ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনের আগে তথাকথিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে

গুম হত্যায় অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

গুম হত্যায় অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা

গাফফার খান চৌধুরী ॥ সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে অপহরণের পর হত্যার ঘটনা আবারও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এছাড়া আচমকা দিনদুপুরে রাস্তায় গুলি করে মানুষকে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। এসব ঘটনা মানুষের মধ্যে রীতিমতো আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে। কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে তার কূল-কিনারা হচ্ছে না। সত্যি সত্যিই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক অপহরণের পর হত্যার ঘটনা ঘটছে কিনা তা নিয়েও সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে বলা হচ্ছে, তাদের এ ধরনের তৎপরতার সঙ্গে জড়িত হওয়ার ন্যূনতম প্রয়োজন নেই। অভ্যন্তরীণ কোন্দল, আধিপত্য বিস্তার, ব্যক্তিগত আক্রোশসহ নানা কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। আর এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা নিজেদের আড়াল করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণের পর হত্যাকা-গুলো ঘটায় বলে বিভিন্ন সময় গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যে বেরিয়ে এসেছে। গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ও আন্তর্জাতিক কোন গোষ্ঠীর পক্ষে পরিকল্পিতভাবে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে দেশকে অস্থিতিশীল করতেই এমন ঘটনা ঘটানো বিচিত্র নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের পূর্বাচল উপশহরের তিন শ’ ফুট সড়কের আলমপুর এলাকার ১১ নম্বর ব্রিজের কাছ থেকে অজ্ঞাত হিসেবে তিন জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতরাÑ মোঃ সোহাগ (৩২), শিমুল (৩০) ও নূর হোসেন ওরফে বাবু (৩০) বলে পরিচয় মিলে। শিমুলের বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ঘোরেলায়। আর নূর হোসেনের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ির পাইকপাড়ায়। শিমুল ও নূর হোসেন সম্পর্কে ভায়রা। নূর হোসেনের পকেট থেকে ৬৫ ইয়াবা পায় পুলিশ। নিহত শিমুলের মা চায়না বেগম জানান, সোহাগ, শিমুল ও নূর হোসেন বাবু তিন বন্ধু। শিমুল ও নূর হোসেন বাবু ঝুটের ব্যবসা ও আর সোহাগ ডিশ এ্যান্টিনার ব্যবসা করত। সোহাগ ও নূর হোসেন বাবু মিলে বন্ধু শিমুলের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বেড়ানোর পর গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে তারা মাওয়া হয়ে ঢাকায় ফিরছিল। তাদের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে বাইপাল আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কের আশুলিয়ার মড়াগাং এলাকায় সন্ত্রাসীরা একটি প্রাইভেটকার থামিয়ে গুলি চালায়। গুলিতে হিজড়াদের দলনেতা আব্দুল্লাহ ওরফে রাশিদা (৫০), শিখা (২৮), এলিচ ওরফে এলাইচ (২৭) ও গাড়িচালক নুর নবী (৩০) মারাত্মক আহত হন। আহতরা আশুলিয়ার জামগড়া থেকে একটি প্রাইভেটকারযোগে ঢাকার উত্তরায় যাচ্ছিল। কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে তাদের গুলি চালিয়ে আহত করেছে তা স্পষ্ট নয়। ঘটনা দুটির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে র‌্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জনকণ্ঠকে বলেন, বহু যুগ ধরেই অপহরণের মতো অপরাধ হচ্ছে। হালে সেই অপরাধের ধরন পাল্টেছে মাত্র। এখন অপহরণকারীরা নিজেদের আড়াল করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এতে করে মূল অপহরণকারীরা আড়ালেই থাকার চেষ্টা করছে। এটা মূলত অপহরণকারীদের গ্রেফতার এড়ানোর কৌশল। আমাদের অভিযানে বহু ভুয়া ডিবি পুলিশ, র‌্যাব, গোয়েন্দা সদস্য, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। তাদের কাছ থেকে এসব বাহিনীর ব্যবহৃত সরঞ্জামাদির মতো হুবহু নকল সরঞ্জামাদি জব্দ হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা অপহরণ থেকে শুরু করে যেকোন ধরনের অপরাধ করে থাকে। এক্ষেত্রে তারা নিজেদের গ্রেফতারের হাত থেকে বাঁচাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। ব্যক্তিগত আক্রোশ, জমিজমা নিয়ে বিরোধ, পারিবারিক বিরোধ, রাজনৈতিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার, মাদক বা অন্যান্য ব্যবসার টাকার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বসহ নানা কারণ জড়িত। