ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

উবাচ

শেষ ইচ্ছা স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়েছে। যুক্তফ্রন্ট নেতাদের হাবভাব দেখে মনেই হচ্ছে নির্বাচন কোন রকম সুষ্ঠু হলে তারাই ক্ষমতায় বসবেন। যুক্তফ্রন্ট নেতাদের এই বাড়াবাড়ি রকমের প্রত্যাশা দেখে এরশাদও বলে দিয়েছেন জাতীয় পার্টিকে তিনিও ক্ষমতায় দেখে যেতে চান। এটা তার শেষ ইচ্ছা। তবে শুধু ইচ্ছার কথা বলেই থেমে যাননি সাবেক স্বৈরাচার রাষ্ট্রপতি। সম্প্রতি বলেছেন তিনি নিশ্চিত জাতীয় পার্টি আগামীবার ক্ষমতায় আসবে। তাহলে আগামী নির্বাচনে কে ক্ষমতায় আসছে যুক্তফ্রন্ট না জাতীয় পার্টি! নিজের ঢোল নিজে বাজালেও দেশের মানুষের মধ্যে না যুক্তফ্রন্ট না জাতীয় পার্টি কোন দলকে নিয়ে কোন আলোচনা নেই। এরশাদ বলেন, মৃত্যুর আগে আমি জাতীয় পার্টিকে আবারও ক্ষমতায় দেখতে চাই। আমি দেখে যেতে চাই, জাতীয় পার্টি জনগণের দল হয়েছে, তারা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি মরার আগে দেখে যেতে চাই, জাতীয় পার্টি শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে। দেখে যেতে চাই, জাতীয় পার্টি আবারও জেগে উঠেছে। এটাই আমার শেষ ইচ্ছা। দেখবেন বলেছেন স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন। এই সফর নিয়ে দুধরনের বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। সরকার বলছে আমন্ত্রণ ছাড়াই দেখা করতে গিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল। লবিস্ট নিয়োগ করে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপি বলছে এটা তাদের বিশাল অর্জন। তবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফিরে এসে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার মতো খবর বিএনপির কাছে আছে বলে মনে হয়নি। ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আগে দলটি যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল এবার তাও দেখায়নি। মির্জা ফখরুল ইসলাম ফিরে এসে বলেছেন, জাতিসংঘের কাছে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বলেছি। তারা এ ব্যাপারে কিছু জানতে চেয়েছে, সেগুলো আমরা জানিয়েছি। আওয়ামী লীগের শাসনে দেশে ‘গণতন্ত্র নেই’ বলে দাবি বিএনপির। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে সরকার ‘অন্যায়ভাবে’ কারারুদ্ধ করে রেখেছে বলেও দাবি করেছেন তারা। জাতিসংঘের মনোভাব কেমন দেখেছেনÑ প্রশ্নে ফখরুল বলেন, আলোচনা করেছি, সমস্ত বলেছি। ওনারা বিষয়গুলো দেখবেন বলেছেন। তামাশা স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাধারণত কারাবন্দী ব্যক্তির চিকিৎসার দায়িত্ব কারাগারের। সরকারের পক্ষে কারাগার এই দায়িত্ব পালন করে থাকে। তবে কোন ক্ষেত্রে সরকার চাইলে কারান্তরীণ ব্যক্তির ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে। কিন্তু সরকার না চাইলে জেল কোড অনুযায়ী তা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে তার ইচ্ছা অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি না করলে বিষয়টি আইনের বরখেলাপ নয়। বিএনপির দাবি অনুযায়ী খালেদা জিয়া অসুস্থ। খালেদা জিয়াও তার আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনায় বলেছেন আমিতো অসুস্থ আমাকে কেন হাসপাতালে নিচ্ছেন না। কিন্তু একজন অসুস্থ মানুষ কি আগে হাসপাতাল পছন্দ করবে না রোগমুক্তির চেষ্টা করবেন তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য তার পছন্দের চিকিৎসক না রেখে সরকার দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকদের দিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছে। সরকারের এমন কাজ দুরভিসন্ধিমূলক। খালেদা জিয়ার মতো একজন অসুস্থ মানুষের সঙ্গে এটা তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু চিকিৎসকের দলীয় পরিচয় দেখে তার কাছে চিকিৎসা গ্রহণ থেকে বিরত থাকে আরও অসুস্থ হয়ে পড়াটা কি তামাশা কিংবা রসিকতা নয়!
×