ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ভিয়েতনামের বিপক্ষে জিততে আত্মবিশ্বাসী মারিয়ারা

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ভিয়েতনামের বিপক্ষে জিততে আত্মবিশ্বাসী মারিয়ারা

রুমেল খান ॥ জিতলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড বা সুপার এইটে খেলা নিশ্চিত। আর হারলে ভিন্ন গ্রুপের অন্য দলগুলোর খেলার ফলের ভিত্তিতে ‘সুখবরে’র অপেক্ষায় থাকতে হবে। এমনই সমীকরণ মাথায় নিয়ে আজ মাঠে নামছে বাংলার বাঘিনীরা। এএফসি অনুর্ধ-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে (‘এফ’ গ্রুপ) আজ তারা ‘অলিখিত’ ফাইনালে মোকাবেলা করবে প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ভিয়েতনাম দলের। ঢাকার কমলাপুর স্টেডিয়ামে বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এবং জমজমাট আকর্ষণীয় এই ম্যাচটি। আজকের এই ম্যাচটি যদি ড্র হয় তাহলে কোন অতিরিক্ত সময় খেলা না হয়ে সরাসরি টাইব্রেকারে চলে যাবে ম্যাচ। সেক্ষেত্রে বাইলজ অনুযায়ী কিন্তু ম্যাচের অফিসিয়াল ফল ‘ড্র’ই লেখা থাকবে। নিয়ম অনুযায়ী যে দলই হারুক না কেন, তারা প্রত্যেকেই লাভ করবে ১ পয়েন্ট করে। টাইব্রেকারের আয়োজিত হবে গ্রুপের শীর্ষ দল নির্ধারণ করার জন্য। বাংলাদেশ দল যদি টাইব্রেকারে হেরেও যায় তাহলেও তাদের পরের পর্বে যাওয়ার সুযোগ জিইয়ে থাকবে। সেটা সেরা দুই রানার্সআপ দলের একটি হিসেবে। সেক্ষেত্রে অন্য পাঁচ গ্রুপের খেলা শেষ হওয়া এবং গ্রুপগুলোর পয়েন্ট টেবিলের চূড়ান্ত অবস্থার ওপর নির্ভর করতে হবে। উল্লেখ্য, এএফসি অনুর্ধ-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে মোট ছয়টি গ্রুপ আছে। প্রতি গ্রুপে ৫টি করে মোট ৩০ দেশ খেলবে। ছয় গ্রুপের ছয় চ্যাম্পিয়ন এবং সেরা দুই রানার্সআপ দল মোট আটটি দল খেলবে দ্বিতীয় রাউন্ডে। এই আট দল থেকে সেরা চার দল খেলবে তৃতীয় এবং চূড়ান্ত পর্বে। এই পর্বে যোগ্যতা অর্জন করা চার দলের সঙ্গে সরাসরি খেলবে আগেই যোগ্যতা অর্জন করা আরও চার দেশÑ স্বাগতিক থাইল্যান্ড, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান। ‘এফ’ গ্রুপে টানা তিন ম্যাচ জিতে গ্রুপ সেরার লড়াইয়ে সবার ওপরেই আছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ২৫ বার বল পাঠিয়েছে বাংলার বাঘিনীরা। হারিয়েছে বাহরাইনকে ১০-০, লেবাননকে ৮-০ এবং আরব আমিরাতকে ৭-০ গোলে। এদিকে সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে একই স্থানে আছে ভিয়েতনামও। কাকতালীয়ভাবে দু’দলের গোল ব্যবধানও এখন সমান, তাছাড়া কোন দলই গোল হজমও করেনি! ভিয়েতনাম হারিয়েছে ৪-০ গোলে আমিরাতকে, ১৪-০ গোলে বাহরাইনকে এবং ৭-০ গোলে লেবাননকে। ফলে বুঝতেই পারছেন, বাংলাদেশ-ভিয়েতনামের গোল ও পয়েন্ট সবকিছু সমান হয়ে যাওয়াতে তাই এই ম্যাচটি পরিণত হয়েছে অঘোষিত ফাইনালে। শুক্রবার বাংলাদেশ আমিরাতকে সাত গোল দেয়ার দিনে ভিয়েতনামও লেবাননকে সাত গোল দেয়। দু’দলেরই নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ খেলার আগ পর্যন্ত ১৮টি করে গোল করে। তৃতীয় ম্যাচে দু’দলই ৭টি করে গোল করায় স্বাভাবিকভাবেই দু’দলের গোল ব্যবধান ও পয়েন্ট সমান হয়ে যায়। ফলে এভাবেই বাধে ঝামেলা। শুক্রবার গ্রুপপর্বে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিকরা যদি আরব আমিরাতকে আট গোল দিতে পারতো, তাহলে আজ কিছুটা নির্ভার হয়ে ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পারতো। কারণ গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকলে এক পয়েন্ট হলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে (সুপার এইটে) নাম লেখানোটা নিশ্চিত হয়ে যেতো। কিন্তু ওইপর্বে খেলতে হলে জয়ের বিকল্প নেই গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যাদের। সেটা কি আজ অর্জন করতে পারবে তারা?
×