ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ফারহানা হক অনি

কর্মজীবী মেয়েদের চুলের যত্ন

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 কর্মজীবী মেয়েদের চুলের যত্ন

অফিসের স্ট্রেইস আর সংসারের কাজের ভিড়ে নিজের জন্য একটু ‘মি টাইম’ বের করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। চুলের জন্য সময় বের করাত আরও টাফ। সকাল থেকে সন্ধ্যা বাইরে থেকে বাসায় ফেরার পর শরীরের ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আরেকটা দিন চলে আসে। উইকেন্ডে বাসার কাজ, শপিং, বেড়ানোর পর চুলের যত্ন নেয়ার টাইম থাকেই না বলতে গেলে। বাহিরে থাকলে রোদ, ধুলাবালির অত্যাচারে চুল হয়ে যায় রুক্ষ, শুষ্ক ও প্রাণহীন। এ সময় চুলের স্বাস্থ্য মেইনটেইন করার একমাত্র সল্যুশন হলো নারিকেল তেল। আমি গত ছয় মাস ধরে রেগুলার মোটরবাইকে অফিসে যাতায়াত করছি। আগে রাজ্যের ধুলাবালি চুলে আটকে যেত। রোদের তাপে পুড়ত আবার হাইস্পিডে গেলে বাতাসে চুল আলুথালু হয়ে জট বেঁধে থাকত। তখন আমি বাসায় গিয়ে তেল লাগিয়ে আস্তে আস্তে আঙ্গুল বুলিয়ে জট খুলতাম। এরপর কয়েক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করলেই চুল আবার ঝলমলে হয়ে যেত। কিন্তু পরদিনই আবার একই হাল হতো। আবার তেল লাগাও, আবার শ্যাম্পু করো! কিন্তু এত ঘন ঘন শ্যাম্পু করলে চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়ার কথা তাই না? কিন্তু প্যারাসুট তেল চুলে ডিপ কন্ডিশনিংয়ের কাজ করে বিধায় আমার চুল রুক্ষ হতে পারেনি। তবুও নিজের সেফটির পাশাপাশি রোদ আর ধুলো থেকে স্কিন আর চুলকে প্রটেক্ট করতে আমি হেলমেট ব্যবহার শুরু করি। কিছুদিন বেশ আরামে থাকলেও আমি নোটিস করা শুরু করি যে আমার চুল ও স্ক্যাল্প আগের চেয়ে খুব তাড়াতাড়ি অয়েলি হয়ে যাচ্ছে। আমার হেয়ার এবং স্ক্যাল্প নরমালি ড্রাই। তাই শুধু স্ক্যাল্প ও মাথার উপরিভাগের চুল অয়েলি আর বাকি চুল ড্রাই থাকছিল। এভাবে স্ক্যাল্প অয়েলি হয়ে যাওয়াটা আমার জন্য বেশ অস্বাভাবিক লাগলেও পরে বুঝতে পারি যে এর কারণ হেলমেটের ভেতর বেশি বাতাস ঢুকতে পারে না। এয়ার সার্কুলেশন ঠিকভাবে না হওয়ায় মাথা ঘেমে যায়। এই সামারে বাসায় ফেরার পর এমন স্ক্যাল্প নিয়ে থাকতে কার ভাল লাগবে বলুন? ফলাফল, আবারও শ্যাম্পু করা। কিন্তু এখন তেল দিয়ে আর শ্যাম্পু করার পাশাপাশি আমি চুলের আরেকটু যত্ন নেয়ার ট্রাই করি। সপ্তাহে কমপক্ষে ২দিন আমি মাথায় হেয়ার প্যাক লাগাই। আমার স্ক্যাল্পের ন্যাচারাল ড্রাইনেস আর ঘামের জন্য হওয়া অয়েলিনেস ব্যালেন্স করে চুলের শাইন