ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বেল্ট এ্যান্ড ক্যাপ

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বেল্ট এ্যান্ড ক্যাপ

দিন বদলায়। সময় বদলায়। বদলে যায় মন। সব বদল যেন প্রাকৃতিক নিয়মেই ঘুরপাক খায়। যা কয়েক বছর আগেও লক্ষ্য করা যায়নি। সে সময়টার কথা বলতে গেলে বলা যায় একটা নির্দিষ্ট রুটিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। যাকে বলা চলে নিজেকে গুছিয়ে সাজিয়ে রাখার প্রাণপণ চেষ্টা। কিন্তু বর্তমান সময়ে একটু এলোমেলোভাবেই বাহারি ঢঙে সাজ-সজ্জার পোশাক যে তরুণ-তরুণীদের ফ্যাশনে ঠাঁই করে নিয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। এটা ঠিক যে, ঋতু বদল আর হাওয়া বদলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যায়। কারণ তরুণ-তরুণীরা নিজের মনের প্রশান্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে আবহাওয়ার সঙ্গে তাল মিলাতে সব সময়ই নতুন মাত্রার পোশাক এবং স্টাইল নিয়ে ভাবতে থাকে। এই ভাবনার সমাপ্তি বা ইতি টানার জন্য তাঁরা পোশাক হাউসগুলোয় তাঁদের পছন্দের জিনিস খুঁজতে বেরিয়ে পড়ে। অন্যদিকে ফ্যাশন হাউসগুলো যেন হাত বাড়িয়ে বসে আছে ঐ তরুণদের চাহিদা মেটাতে। তাঁরা তৈরি করছে নানা রং, নানা ডিজাইন এবং হাতের কাজের ফ্যাশনেবল এবং স্টাইলিশ পোশাক। সকল বদলের ভিড়ে বদলে গেছে আবহাওয়া। এসেছে শরৎ। ধুলাবালির প্রকোপ এখনও জোড়ালো না হলেও খুব বেশি দেরি যে আছে তাও নয়। এখনই সময় নিজেকে বদলে ফেলার। শরীরের ছিমছাম পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ফ্যাশন হাউসগুলো ইতোমধ্যেই প্রস্তুত। প্রস্তুত হতে পারেন আপনি নিজেও। ফ্যাশন হাউসগুলো এবারের শরৎ ঋতুটার জন্য আলাদাভাবে চিন্তা করেই তৈরি করেছে সম্পূর্ণ নতুন ডিজাইনের বাহারি ধরনের ক্যাপ এবং বেল্টের। বৈচিত্র্যময় এই বাহারি ক্যাপ, বেল্ট বদলে যাওয়ার যে আরেকটি সহজ উপায় তা সহজেই বুঝতে পারা যায় ফ্যাশন ডিজাইনার এ্যাড লিব-এর স্বত্বাধিকারী সাইদুর রহমান লিংকনের কথায়। তিনি বলেন, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তরুণ-তরুণীরা চলতে চায়। তারা চায় আলাদা ধাঁচের কিছু পোশাক পরতে। যাতে তাঁদের লুকটা অন্যদের তুলনায় আলাদা হয়। আর শরতের সকল কিংবা রাত যেন সাবলীলভাবে তারা কাটাতে পারে সেজন্য বিভিন্ন ধরনের পোশাক আমরা আমদানি এবং তৈরি করে থাকি। প্রতিদিনই কোন না কোনভাবে নতুন মাত্রা পোশাকে যুক্ত হচ্ছে। এতে ক্রেতার চাহিদার মাত্রাও দিগুণ হচ্ছে। যেমন ক্যাপ এবং বেল্টÑ দু’টি অনুষঙ্গই কিন্তু পাশাপাশি থাকে। সে ক্ষেত্রে একটির সঙ্গে অন্যটির