ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

নতুন ম্যাচ, সামনে বাংলাদেশ-ভারত

প্রকাশিত: ২৩:১৭, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নতুন ম্যাচ, সামনে বাংলাদেশ-ভারত

অনলা্ইন রিপোর্টার ॥পরিবেশটা এমন ছিল না। ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে এমন পরিবেশ তৈরি হওয়ার সময় কালটা ২০১৫ সাল। এর পর থেকেই মাঠে বাংলাদেশ-ভারত মানেই ভিন্ন এক উত্তেজনা। এশিয়া কাপের ১৪ তম আসরে আবারও মুখোমুখি হতে যাচ্ছে এশিয়ার দুই ক্রিকেট শক্তি বাংলাদেশ-ভারত। ব্যাট-বলের সেই উত্তেজনা বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৫টায় আবারও জমে উঠবে মরুর বুকে। আরব আমিরাতে চলতি এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলতে নামবে দল দুটি। মাত্রই কয়েক ঘণ্টা আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলা বাংলাদেশকে পাড়ি দিতে হবে আবুধাবি থেকে দুবাইয়ের পথ। যদিও ভারতীয় দল আছে বিশ্রামে। লম্বা ভ্রমণের পর কতোটা ফিট বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা মাঠে নামতে পারবে সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।তবুও জমজমাট এক ম্যাচের অপেক্ষায় ক্রিকেট সমর্থকরা। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল। ম্যাচটি নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রশ্নের শেষ নেই। আম্পায়ারদের একাধিক ভুল সিদ্ধান্তে সে সময় প্রশ্ন তুলেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবাদ মাধ্যম ও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। সেই থেকেই শুরু! এরপর যতবার বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়েছে ভারত অন্য রকম একটি আবহ তৈরি হয়। অনেক হিসাব বাকি থাকলেও, নতুন ম্যাচে নতুন হিসাব নিয়েই মাঠে নামবে টাইগাররা। অন্তত বাংলাদেশ অধিনায়ক এমনটাই মনে করেন। এক কথায় জানিয়ে দিয়েছেন, পুরানো কিছুই সামনে আসবে না, নতুন ম্যাচেই নজর থাকবে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পাজরের ব্যথা নিয়ে খেললেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্রামে ছিলেন মুশফিকুর রহিম। এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমানকেও রাখা হয় বিশ্রামে। দুজনই ফিরছেন ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে। মুমিনুল হক দলে জায়গা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চিত হয়ে পড়বেন। ওপেনিংয়ে লিটন দাসের সঙ্গী আফগানিস্তান ম্যাচের মতোই তরুণ নাজমুল হাসান শান্ত থাকবেন। নিজের অভিষেক ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্স করলেও মোস্তাফিজের ফেরার ফলে বাদ পড়তে পারেন আবু হায়দার রনি। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে এখন পর্যন্ত ৩৩ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে বাংলাদেশের জয় মাত্র ৫টি ম্যাচে। ভারতের ২৭টি ম্যাচে। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। এমনকি এশিয়া কাপেও নিজেদের দাপট বজায় রেখেছে ভারত। এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত এই আসরে ১০বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে মাত্র একটি ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০১২ সালে ২৯৫ রান তাড়া করে সে ম্যাচ জেতে মুশফিকের দল। ভ্রমন ক্লান্তি ও পরাজয়ের হতাশা ভুলে বাংলাদেশের সামনে নতুন ম্যাচ। নিজেদের সেরাটা দেওয়ার জন্য তৈরি আছে মাশরাফিরা। অধিনায়ক বলে রেখেছেন, ‘যেটা হয়ে গেছে, সেটা নিয়ে না ভেবে কালকের ম্যাচ নিয়ে ভাবতে হবে। খুব কম সময় আছে। রিকভারি যতটুকু করা যায় সেটি করে, ইতিবাচকভাবে ভারতের বিপক্ষে নামতে হবে। আমাদের ইতিবাচক মানসিকতা নিয়েই খেলতে হবে। বিশ্বের এক নম্বর দল ওরা। আমাদের থেকে এগিয়েই আছে। তবে আমরা যদি আমাদের সেরাটা খেলতে পারি, তাহলে অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে আশা করি।’
×