ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আজ বাংলাদেশ আফগানিস্তান ম্যাচ

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

আজ বাংলাদেশ আফগানিস্তান ম্যাচ

মিথুন আশরাফ ॥ দুইদিন আগেই আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। দুইদিন না যেতেই আবারও একই দলের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে মাশরাফিবাহিনী। আজ আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়াই করবে বাংলাদেশ। এর আগে এশিয়া কাপের গ্রুপপর্বে দুই দল পরস্পরের বিপক্ষে খেলেছে। এবার ‘সুপারফোরে’র ম্যাচে খেলবে। ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়া কাপে ভালভাবে টিকে থাকতে হলে আজ আফগানদের হারাতেই হবে বাংলাদেশকে। নয়তো আফগানিস্তানের কাছে ওয়ানডে ফরমেটের এশিয়া কাপে টানা তিন হারের সঙ্গে এবার এশিয়া কাপেও টানা তিন হার হবে। ২০১৪ সালের ওয়ানডে ফরমেটের এশিয়া কাপে প্রথমবার খেলে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের মাটিতে হওয়া এশিয়া কাপে আফগানদের কাছে হারে বাংলাদেশ। এরপর এবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে টুর্নামেন্টের গ্রুপপর্বে আফগানিস্তানের কাছে ধরাশায়ী হয়। পাত্তাই পায়নি। লড়াই শব্দটিই সেই ম্যাচটিতে প্রযোজ্য হয়নি। আফগানিস্তান ২৫৫ রান করার পর বাংলাদেশকে ১১৯ রানেই অলআউট করে দিয়েছে। ১৩৬ রানে হারে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুইবার মুখোমুখি হয়ে দুইবারই হারে বাংলাদেশ। এবার কী হবে? টানা তিন হার হবে, নাকি জয়ের স্বাদ মিলবে বাংলাদেশের? শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় পায় বাংলাদেশ। ১৩৭ রানে জিতে। সেই ম্যাচেই তামিম ইকবাল ইনজুরির পর টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েন। বাংলাদেশ দলের দুর্বিষহ স্মৃতির দিন যেন শুরু হয়ে যায়। নাজমুল হোসেন শান্তকে নামিয়ে কোন কাজ হয়নি। লিটন কুমার দাসও ফ্লপ! তাতে করে আফগানিস্তানের কাছে ধরাশায়ী হয় বাংলাদেশ। ‘সুপারফোরে’ নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছেও কুপোকাত হয়। ৭ উইকেটে হারে। এই ম্যাচে শুধু ওপেনাররাই নন, টপঅর্ডার ধসে পড়ে। এতটাই কাহিল অবস্থা হয় মিরাজ ও মাশরাফিকে দলের হাল ধরতে হয়। তাও মান রক্ষা করা পর্যন্তই। ২০০ রানও করতে পারেনি বাংলাদেশ। এক ম্যাচ জেতার পর টানা দুই হারে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ দল। এখন এবার এশিয়া কাপেও টানা তিন হারের মুখে মাশরাফি। সেই হার কী এড়ানো সম্ভব? মাশরাফি অবশ্য যে করেই হোক আফগানিস্তানকে এবার হারাতে চান। কিন্তু এটাও জানেন, কাজটা কত কঠিন। আফগানিস্তান শিবিরে যে রশিদ খান, মুজিব জাদরান, মোহাম্মদ নবী, গুলবাদিন নাইবের মতো সেরা সব বোলার রয়েছেন। যা করার তাই ব্যাটসম্যানদেরই যে করতে হবে, তাও জানিয়ে দেন মাশরাফি। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ শেষেই তিনি বলেন, ‘পরের ম্যাচ ভাল বোলারসমৃদ্ধ দলের (আফগানিস্তানের) বিপক্ষে। আমাদের ভাল ব্যাটিং করতে হবে।’ তা কী করতে পারবেন বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা? তা না করতে পারলে যে আবারও হার হবে। আর হার হলে যে টুর্নামেন্টে ভালভাবে টিকে থাকা যাবে না। টানা তিন হারে আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে পড়বে দল এবং দলের ক্রিকেটাররা। ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকারকে শেষ মুহূর্তে দলে যোগ করা হয়েছে। তাদের অন্তর্ভুক্তি এখন বাংলাদেশ দলের ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে পারলেই হয়।
×