছিলোনা। আমি না জেনে এক রোগীকে ওই ক্লিনিকে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলাম। এ ভুল আর হবেনা। আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালের প্রধান ইউএইচএএফপিও চিকিৎসক আলতাফ হোসেন বলেন, আগৈলঝাড়ায় বাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা প্রায় সব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারই অবৈধ। অসহায়ত্ব প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের হাত-পা বাঁধা। অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের জন্য একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ওসিকে বলা হলেও তারা কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
×