ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আহমেদ টিকু

মানব কল্যাণে বিত্ত বিনিয়োগ

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মানব কল্যাণে বিত্ত বিনিয়োগ

ছাত্রজীবনে পড়েছিলাম অর্থই সকল অনর্থের মূল। কিন্তু বাস্তব জীবন অর্থ বা বিত্ত ছাড়া পুরোপুরি অচল । আমাদের বাস্তব জীবন চলার পথে প্রতি পদক্ষেপে অর্থের কোন বিকল্প নেই। আমাদের চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া, চিকিৎসা, শিক্ষাদীক্ষা, ধর্ম - কর্ম, সামাজিকতা সব কাজেই অর্থের প্রয়োজন অনস্বীকার্য। প্রয়োজনীয় অর্থ ছাড়া জীবন অচল, স্থবির। অপরদিকে অতিরিক্ত অর্থ বা বিত্ত মানুষকে করে দেয় অমানুষ। মানুষের হৃদয়ে নিয়ে আসে ঘৃণা, অহংকার, স্বার্থপরতা, নেশাগ্রস্ততা, অপব্যয় প্রভৃতি চরিত্রধ্বংসী বৈশিষ্ট্য। বিত্তশালী মানুষ ভোগবিলাসে মত্ত থাকে। নিচের তলার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের ছোটলোক তথা সমাজের কীট ও জঞ্জাল ভাবে। বিত্তের লোভে মানুষ মানুষকে খুন করে, প্রতারণা করে পথে বসায় , আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করে । বিত্তলোভ মানুষের ন্যায়-অন্যায় বোধ লোপ করে যেকোন উপায়ে সম্পদের পাহাড় গড়তে প্রবৃত্ত করে। এতে দেশ জাতি ও সমাজ হয় বঞ্চিত, ক্ষতিগ্রস্ত। পক্ষান্তরে , এই বিত্তশালীদের বুকে যদি প্রকৃত মানুষের চিত্ত থাকে তবে সেই বিত্ত বিনিয়োগ করতে পারে মানব কল্যাণে । অন্নহীনের মুখে তুলে দিতে পারে একমুঠো ভাত, বস্ত্রহীনকে দিতে পারে এক খ- বস্ত্র, আর্ত-পীড়িতের সেবায় তৈরি করে দিতে পারে হাসপাতাল, দুর্যোগ কবলিত মানুষকে করতে পারে প্রয়োজনীয় সহায়তা, ছিন্নমূল শিশুদের জন্য করতে পারে উপযুক্ত বাসস্থান ও শিক্ষার ব্যব¯থা। দেশের লাখ লাখ হতাশাগ্রস্ত বেকারদের জন্য করতে পারে কর্মের ব্যবস্থা। হাজী মহসীন, রাজা হরিশ্চন্দ্র, রনদা প্রসাদ সাহা, ডা. ইব্রাহিম, আলফ্রেড নোবেল সহ বহু শত নাম ইতিহাসে দানশীলতার জন্য বিখ্যাত। জ্ঞানীরা বলেন, ‘মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন , বিলাস ধন নহে’। তাই একথা বলা যায়, জীবনে বিত্ত আসুক তাতে কোন সমস্যা নেই, কিন্তু বিত্তবানের চিত্তে থাকুক মানবপ্রেম, মানবতা। ভাঙ্গুড়া, পাবনা থেকে
×