ধরে রাখার জন্য কিছু হেয়ার প্যাক বানিয়ে আমি মাথায় লাগাই যার ৩টা আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। বাইকে যাতায়াত করেন বা না করেন, এই হেয়ার মাস্ক আর হোম রেমেডিগুলো যে কোন হেয়ার টাইপের সঙ্গে মানিয়ে যাবে। ১) হানি-লেমন মাস্ক যা যা লাগবে- ২ চা চামচ মধু ১ চা চামচ লেবুর রস ২ চা চামচ প্যারাসুট এ্যাডভান্সড কোকোনাট হেয়ার অয়েল একটা প্লাস্টিক বা মেলামাইনের বাটিতে সবকিছু মিক্স করে আঙ্গুল দিয়ে স্ক্যাল্পে এ্যাপ্লাই করবেন। আর চুলের আগায় শুধু তেল লাগাবেন। লেবুর রস স্ক্যাল্পকে ড্রাই করে ফেলে, তাই অবশ্যই তেল মিক্স করবেন এই হেয়ার মাস্কের সঙ্গে। এটা ২০-৩০ মিনিট রেখে চুল শ্যাম্পু ও কন্ডিশনিং করে ফেলতে হবে। ২) হোমমেইড প্রোটিন মাস্ক যা যা লাগবে- ডিমের কুসুম ১টি টক দই ২ চা চামচ ২ চা চামচ প্যারাসুট এ্যাডভান্সড কোকোনাট হেয়ার অয়েল প্রথম মাস্কের মতোই এটাও মিক্স করে মাথার স্ক্যাল্প ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। টক দইয়ের জন্য যাতে স্ক্যাল্প ড্রাই না হয়ে যায় এ জন্য আমি এতে প্যারাসুট কোকোনাট অয়েল আর ডিমের কুসুম মিক্স করেছি। ৩) আমলা-হেনা প্যাক যা যা লাগবে- মেহেদি আমলকী পাউডার ১ চা চামচ চায়ের লিকার ১ কাপ ২ চা চামচ প্যারাসুট এ্যাডভান্সড কোকোনাট হেয়ার অয়েল লাইফলেস অয়েলি হেয়ারকে ঝরঝরে এবং শাইনি করতে এই হেয়ার মাস্ক অনেক উপকারী। ১ কাপ চায়ের লিকারে মেহেদি গুঁড়া আর আমলা গুঁড়া ভিজিয়ে রাখতে হবে। আধা ঘণ্টা পর তাতে প্যারাসুট এ্যাডভান্স হেয়ার অয়েল মিশিয়ে মাথায় ১ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। এই হেয়ার মাস্ক চুলকে নারিশ করবে। ছুটির দিনে একটুখানি সময় নিজের জন্য বের করে নিলেই চুলের জন্য এনাফ। শত ব্যস্ততার ভিড়েও নিয়ম করে সপ্তাহে ২/১ বার হেয়ার প্যাক আর কমপক্ষে ৩ বার অয়েল ম্যাসাজ করলে চুল থাকবে হেলদি। আর হেলদি চুল মানেই স্ট্রং এ্যান্ড শাইনি চুল।অফিসের স্ট্রেইস আর সংসারের কাজের ভিড়ে নিজের জন্য একটু ‘মি টাইম’ বের করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। চুলের জন্য সময় বের করাত আরও টাফ। সকাল থেকে সন্ধ্যা বাইরে থেকে বাসায় ফেরার পর শরীরের ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আরেকটা দিন চলে আসে। উইকেন্ডে বাসার কাজ, শপিং, বেড়ানোর পর চুলের যত্ন নেয়ার টাইম থাকেই না বলতে গেলে। বাইরে থাকলে রোদ, ধুলাবালির অত্যাচারে চুল হয়ে যায় রুক্ষ, শুষ্ক ও প্রাণহীন। এ সময় চুলের স্বাস্থ্য মেইনটেইন করার একমাত্র সল্যুশন হলো নারিকেল তেল।
×