ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁয় স্বামীর অমানষিক নির্যাতনে গৃহবধু হাসপাতালে

প্রকাশিত: ০২:২১, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নওগাঁয় স্বামীর অমানষিক নির্যাতনে গৃহবধু হাসপাতালে

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ স্বামী ও স্বামীর বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের অমানষিক নির্যাতনে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এক অসহায় গৃহবধু। মোছাঃ ফিরোজা আখতার সেতু নামে ওই গৃহবধুর ৭ বছরের বিবাহিত জীবনে বহুবার এমন নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়েছে তার সরকারী চাকুরীজীবি স্বামী। কমপক্ষে ৫ বার এই গৃহবধুকে পুলিশ গিয়ে বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে বলে ওই গৃহবধু জানিয়েছে। ফিরোজা আখতার সেতু সদর উপজেলার চকপ্রাচী গ্রামের মাসুদ রানার কন্যা। রবিবার বিকেলে হাসাপাতালের বিছানায় শুয়ে ফিরোজা আখতার সেতু জানিয়েছে, গত ২০১২ সালে সদর উপজেলার হাপানিয়া সংলগ্ন নারচি গ্রামের মৃত আয়েজ উদ্দিনের পুত্র আব্দুর রহমান রকির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। রকি মৎস্য বিভাগে পত্নীতলা উপজেলা অফিসের একরজন এমএলএসএস। বিয়ের ৮/৯ মাস ভালো ছিল। তারপর থেকে নেমে আসে তার ওপর অমানষিক নির্যাতন। যৌতুকের দাবীতে প্রায়ই তাকে মারধর করতো। বিয়ের সময় যদিও আড়াইলাখ টাকা, আসবাবপত্র এবং গহনা দেয়া হয়েছে। তারপরও এই নির্যাতন বন্ধ হয়ন্। নির্যাতন করে মাঝে মাঝে ঘরে আটকে রাখতো। পুলিশ ৫ বার তাকে উদ্ধার করে সাবধান করে দিলেও কোন ফল হয় নি। কিন্তু যৌতুকের দাবী মেটাতে না পারলে নির্যাতনের পরিমান বেড়েই চলে। এরই এক পর্যায়ে শনিবার দিনগত রাত ১২টার তার ওপর নেমে আসে অসহ্য অমানষিক নির্যাতন। এ সময় গ্যাস সিলিন্ডার ব্লাষ্ট করে তাকে হত্যার হুমকী দেয়া হয়। ভাসুর রুস্তম আলী ও পরিবারের অন্য সদস্যর্ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নির্বিকার সে দৃশ্য দেখতে থাকেন। নির্যাতন বন্ধের কোন উদ্যোগ নেয় না। কোন রকমে সেখান থেকে পালিয়ে অন্যের সহযোগিতায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন সেতু। বর্তমানে সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
×