ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনী মাঠে আওয়ামী লীগ, বিএনপির তৎপরতা নেই ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়া

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নির্বাচনী মাঠে আওয়ামী লীগ, বিএনপির তৎপরতা নেই ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়া

রিয়াজউদ্দিন জামি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ কড়া নাড়ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনী মাঠ দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তবে সেই তুলনায় মাঠে নেই বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো। প্রকাশ্যে ভোট চাইছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা। দীর্ঘ সময় ধরে বিএনপির প্রার্থীরা মাঠ ছাড়া। আড়ালে-আবডালে চলাফেরা করছেন। কোন নেতাকর্মীকে রাজপথে দেখা মিলছে না। জেলার ছ’টি আসনের মধ্যে পাঁচটি আসনই রয়েছে আওয়ামী লীগের দখলে। একটি আসন মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বর্তমান প্রায় সংসদ সদস্যই ভোটারদের কাছে নৌকার পক্ষে ভোট চাইছেন। নিয়মিত জনসংযোগসহ নানা সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। পাশাপাশি সরকারী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার সঙ্গে নিজেদের মাঠে সক্রিয় রেখেছেন। আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য নতুন প্রার্থীরাও নিয়মিত জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। রমজানের শেষ দিকে জেলা বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে দলের পক্ষ থেকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য রাজপথে থাকার আহ্বান জানিয়ে সব নেতাকর্মীকে যে কোন আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। এর পর থেকে তারা মাঠে ময়দানে নেই। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকেও নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। কোণঠাসা হয়ে থাকা জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীরা যেন অমাবস্যার চাঁদ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি নির্বাচনী আসন নিয়ে সংসদীয় এলাকা। ইতোমধ্যে মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে। সরকারী একটি সংস্থার পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত কার্যক্রম চালানো হয়েছে। সূত্র বলেছে, সংসদ নির্বাচনে কারা প্রার্থী হতে পারেন, প্রার্থীদের সঙ্গে ভোটারদের সম্পর্ক, প্রার্থীদের আচার-আচরণসহ বেশ কিছু তথ্য নেয়া হচ্ছে। সম্প্রতি ৬টি আসন থেকে অন্তত ৫০ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম সরকারের ওপর মহলে পাঠানো হয়েছে। এদিকে কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর কাছে জানতে চাওয়া হলে জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, ২২ সেপ্টেম্বর আমরা নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করব। জেলা কমিটি ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সব আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে নমিনেশন দেয়ার। আমাদের সঙ্গে জোটে যারা আছে তাদের ২ পার্সেন্ট ভোট নেই। তাই দলগতভাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেয়ার ব্যাপারে জেলা কমিটি সুপারিশ করেছে। তিনি বলেন, প্রতিটি স্থানের সভা-সমাবেশে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- ও দেশ নিয়ে ভাবনাসহ কেন আমরা ভোট দেব সেসব বিষয় সাধারণ মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। এতে ভাল ফল মিলবে। নিজ নির্বাচনী এলাকা প্রসঙ্গে বলেন, গ্রামবাসী ও আশপাশ অঞ্চলের মানুষের সমর্থন নিয়েছি। এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করিনি। নৌকার পক্ষে ভোট চাইছি। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার জনকণ্ঠকে বলেন, অতীতের চেয়ে দলের অবস্থান সুসংহত। হাতে গোনা কয়েক নেতার মতপার্থক্য-মতান্তর থাকলেও সবাই ঐক্যবদ্ধ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) ॥ জাতির জনকের ঘনিষ্ঠ সহচর, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এ্যাডভোকেট ছায়েদুল হকের মৃত্যুর পর এই আসনে উপ-নির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। তিনিই এখানে একক প্রার্থী। এই আসনে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ এ কে এম একরামুজ্জামান বিএনপির প্রার্থী। নাসিরনগরে আওয়ামী লীগ বিএনপি ও মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টি থেকে সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা প্রচার ও দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ নাসিরনগর আসন। এ আসনে লোকসংখ্যা সাড়ে ৩ লাখ। মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১৩ হাজার ৯শ’ ৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজার ৪শ’ ৪৭ ও মহিলা ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৩ হাজার ৫শ’ ২৩ জন। এ আসনে ইতোমধ্যেই অন্তত এক ডজন প্রার্থী মাঠে নেমেছেন। তারা নানাভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন- বর্তমান সংসদ সদস্য বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, মন্ত্রী প্রয়াত ছায়েদুল হকের পতœী আলহাজ দিলশাদ আরা মিনু, উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার, কুমিল্লা ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও লন্ডন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ এহছান, বিশিষ্ট শিল্পপতি কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক মোঃ নাজির মিয়া, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এম, এ করিম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ কে এম আলমগীর হক, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, আওয়ামী প্রজন্মলীগের ইঞ্জিঃ মোহাম্মদ ইখ্তেশামুল কামাল, দৈনিক ভোরের চেতনার সম্পাদক মোঃ আলী আশরাফ, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি এ্যাডভোকেট রাখেশ চন্দ্র সরকার, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ নাসিরনগর উপজেলা শাখার সভাপতি আদেশ চন্দ্র দেব ও কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এম বি কানিজ। অন্যদিকে, বিএনপি থেকে এ আসনে একক প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শিল্পপতি আলহাজ সৈয়দ এ, কে, এম একরামুজ্জামান (সূখন)। তাছাড়াও মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ও নাসিরনগর উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহানুল করিম (গরীবুল্লাহ সেলিম) প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির সাবেক সদস্য ও শিল্পপতি রেজওয়ান আহমেদ প্রার্থী হতে পারেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়াÑ২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) ॥ আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেক দিন আগে থেকেই জোরদার নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। বসে নেই জাতীয় পার্টি। বিএনপি অবশ্য তেমন কোন তৎপরতা শুরু করেনি। এ আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট ও জাসদসহ বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ বাড়িয়েছেন। প্রার্থীদের পক্ষে তাদের অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং ব্যানার, বিলবোর্ড ও ফেস্টুন টানিয়ে প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। আসনটি আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ১৯ প্রার্থী নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোসহ নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এ আসনে জাতীয় পার্র্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেনÑ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও বর্তমান সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। তিনি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এই আসনে এ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এলাকায় উন্নয়ন কর্মকা- এলাকাবাসীর মধ্যে জাতীয় পার্টির অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি এলাকায় নিয়মিত দলীয় কর্মকা-ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। এদিকে সরাইল উপজেলায় আওয়ামী লীগ একাধিক ভাগে বিভক্ত। দলীয় কোন্দলের জের ধরেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম ইকবাল আজাদ দলীয় প্রতিপক্ষের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন। তবে আশুগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের অবস্থান খুবই শক্তিশালী। তবে এখানেও একাধিক গ্রুপ সক্রিয়। প্রয়াত নেতা ইকবাল আজাদের সহধর্মিণী শিউলি আজাদ নিয়মিত সভা-সমাবেশ করছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মঈনউদ্দিন মঈন নিয়মিত এলাকায় গণসংযোগ করছেন। আসন্ন নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান আনসারী এ আসনে প্রার্থিতা চেয়ে নিয়মিত প্রচার চালাচ্ছেন। দীর্ঘদিন থেকেই এলাকায় নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন শিক্ষক নেতা ও ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা অধ্যক্ষ শাহজাহজান আলম সাজু। তিনিও এ আসনে একজন শক্ত মনোনয়ন প্রত্যাশী। সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুস সাত্তার এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হতে পারেন। এছাড়াও উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান প্রার্থী হতে পারেন বলে মাঠ পর্যায়ে আলোচনা আছে। তবে মাঠ পর্যায়ে তাদের তেমন কোন তৎপরতা নেই। নির্বাচনী বোদ্ধরা জানান, জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন হলে এ আসনটি ইসলামী ঐক্যজোটকে দেয়া হতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রয়াত মুফতি ফজলুল হক আমিনীর পুত্র ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত আমিনকে দেয়া হতে পারে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) ॥ মর্যাদার এ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কিছুটা বিভেদ ও দ্বন্দ্ব রয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, বর্তমান সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এবারও আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী বলে দলীয় সূত্র জানায়। মোকতাদির চৌধুরী নির্বাচনী এলাকায় নিয়মিত সভা-সমাবেশ করছেন। সপ্তাহে অন্তত একবার এলাকায় আসছেন। যাচ্ছেন গ্রামে গ্রামে। গণসংযোগ করে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছেন। প্রতিটি ইউনিয়নেই সক্রিয় আওয়ামী লীগ। এ আসনটি এক সময়ের বিএনপির শক্ত অবস্থান ছিল। এ আসন থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিএনপির প্রার্থী। কিন্তু এলাকার উন্নয়নে তেমন কোন অবদান রাখতে পারেননি বিএনপির এমপি। গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নেতৃত্বে এলাকায় নজিরবিহীন উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। তবুও বিএনপি এবার আসনটি ফিরে পেতে তৎপরতা শুরু করেছে। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল প্রকাশ্যে কোন তৎপরতা চালাতে না পারলেও নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। মাঠে না থাকলেও জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী হারুন আল রশিদ দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন। এখন পর্যন্ত বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনী কোন প্রচার লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তার পর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চুর মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কেন্দ্রীয় বিএনপির বর্তমান অর্থ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল এলাকায় আসছেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাত করছেন। ভোটারদের মতে, আগামী নির্বাচনেও এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিজয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। এ আসন থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি পোস্টার, ব্যানার করে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সাবেক সচিব মুক্তিযোদ্ধা, জনতার মঞ্চের নেতা মিজানুর রহমানও নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন। তিনিও সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া বাড়িয়ে দিয়েছেন। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম এমএসসি ও প্রার্থী হতে পারেন। তিনি বিভিন্নভাবে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তার সমর্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে সভা মিটিং করছেন। প্রার্থী একাধিক থাকলেও দলের স্বার্থে নির্বাচনে সবাই নৌকা প্রতীকের জন্যই কাজ করবেন বলে জানান স্থানীয় নেতারা। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের যুববিষয়ক উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া মাঝে মধ্যে এলাকায় আসছেন। তিনি এ আসনে জাপার প্রার্থী হিসেবে কাজ করছেন। জাতীয় পার্টির আরেক প্রার্থী জামাল রানা বিভিন্ন সময় শোডাউন করে বেশ আলোচিত হয়েছেন। তিনিও এ আসনে জাপার প্রার্থী হিসেবে জনসংযোগ করছেন। ব্যানার, পোস্টার ছড়িয়ে দিয়েছেন বিভিন্ন স্থানে। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, এ আসন থেকেও ইসলামী ঐক্যজোটের পক্ষ থেকে মুফতি ফজলুল হক আমিনী পুত্র প্রার্থী হতে পারেন। আওয়ামী লীগ ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে জোট করলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ অথবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩ আসন যে কোন একটি আসন ছাড় দিতে হতে পারে। তবে সব কিছুর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর আসনে আওয়ামী লীগ খুবই ভাল অবস্থায় রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) ॥ এ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য, আইন ও বিচারবিষয়ক মন্ত্রী প্রবীণ আইনজীবী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী। কসবা-আখাউড়ায় বহুমুখী উন্নয়নের জনক আনিসুল হক উন্নয়ন কর্মকা-ে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। প্রতি সপ্তাহে এলাকায় অবস্থান করে সাধারণ দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নজির সৃষ্টি করেছেন। তিনি এলাকায় এলে মানুষের ঢল নামে। সাবেক এমপি এ্যাডভোকেট শাহ আলমও নিয়মিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তার সমর্থকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থান এলাকায় কম শক্ত নয়। পোস্টার, লিফলেট ছড়িয়ে