ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় ছাত্রী হত্যার পর লাশ গুম

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

কলাপাড়ায় ছাত্রী হত্যার পর লাশ গুম

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১৯ সেপ্টেম্বর ॥ এবার পূর্ব আলীপুর গ্রামে নবম শ্রেণীর ছাত্রী মরিয়মকে খুনের পর লাশ গুম করা হয়েছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের এ ঘটনায় মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। মরিয়মের ঘুমানোর ঘর থেকে পুলিশ রক্তমাখা দু’টি ছুরি, রশি। তার ব্যবহৃত পায়ের নূপুরসহ দুই টুকরো কাটা মাংস উদ্ধার করেছে। রক্তে লাল হয়ে আছে ঘর এবং বারান্দার ফ্লোর। কিন্তু ওই ছাত্রীর জীবন্ত কিংবা মৃতদেহের কোন হদিস মেলেনি। লোমহর্ষক এ ঘটনাটি বুধবার ভোরে মরিয়মের পরিবারের লোকজন জানতে পারে। তাদের দাবি ধর্ষণ শেষে নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে। জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতের খাবার খেয়ে মৃত জেলে বাবুল মল্লিকের স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৪০) শিশুছেলে হামিম (৩) ও মেয়ে মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মরিয়মকে (১৫) নিয়ে এক খাটে ঘুমায়। ঘরের দোতলায় নুরজাহানের বড় মেয়ে রেশমা (১৯) ও মেয়ে জামাই মাঈনুল ঘুমিয়ে ছিল। রাত তিনটার দিকে রেশমা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে যায়। তখনও ঘরে ফেরার সময় ছোট বোন মরিয়মের সঙ্গে কথা বলেছে। এরপর ভোর আনুমানিক চারটায় মা নুরজাহান বেগমের চিৎকারে ঘরের সকলের ঘুম ভাঙ্গে। মরিয়মকে না পাওয়া এবং ঘরের বিভিন্ন জায়গা রক্ত দেখে সবাই চিৎকার করলে পড়শীরা এগিয়ে আসে। খবর পেয়ে বুধবার সকাল সাড়ে ৫টায় ঘটনাস্থলে যায় মহিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমানসহ একদল পুলিশ। তিনি বলেন, রক্ত মাখা দু’টি ছুরি ও মরিয়মের ব্যবহৃত পায়ের নূপুর এবং দুই টুকরো মাংস ঘরের মেঝেতে পাওয়া গেছে। জীবিত বা মৃত কোনভাবেই মেয়েটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঘরের বেড়াসহ বিভিন্ন স্থানে রক্তে ভেসে গেলেও পরিবারের কেউ টের না পাওয়ার বিষয়টিও রহস্যজনক। তবে রক্ত দেখে মনে হচ্ছে হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটতে পারে। পুলিশের ধারণা খুনের পরে লাশ গুম করা হতে পারে। কুড়িগ্রামে কিশোর-কিশোরীর লাশ উদ্ধার স্টাফ রিপোর্টার কুড়িগ্রাম থেকে জানান, কিশোর-কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার ভোরে সদর উপজেলার বিসিক শিল্পনগরীর কাছে নলেয়ার পাড় এলাকায় পরিত্যক্ত সেচ পাম্পের কাছে তাদেরকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকা- বলে ধারণা করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্র জানায়, নিহতের মধ্যে সেলিনা আক্তার (১৪) আমিন উদ্দিন দ্বি-মুখী দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার ডাকুয়াপাড়া গ্রামের জাবেদ আলীর মেয়ে। অপর কিশোর জাহাঙ্গীর আলম (১৬) কুড়িগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্র এবং পাশর্^বর্তী পূর্ব কল্যাণ গ্রামের সৈয়দ আলীর পুত্র। সদর থানা পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করে। মরদেহ দুটি’র গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। স্থানীয়রা জানান, নিহত দু’জনকে সাইকেলে করে গতকাল ঘুরতে দেখেছে অনেকেই। জানা গেছে তারা দু’জনেই মঙ্গলবার সকালে স্কুল ব্যাগ নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। সিদ্ধিরগঞ্জে হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের নয়াআটি মুক্তিনগর এলাকার ডিএনডি খাল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (৩৬) অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে লাশটি উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
×