ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ত্রাণ সরবরাহ বিঘ্নিত

ইয়েমেনে দুর্ভিক্ষের মুখে ৫২ লাখ শিশু

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ইয়েমেনে দুর্ভিক্ষের মুখে ৫২ লাখ শিশু

ইয়েমেনে নতুন করে আরও ১০ লাখ শিশু দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মুখে আছে বলে সতর্ক করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন। যুদ্ধের কারণে বাড়তে থাকা খাদ্যমূল্য ও ইয়েমেনী মুদ্রার অব্যাহত দরপতনে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকির মধ্যে পড়া পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। -বিবিসি এর সঙ্গে আরও একটি হুমকি যুক্ত হয়েছে। দেশটির বিদ্রোহী অধিকৃত এলাকাগুলোতে পাঠানো ত্রাণের অধিকাংশই প্রধান সমুদ্র বন্দর হুদাইদার মধ্য দিয়ে ওই এলাকাগুলোতে যায়। কিন্তু হুদাইদার চারপাশে চলা লড়াইয়ের কারণে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ত্রাণ সরবরাহ ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এতে বিদ্যমান পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইয়েমেনে এখন মোট ৫২ লাখ শিশু দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন বলে জানিয়েছে শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাটি। ‘লাখ লাখ শিশু জানে না পরবর্তী খাবারটি কখন পাবে অথবা আদৌ পাবে কি না। উত্তর ইয়েমেনের (বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত) একটি হাসপাতালে গিয়েছিলাম, সেখানে শিশুদের কান্না করারও শক্তি নেই, ক্ষুধায় তাদের দেহ অবসন্ন হয়ে গেছে,’ বলেছেন সেইভ দ্য চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী হেল থর্নিং-শ্মিট। ‘এতে ইয়েমেনী শিশুদের পুরো এক প্রজন্মকে ধ্বংসের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, যারা বোমা থেকে শুরু করে ক্ষুধা ও প্রতিরোধযোগ্য রোগ, যেমন কলেরার মতো বহুমাত্রিক হুমকির সম্মুখীন,’ বলেছেন তিনি। চলতি মাসের প্রথমদিকে সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছিল, চলতি বছর এ পর্যন্ত তারা তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় চার লাখ শিশুকে চিকিৎসা দিয়েছে। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই ৩৬ লাখেরও বেশি শিশুর মৃত্যু হতে পারে বলে সতর্ক করেছে বেসরকারী এই সংস্থাটি। জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, ইয়েমেনের যুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার লোক নিহত হয়েছে যাদের দুই-তৃতীয়াংশ বেসামরিক আর আহত হয়েছে আরও ৫৫ হাজার লোক। ২০১৫ সালের প্রথমদিকে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানাসহ দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের অধিকাংশ অঞ্চল দখল করে নেয়। এতে দেশটির প্রেসিডেন্ট আব্দরাব্বু মনসুর হাদি দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন।
×