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ডিবি পরিচয়ে তিন জনকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তারা পরস্পর বন্ধু। তাদের দুই জনের বিরুদ্ধে বহু মামলা আছে। তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থাকারও তথ্য মিলেছে। এটি ছাড়াও সোমবার আশুলিয়ায় গুলি করে তিনজনকে মারাত্মক আহত করার ঘটনাসহ অন্যান্য অপহরণের ঘটনার বিষয়ে তারা অনুসন্ধান করছেন। কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে তা জানার চেষ্টা অব্যাহত আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে তারা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এমনিতেই গ্রেফতার বা আটক করতে পারেন। কাউকে আটক করার জন্য অন্য কোন সংস্থার পরিচয় দেয়ার প্রয়োজন হয় না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষণœ করার জন্য কোন বিশেষ গোষ্ঠী এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে কিনা সে বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। বিষয়টি সম্পর্কে পুলিশ সদর দফতরের ইন্টেলিজেন্স এ্যান্ড স্পেশাল এ্যাফেয়ার্সের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জনকণ্ঠকে জানান, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। আগের ঘটনাসহ পরের ঘটনাগুলোর মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে। এসব ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে। মূলত কারা কি কারণে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে তা জানার চেষ্টা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে এসব ঘটনা ঘটানোর সঙ্গে বিশেষ কোন গোষ্ঠী জড়িত। ওইসব গোষ্ঠীর বিশেষ কোন দুরভিসন্ধি আছে কিনা সে বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, অনেক সময় ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য এবং সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপে রাখার জন্যও আত্মগোপনে গিয়ে অপহরণের গল্প ছড়িয়ে দেয়া হয়। এমন ঘটনা ঘটেছিল যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমানের বেলায়। গত বছর স্বেচ্ছায় চালকসহ আত্মগোপনের পর বিএনপি-জামায়াত জোটের তরফ থেকে সরকার মজিবর রহমানকে ইলিয়াস আলীর মতো চালকসহ গুম করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। এমন অভিযোগে নানা কর্মসূচীও পালন করে বিএনপি-জামায়াত। সাড়ে তিন মাস পর আত্মগোপন থেকে বের হন মজিবর রহমান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, মজিবর রহমান সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। ১৫ বছর ধরে লন্ডনের ব্রিকলেনে সপরিবারে বসবাস করছিলেন। আখের গোছাতে তিনি যুক্তরাজ্যে যুবদল প্রতিষ্ঠা করে সভাপতি হন। যুক্তরাজ্যে মজিবর রহমান চালকসহ নিখোঁজ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী মুক্তি পরিষদের সক্রিয় সদস্য হিসেবে বহু অর্থ হাতিয়ে নেন। তাকে নানাভাবে সহায়তা করেন লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা। সূত্র বলছে, ২০০৩ সালে লন্ডনের ব্রান্ডি সেন্টারে যুবদলের সভায় মত বিরোধের জেরে এক কর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা করেন মজিবর রহমান। এ ঘটনায় তার ৬ মাসের কারাদ- হয়। ২০০৪ সালের ২৯ এপ্রিল তিনি লন্ডনের কেন্টের একটি কারাগার থেকে মুক্তি পান। নিয়মানুযায়ী লন্ডন পুলিশ মজিবর রহমানের শরীরে বিশেষ যন্ত্র লাগিয়ে দেয়। ওই যন্ত্রের মাধ্যমে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তি কোন অপরাধে জড়িয়ে পড়েন কিনা তা মনিটরিং করা হয়। লন্ডনে মজিবর রহমান অনেক দিন ওই বিশেষ যন্ত্র নিয়েই ঘোরাফেরা করেন। ২০০৯ সালে মজিবর রহমান