দিচ্ছেন তার সমর্থকরা। অন্যদিকে বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান এবং জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কসবা উপজেলার আহ্বায়ক তারেক-এ আদেল দলীয় প্রার্থী হতে পারেন। তবে তাদের নির্বাচনী এলাকায় তেমন কোন তৎপরতা নেই। ’৯৬ সালের নির্বাচনে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী০ এ্যাডভোকেট শাহ আলম নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০০১ সালের নির্বাচনে চারদলীয় জোটের প্রার্থী সাবেক সচিব মুশফিকুর রহমান নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মুশফিকুর রহমান পুনরায় নির্বাচিত হন। দীর্ঘ সময় এ আসনটি বিএনপির কব্জায় থাকলেও সীমান্তবর্তী অবহেলিত এ অঞ্চলের তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বর্তমানে আইন ও বিচারবিষয়ক মন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক আওয়ামী লীগের নৌক প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হয়েই তিনি নজর দেন এলাকার উন্নয়ন কর্মকা-ে। তিনি এবার এ আসনে একক প্রার্থী। অন্যদিকে বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান এবং কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কসবা উপজেলার আহ্বায়ক তারেক এ আদেল দলীয় প্রার্থী হতে পারেন। তবে এলাকায় তাদের তেমন কোন তৎপরতা নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) ॥ এ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য হচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তিনি এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ করার পাশাপাশি ভোটারদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। ব্যাপক জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন, ভোটারদের কাছে গিয়ে চাইছেন নৌকায় প্রতীকে ভোট। ভোটের মাঠে তিনি এখনও সরব। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সারাদেশের ন্যায় এই আসনেও তৎপর রয়েছেন বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। বিভিন্ন দলের অন্তত ২ ডজন মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতা এ এলাকার নির্বাচনী মাঠ কাজ করছেন। মনোনয়নের প্রত্যাশায় আওয়ামী লীগের ১২ ও বিএনপির ৬ সম্ভাব্য প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। নব্বইয়ে জাতীয় পার্টির শাসন পতনের পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলেও জেলার এ আসনটি থেকে যায় জাতীয় পার্টিরই দখলে। ’৯১ সালে দেশের ইতিহাসে প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী মোঃ আনোয়ার হোসেন। এর আগে এরশাদ সরকারের দুইবারের নির্বাচিত এমপি ছিলেন তিনি। ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি নেতা ও সাবেক কেবিনেট সচিব সিদ্দিকুর রহমান এ আসনে এমপি হন। নির্বাচনের পর সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস করে কয়েকদিনের ব্যবধানেই পদত্যাগ করে বিএনপি সরকার। সংবিধানের আলোকে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালের ১২ জুন। এ নির্বাচনে জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল লতিফ। দীর্ঘদিনের এ আসনে জাতীয় পার্টির একক আধিপত্যের অবসান ঘটে। পরবর্তী কয়েক বছরের ব্যবধানে এখানে লাঙ্গলের জনপ্রিয়তাও হ্রাস পেতে থাকে। এমন প্রেক্ষাপটে জাপার জনপ্রিয় নেতা কাজী আনোয়ার হোসেন যোগ দেন বিএনপিতে। ২০০১ সালে চারদলীয় জোটের মনোনয়নে ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে চতুর্থবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন জাসদের (ইনু) এ্যাডভোকেট শাহ্ জিকরুল আহম্মদ। সর্বশেষে ২০১৪ সালের নির্বাচনে এমপি হন আওয়ামী লীগের ফয়জুর রহমান বাদল। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন- বর্তমান এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের উপদেষ্টা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৯নং ওয়ার্ডের কমিশনার একেএম মমিনুল হক সাঈদ, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট কাজী মোরশেদ হোসেন কামাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ও কেন্দ্র্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার জাকির আহম্মদ, আওয়ামী লীগ নেতা ডঃ হুমায়ুন কবির, আওয়ামী লীগ নেতা ডাঃ এমএবি সিদ্দিক হেলাল, যুবলীগ নেতা কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটো, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহসম্পাদক আরিফুল ইসলাম টিপু ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মোঃ আলামিনুল হক আলামিন। তবে এলাকায় দীর্ঘদিনের ক্লিন ইমেজ রয়েছে বর্তমান এমপি ফয়জুর রহমান বাদলের। ২০১৪ সালের নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন তিনি।