ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ঝলক

অচেনা জলজন্তু সমুদ্র আজও রহস্যময়। আর সে কথাই প্রমাণিত হলো সম্প্রতি। হাওয়াইয়ের সমুদ্রে খোঁজ পাওয়া গেল এমন এক জলজন্তুর, যার সঙ্গে তেমন পরিচয় অনেকেরই নেই। সমুদ্র-প্রাণিবিজ্ঞানীদের মতে, এই প্রাণীটি তিমি ও ডলফিনের সংকর। এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রাফ টুথড ডলফিন এবং দুষ্প্রাপ্য মেলন হেডেড তিমির মিশ্রণ এই প্রাণী। ২০১৭ সালে এই প্রাণীটিকে আর একটি তিমির সঙ্গে সাঁতার কাটতে দেখা গিয়েছিল। অনুমান করা হচ্ছে, তিমিটি ওই সংকর প্রাণীটির মা। বিজ্ঞানী রবিন বেয়ার্ড জানিয়েছেন, এর আগেও তিমি ও ডলফিনের সংকর দেখা গেছে। তবে এই প্রাণীটি রীতিমতো এক বিরল সংকর। প্রসঙ্গত, মেলন হেডেড হোয়েলের নাম তিমি হলেও, তারা কিন্তু ‘তিমি’ নয়। তারা বৃহত্তর ডলফিনের এক প্রজাতি, যাদের ‘ডেলফিনিডে’ বলা হয়। কিলার হোয়েল এবং পাইলট হোয়েলরাও এই প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। বেয়ার্ড জানিয়েছেন, গবেষকরা অনেক চেষ্টার পরে এই প্রাণীর বায়োপ্সি স্যাম্পল জোগাড় করতে সমর্থ হয়েছেন এবং তা থেকে ডিএনএ পরীক্ষায় জানা গেছে প্রাণীটি ঠিক কেমন সংকর। প্রাণীটির আবিষ্কারে সমুদ্র-প্রাণিবিদ্যা চর্চা সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করছেন বেয়ার্ড ও তার সহকর্মীরা।-ইন্ডিপেন্ডেন্ট ‘প্ল্যানেট নাইন’ রহস্য ক্রমশ বাড়ছে নবম গ্রহ ‘প্ল্যানেট নাইন’ ঘিরে রহস্য। প্লুটো গ্রহ ‘বামন গ্রহ’ হয়ে যাওয়ার পরে সৌরজগতের গ্রহ সংখ্যা হয়ে যায় আট। কিন্তু সৌরজগতে আটটি নয়, নয়টি গ্রহই রয়েছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। ২০১৭ সালেই এমন দাবি করেছিল নাসা। তার পর থেকেই এই নবম গ্রহকে ঘিরে রহস্য বাড়ছে। এরই মধ্যে আবারও এই গ্রহকে নিয়ে দাবি জোরালো হলো। এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জ্যোতির্বিজ্ঞানী সুরহুদ মোর জানিয়েছেন, ‘আমাদের তোলা যে কোন ছবিতেই প্ল্যানেট নাইনের দর্শন পাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।’ বারে বারে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই গ্রহের অস্তিত্ব নিয়ে দাবি করে চললেও এখন পর্যন্ত কোন টেলিস্কোপেই এই গ্রহের ছবি তোলা যায়নি। ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির এক জ্যোতির্বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন জানিয়েছেন, এই গ্রহ হয়ত অদৃশ্য। আয়তনে পৃথিবীর প্রায় ১০ গুণ বড় এই গ্রহ নেপচুন থেকে সূর্যের দূরত্বের ২০ গুণের বেশি দূরত্বে অবস্থান করছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। -ওয়াশিংটন পোস্ট
×