লন্ডনে আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালান সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। বড়মাপের মাদক ডিলার হন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাদকের বড় বড় চালান পাঠানোই তার প্রধান কাজ ছিল। লন্ডনে পাকিস্তানী মাদক মাফিয়া গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত হয়ে মাদক পাচার করছিলেন। মাদকের টাকা আত্মসাত করার সূত্রধরে মাফিয়াদের সঙ্গে তার বিরোধ হয়। মাফিয়াদের বহু টাকা আত্মসাত করে হুন্ডির মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেন। সেসব টাকায় সুনামগঞ্জ ও সিলেটে বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেন। এছাড়া মজিবর রহমান যুক্তরাজ্যের ব্রিকলেনে বসবাসরত খুলকো মিয়া নামে এক বাংলাদেশীর কাছ থেকে এক লাখ পাউন্ডে ‘দি সেভেন স্টার বার’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিনে নেন। পরবর্তীতে নানা টালবাহানা করে বার কেনার টাকা দেননি। বিষয়টি লন্ডনের আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আদালত বার কেনার সমুদয় টাকা জরিমানাসহ পরিশোধ করার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে আদালত মজিবর রহমানের লন্ডন ত্যাগের ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করে। মাদক মাফিয়াদের টাকা আত্মসাত আর খুলকো মিয়ার টাকা পরিশোধের ঝামেলা এড়াতে আত্মগোপনে যাওয়ার দুই সপ্তাহ আগে মজিবর রহমান লন্ডন থেকে গোপনে বাংলাদেশে চলে আসেন। বসবাস শুরু করেন সুনামগঞ্জে। পরে স্বেচ্ছায় চালকসহ আত্মগোপনে গিয়ে নাটক সাজান। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ভিয়েতনামের সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামানের ঘটনাটির নতুন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। মেয়ে সামিহা জামানকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আনতে ধানম-ির বাসা থেকে ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। ৫ দিন পর ৫ ডিসেম্বর তার গাড়িটি পুলিশ পরিত্যক্ত অবস্থায় ঢাকার ৩শ’ ফুট রাস্তা থেকে উদ্ধার করে। নিখোঁজ মারুফ জামান ২০০৮ সালের ৬ ডিসেম্বর থেকে ২০০৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। এর আগে তিনি কাতারের রাষ্ট্রদূত ও যুক্তরাজ্যের কাউন্সেলর ছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি অবসরে যান। ধানম-ি মডেল থানার ওসি আব্দুল লতিফ জনকণ্ঠকে জানান, মারুফ জামানের কোন হদিস মেলেনি। মারুফ জামানের বাড়িটি নিয়ে ডেভেলপার কোম্পানি ছাড়াও নিজেদের মধ্যে গ-গোল থাকার কথা জানা গেছে। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ২০০৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানী থেকে নিখোঁজ সিলেটের বিশিষ্ট চিকিৎসক মেজর (অব) ডাঃ রুকন উদ্দিন চৌধুরী, ২০০৪ সালের ১৭ অক্টোবর সিলেট উপশহর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে অপহৃত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান, ২০০৬ সালের ১৩ নবেম্বর সিলেটের পুলিশ লাইন স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র অপহৃত মাশিয়ানের আজও হদিস মেলেনি। ২০০৪ সালে অপহৃত চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিনের কঙ্কাল উদ্ধার হয় গহীন জঙ্গল থেকে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কমিশনার চৌধুরী আলম, যুবলীগ নেতা লিয়াকত আলী, চালকসহ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী, ২০০৮ সালের ২২ জুলাই সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়া বেড়া বাজার থেকে যুবলীগ নেতা তুষার ইসলাম টিটু, ২০০৯ সালের ২৯ জুন ঢাকার হাতিরপুলের ব্যবসায়ী জহির রায়হান হিরণকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে অপহরণের পর আজও তাদের হদিস মেলেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র বলছে, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের ২০০২ সালেই ১০৪০ ব্যক্তি অপহৃত হয়। ১৯৭১ সালের পর এক বছরে এত মানুষ অপহরণের আর কোন ঘটনা ঘটেনি। এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অপহরণের রেকর্ড।
×