আগামী নির্বাচনে মাঠ গুছিয়ে কাজে নামতে তার পক্ষে অনেক বেগ পেতে হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উল্লেখযোগ্য অংশ। নবীনগরের কোন নেতাকর্মীর সঙ্গে তাঁর দূরত্ব নেই। তিনি তার ঢাকার রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নবীনগরবাসীর জন্য নিয়মিত সময় দিচ্ছেন বলে জানান। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তিনি তার পক্ষে কাজ করবেন বলে জানান। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৯নং ওয়ার্ডের কমিশনার মমিনুল হক সাঈদ। তিনি ঢাকা মহানগরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলে ও দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদান প্রদানসহ মাঠে তৎপর রয়েছেন। মনোনয়ন চান জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ব্যারিস্টার জাকির আহম্মদ। তৃণমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার রয়েছে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। এ আসনে মনোনয়ন পেতে গণসংযোগ করছেন সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও এমপি কাজী আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে যুবলীগ নেতা কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটো। পিতার সুনামকে কাজে লাগিয়ে এলাকায় প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ আলামিনুল হক আলামিন নিয়মিত গণসংযোগ করছেন এলাকায়। এদিকে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ তকদির হোসেন জসিম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য ও এমপি প্রয়াত কাজী আনোয়ার হোসেনের পুত্র নাজমুল হোসেন তাপস, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী আজ্জম জালাল, নবীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সফিকুল ইসলাম ও সিনিয়র সহ-সভাপতি সায়েদুল হক সাঈদ। অন্যদিকে, একাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী হচ্ছেন দলের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উপদেষ্টা কাজী মামুনুর রশিদ। এলাকায় পরিচ্ছন্ন ইমেজ ও কাজের মানুষ হিসেবে পরিচিত এ জাপা নেতা। এ আসনে মহাজোটের মনোনয়ন চান জাসদের প্রভাবশালী নেতা শাহ জিকরুল আহামেদ খোকন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের টিকেটে এমপি হবার সুবাদে এলাকার জনগণের সঙ্গে তার একটি সম্পর্কও তৈরি হয়েছে। তার প্রতি এলাকাবাসীর বিশ্বাস ও ভরসারও কমতি নেই। নবীনগর জাসদের সভাপতি জানান, আমরা মহাজোট থেকে মনোনয়ন পাব নিশ্চিত। মহাজোটের মনোনয়ন চান ইসলামী ঐক্যজোটের (একাংশ) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হেফাজতে ইসলাম নবীনগর শাখার সভাপতি মাওলানা মেহেদী হাসান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নবীনগরে গণসংযোগ করে আসছেন। এ আসনে বিএনপির সাবেক এমপি মরহুম কাজী আনোয়ার হোসেনের পুত্র কাজী নাজমুল হোসেন তাপস ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের নেতা তকদীর হোসেন জসীম প্রার্থী হবেন বলে স্থানীয়ভাবে আলোচনা রয়েছে। তবে রাজপথে বিএনপি সক্রিয় নেই। এ আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা কাজী মামুনুর রশীদ প্রার্থী হতে নিয়মিত এলাকায় মিটিং মিছিল করছেন। সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে সখ্য বাড়িয়ে দিয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) ॥ এ আসন থেকে বার বার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হয়েছেন এলাকার জনপ্রিয় নেতা ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব) তাজুল ইসলাম। তিনি নিয়মিত এলাকায় জনসংযোগ করছেন। সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভাল যোগাযোগ থাকায় নির্বাচনী এলাকায় তার অবস্থান খুবই শক্ত। গত ৭ বছরে বাঞ্ছারামপুরে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন এমপি তাজুল ইসলাম। তাই তার সমর্থকরা বলছেন, আগামী নির্বাচনেও এমপি তাজুল ইসলামের মনোনয়ন শতভাগ নিশ্চিত। এমপি তাজুল ইসলাম ছাড়াও আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী মাঠে তৎপর রয়েছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি। তিনি নিয়মিত গণসংযোগ ও উঠোন বৈঠক করে নৌকার প্রতীকে ভোট চাইছেন। রাজনীতির পাশাপাশি ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। মহিউদ্দিন আহমেদ মহিও এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। এছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে রয়েছেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা কামাল ও সাঈদ আহমেদ বাবু। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য সাবেক এমপি এম. এ. খালেক, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সদস্য রফিক শিকদার, এ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দিন জিয়া, সাবেক তুখোড় ছাত্রদল নেতা কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ। জাতীয় পার্টি থেকে উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মোস্তফা আজাদ সম্ভাব্য প্রার্থী।
×