নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া ॥ জুয়ার আসরে বাকবিতন্ডার জের ধরে চট্টগ্রামের পটিয়ায় এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই কৃষকের নাম মহিউদ্দীন খাঁন (৩৫)। তিনি উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর ছনহরা গ্রামের জেবল হোসেন খাঁনের পুত্র। এই ঘটনায় একই এলাকার জুয়াড়ি জাহেদুল হক (৩৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। সে আবদুল হকের পুত্র। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন। শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় উত্তর ছনহরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ঠেঁগরপুনি এলাকার খাল পাড়ে প্রায় প্রতিদিন একটি চক্র জুয়া খেলার আসর বসিয়ে থাকেন। জুয়া খেলার আসরে বাকবিতন্ডার জের ধরে উত্তর ছনহরা গ্রামের মইন্ন্যার মুদির দোকানের সামনে কৃষক মহিউদ্দীনের সঙ্গে এক দফায় মারামারি হয়। এর পর জুয়াড়ি শফি (৩৩) ও জুয়াড়ি জাহেদুল হকের নেতৃত্বে কয়েকজন মহিউদ্দীনকে ধাওয়া করে দাড়ালো রাম দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। তার চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে জুয়াড়ি জাহেদুল হককে আটক করে গণধোলায় দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। জাহেদুল হকও গুরুতর আহত হয়েছে। সে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহত মহিউদ্দীনের স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান রয়েছে। শনিবার রাতে পটিয়া থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে জুয়াড়ি জাহেদুল হককে জীবিত ও মহিউদ্দীনের লাশ উদ্ধার করে। গ্রামবাসী জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে ঠেঁগরপুনি এলাকায় জুয়া খেলার রমরমা আসর বসে আসচ্ছিল। টাকা ভাগাভাগি ও বাকবিতন্ডার জের ধরে মূলত এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে নিহতের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস অভিযোগ করেছেন, তার স্বামী মহিউদ্দীন পেশায় একজন কৃষক। টাকা হওলাদ চেয়ে না পেয়ে জুয়াড়িরা পরিকল্পিতভাবে তার স্বামীকে বসত ঘরের সামনেই কুপিয়ে হত্যা করেছে। পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক কামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, নিহতের লাশ উদ্ধার ও সুরতহাল রির্পোট শেষ করে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে লাশ পাঠানো হয়েছে। এই ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: