ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

চিরনিদ্রায় শায়িত ঢাকা উত্তরের প্যানেল মেয়র ওসমান গনি

প্রকাশিত: ০৪:৪৬, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 চিরনিদ্রায় শায়িত ঢাকা উত্তরের প্যানেল মেয়র ওসমান গনি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জনসাধারণের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ঢাকা উত্তর সিটির সদ্য প্রয়াত প্যানেল মেয়র ওসমান গনি। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে রবিবার বেলা পৌনে বারোটায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহ আনা হলে ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র-২ জামাল মোস্তফা, প্যানেল মেয়র-৩ আলেয়া সারোয়ার ডেইজী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলাম কফিন গ্রহণ করেন। এরপর বাদ জোহর তার প্রথম জানাজা গুলশান আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র সাঈদ খোকন, এ কে এম রহমত উল্লাহ এমপি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্যানেল মেয়র-২ জামাল মোস্তফা, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব হোসেন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলামসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী, মহানগর আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। জানাজার আগে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ প্রয়াত মেয়র সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করেন। এ সময় সাঈদ খোকন স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমার কিশোর বয়স থেকে আমি ওসমান গনি চাচাকে চিনি। তিনি একজন অত্যন্ত ভাল মানুষ। সদা হাস্যোজ্জ্বল মানুষটি সকল আন্দোলন-সংগ্রামে নিঃস্বার্থভাবে জনগণের জন্য কাজ করে গেছেন। এ কে এম রহমতউল্লাহ এমপি বলেন, মরহুম ওসমান গনি ছিলেন আমার রাজনৈতিক সাথী। তার সঙ্গে দীর্ঘদিন একসঙ্গে আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি। তিনি অত্যন্ত সৎ জীবন যাপন করতেন। তিনি ছিলেন সদালাপী ও মিষ্টভাষী মানুষ। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদ হাসান, প্যানেল মেয়র-২ জামাল মোস্তফা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলাম ও প্রয়াত প্যানেল মেয়রের ছেলে ব্যারিস্টার মিয়া মোহাম্মদ মাসুম গনি তাপস বক্তব্য রাখেন। প্রথম জানাজা শেষ হলে তার মরদেহ বেলা দুটায় গুলশানে নগর ভবনের সামনে রাখা হয়। এ সময় উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, কাউন্সিলর, মহানগর আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সর্বস্তরের মানুষও ফুল দিয়ে তাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। পরে বেলা তিনটায় তার মরদেহ তার বাড়ি ও নির্বাচনী এলাকা বাড্ডায় নিয়ে যাওয়া হয়। বাদ আছর দ্বিতীয় জানাজা আলাতুন্নেছা স্কুল ও কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এতে তার আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বাদ মাগরিব তাকে বনানী গোরস্তানে দাফন করা হয়। উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ে ফুসফুসের ক্যান্সার ধরা পড়ার পর তিনি গত ১৪ আগস্ট চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। শনিবার সকাল সাড়ে আটটায় সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী, ৪ পুত্র, অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর বাদ আছর ডিএনসিসির নগর ভবনে তার রুহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
×