ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বেসরকারী হাসপাতালে রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত চার্জ নেয়া হচ্ছে ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বেসরকারী হাসপাতালে রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত চার্জ নেয়া হচ্ছে ॥ নাসিম

সংসদ রিপোর্টার ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে অনেক সময় রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত চার্জ নেয়া হচ্ছে। একবার দেখলাম একটি বেসরকারী হাসপাতাল টাকার জন্য আইসিইউতে লাশ আটকে রেখেছে। এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত অমানবিক। এসব সমস্যার সমাধান একদিনে সম্ভব নয়। বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোকে আইনের আওতায় এনে এই ধরনের কর্মকা-ের জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে, যেন রোগী কিংবা তাদের স্বজনরা হয়রানির শিকার না হন। বুধবার সংসদ অধিবেশনে সংরক্ষিত আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির কার্যপ্রণালী বিধি ৭১-এ আনা ‘প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা খরচ নির্ধারণে নির্দেশনা প্রদান’ শীর্ষক জরুরী জনগুরুত্বপূর্ণ একটি নোটিসের ওপর দেয়া বিবৃতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর জন্য নীতিমালা তৈরি করতে এ বছরের ২ জানুয়ারি একটি কমিটি করা হয়েছে। বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহের চার্জও নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। নোটিস উত্থাপনকারী বাপ্পির সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঈদ ও পূজাসহ বিভিন্ন উৎসব-পার্বনে সরকারী হাসপাতালগুলোতে যেন চিকিৎসাসেবা নিরবচ্ছিন্ন থাকে সেজন্য ইতোমধ্যেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা করে ওই সময়ে তারা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। গত কয়েক বছরে আমি নিজেও বিষয়টি মনিটরিং করছি। এর আগে কার্যপ্রণালী বিধি ৭১-এ সিলেট-৫ আসনের জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিনের ‘এ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ’ শিরোনামে আনা নোটিসের ওপর দেয়া সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এ বিষয়ে ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো যেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুসরণ করে, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া আছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরও এ বিষয়ে মাঠপর্যায়ে অত্যন্ত তৎপর। কোন কোম্পানির উৎপাদিত এ্যান্টিবায়োটিক মানসম্পন্ন না হলে সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো বাতিল করার পাশাপাশি কোন কোন ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির লাইসেন্সও বাতিল করা হচ্ছে। এছাড়া ডাক্তাদের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া যেন এ্যান্টিবায়োটিক কেনা-বেচা হতে না পারে, সেই বিষয়েও মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে কড়া নির্দেশনা দেয়া আছে। মন্ত্রী জানান, সারাদেশে সরকারী হাসপাতালগুলোতে সরকারীভাবেও কিছু এ্যান্টিবায়োটিক নিয়মিত সরবরাহ করা হচ্ছে। নোটিস উত্থাপনকারী সেলিম উদ্দিনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ইতোমধ্যে আমরা পরীক্ষামূলকভাবে স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প চালু করেছি।
×