ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

খামখেয়ালী সভায় কর্মী রবীন্দ্রনাথ

প্রকাশিত: ০৪:২০, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

খামখেয়ালী সভায় কর্মী রবীন্দ্রনাথ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শখের খামারি ছিলেন না। তিনি মনে করতেন শক্তিশালী জাতি-রাষ্ট্র, দেশ গড়তে গ্রামোন্নয়নে গুরুত্বের সঙ্গে নজর দিতে হবে। আর গ্রামোন্নয়নের ক্ষেত্রে হতদরিদ্র কৃষকদের অবস্থার উন্নয়নে নজর দিতে হবে। রবীন্দ্রনাথ তাঁর জমিদারি শিলাইদহ ও পতিসরে সমবায় খামারের প্রচলন করেন। নিজের ছেলে ও জামাতাকে বিদেশে পাঠান কৃষি বিজ্ঞান পড়তে। কৃষকদের মহাজনদের হাত থেকে রক্ষা করতে কৃষি ব্যাংক স্থাপন করেন। অবসরে মৃৎশিল্প, তাঁতশিল্প, ছাতা তৈরি, কল চালানো প্রভৃতি বিকল্প পেশায় কৃষকদের উৎসাহিত করেন, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। স্থাপন করেন স্কুল ও দাতব্যচিকিৎসালয়, নির্মাণ করেন রাস্তাঘাট। রবীন্দ্রনাথে এ আন্তরিক প্রচেষ্টায় জীবনমানের উন্নয়ন ঘটে কৃষকদের। পরবর্তীতে এ অভিজ্ঞতার আলোকে শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন কবি। খামখেয়ালী সভার ৫২তম আড্ডায় উপস্থাপিত প্রবন্ধ এবং এর ওপর আলোচনায় এ সব কথা উঠে আসে। রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোডে অনুষ্ঠিত হয় নিয়মিত আড্ডাটি। এতে ‘কর্মী রবীন্দ্রনাথ: প্রেক্ষাপট পূর্ববঙ্গ’ শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সভার সদস্য এনাম-উজ-জামান বিপুল। আলোচক ছিলেন সাবেক গভর্নর, অর্থনীতিবিদ ্ও রবীন্দ্রগবেষক ড. আতিউর রহমান। গভর্নর থাকাকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নে নেয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে ড. আতিউর বলেন, ঋণ পাওয়া কৃষকের অধিকার। কিন্তু কয়েক হাজার টাকার জন্য কৃষকের কোমরে দড়ি পড়ে। অথচ কয়েক হাজার কোটি টাকা লোপাটের জন্য কেউ শাস্তি পায় না। আড্ডা সঞ্চালনা করেন খামখেয়ালী সভার সভাপতি মাহমুদ হাশিম। খামখেয়ালি আড্ডায় সাংস্কৃতিক পর্বে রবীন্দ্রনাথের গান শোনান বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মহিউজ্জামান চৌধুরী ময়না ও শিল্পী মৌসুমী খান। তারা ‘মুখখানি কর মলিন বিধুর’, ‘বিদায় করেছ যারে নয়ন জলে’, ‘দিনের শেষে ঘুমের দেশে’সহ বেশ কিছু গান গেয়ে শোনান।
×