মিল অমিলের ব্যাপারটি অত্যন্ত জরুরী। আমরা সেদিকে সব সময়ই নজর রাখি। এবং সেভাবেই কালেক্ট করার চেষ্টা করি, বলেন লিংকন। তিনি আরও বলেন চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেশ কিছু ডিজাইন এবং রঙের ব্যাপারটিও গুরুত্ব পায়, যা ছেলে এবং মেয়েরা খুব সহজেই তাঁদের ফ্যাশন অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। তবে মেয়েদের ক্যাপ এবং বেল্টে একটু ভিন্নতা থাকে। মেয়েরা যে কোন ধরনের পোশাক পরুন না কেন, সেটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ক্যাপ এবং বেল্ট সংগ্রহ করতে পারবে বলে তিনি মনে করেন। কারণ প্রত্যেকটা অনুষঙ্গই আলাদাভাবে ৬০-৭০টি ডিজাইন এবং ১০-১৫টি রং দ্বারা তৈরি। অন্যদিকে ফ্যাশনেবল বেল্ট এবং ক্যাজুয়াল বেল্টের ২০০-৩০০টি ডিজাইন বিভিন্ন পোশাক হাউস বা শো-রুমের ভিন্নতা এনেছে। ঠিক তেমন ভিন্নতা আনবে যদি ছেলেমেয়েরা এই পোশাকের সঙ্গে বেল্টগুলো ম্যাচ করে পরে। বলেন আরেক পোশাক ডিজাইনার জিল্লুর রহমান। এছাড়া যে বেল্টগুলো বিভিন্ন শো-রুমে শোভা বাড়িয়ে রেখেছে সেগুলো দেশীয় পোডাক্টের বাইরে থাইল্যান্ড এবং চীন থেকে আমদানি করা হয় বলে জানান তিনি। বসুন্ধরা শপিং মলের একজন তরুণ ক্রেতা সাদিয়া নূর কিছু একটা কিনবেন বলে পাঁয়তারা করছিলেন। কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি জানান, ব্যতিক্রমী কিছু ফ্যাশন অনুষঙ্গ খুঁজে দেখছি। যে পোশাকে আমাকে মানাবে এবং ফ্যাশনেবলও মনে হবে তেমন কিছু! ব্যতিক্রমী পোশাকের ব্যাপারেও তিনি সচেতন। তিনি মনে করেন প্রতিবারই আমি নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করি। এবারও এই শরতে এমন কিছু জিনিস আমার সঙ্গে থাকবে, যা আমার লুকটা আরও বাড়িয়ে দেবে। শরতেও ভিন্ন ফ্যাশন আমি উপভোগ করব। শরতের এই আগমনী বার্তায় আপনিও যেমন প্রস্তুত, তেমনি প্রস্তুত আছে পোশাক হাউসগুলো। কোথায় পাওয়া যায় : এ্যাড-লিডের পাঁচটি শো-রুম : রাইফেলস স্কয়ার, বসুন্ধরা সিটি-১, বসুন্ধরা সিটি-২, আনাম র‌্যাংগস প্লাজা, পলওয়েল ফারনেশন, নিউমার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, ইস্টার্ন প্লাজা, রাপা প্লাজা, ইস্টার্ন পয়েন্ট সুপার মার্কেট মিরপুর-১ যাত্রা, ওজি। দরদাম- ফ্যাশনের অনুষঙ্গ বিভিন্ন মার্কেটে বিভিন্ন ধরনের দামে পাওয়া যায়। বসুন্ধরা সিটি ফ্যাশনেবল টুপির দাম পড়বে ৩৯০-৪৯০ টাকা। বেল্ট ৭৯০-১,৮০০ টাকা। নিউমার্কেটে তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যাবে। টুপির দাম পড়বে ৬০-১৮০ টাকা। বেল্ট ১৮০-৪৫০ টাকা। মডেল : সোহান, ফয়সাল দ্বীপ ও আদর পোশাক : ইজি
×