ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মান্দায় শিক্ষকের প্রহারে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মৃত্যু, সুপার গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০০:৪৮, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মান্দায় শিক্ষকের প্রহারে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মৃত্যু, সুপার গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর মান্দা উপজেলার দোসতি দাখিল মাদ্রাসায় দুই শিক্ষকের বেদম প্রহারে জয়নাল আবেদীন (১৪) নামে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। নিহত জয়নাল আবেদীন উপজেলার বৈলশিং পানাতাপাড়া গ্রামের জামিদুল ইসলাম সরদারের ছেলে বলে জানা গেছে। ঘটনায় দোসতি দাখিল মাদ্রাসার সুপার বিন ইয়ামিনকে আজ শুক্রবার সকালে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মারপিটের পর থেকে অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হারুন অর রশিদ ও আব্দুর রাজ্জাক পলাতক রয়েছে। নিহত জয়নাল আবেদিনের বাবা জামিদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার মাদ্রাসা চলাকালে উচ্ছৃংখল আচরনের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক হারুন অর রশিদ ও আব্দুর রাজ্জাক সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী জয়নাল আবেদীন ও ফয়সাল হোসেনকে আম গাছের ডাল দিয়ে বেদম মারপিট করে। এসময় জয়নাল আবেদীন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তড়িঘড়ি একটি ভ্যানে করে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। বাড়িতে জয়নাল আবেদীনের অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে তাকে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। পরে মঙ্গলবার রাতেই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে মারা যায় জয়নাল আবেদিন। থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুর আলম জানান, দোসতি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী জয়নাল আবেদীন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যাওয়া পর বাবা-মাসহ স্বজনরা ময়নাতদন্ত না করেই গোপনে লাশ বৃহস্পতিবার রাতেই বাড়ি নিয়ে আসে এবং গোপনে দাফনের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে জামিদুল সরদারের বাড়ি থেকে রাতেই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নিহত জয়নাল আবেদীনের লাশ নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওসি আরও জানান, ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর বাবা জামিদুল ইসলাম সরদার বাদি হয়ে মাদ্রাসা সুপার বিন ইয়ামিন, শিক্ষক হারুন অর রশিদ ও শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাককে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর মাদ্রাসা সুপার বিন ইয়ামিনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর দুই শিক্ষককে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
×