ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নাটোরের নলডাঙ্গায় কৃষি বিভাগের ৮শতক জমি ব্যবসায়ীদের দখলে

প্রকাশিত: ০০:৫৭, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নাটোরের নলডাঙ্গায় কৃষি বিভাগের ৮শতক জমি ব্যবসায়ীদের দখলে

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর ॥ নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি বিভাগের ৮ শতক জমি এখন ব্যবাসীদের দখলে। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কৃষি বিভাগের নির্দেশ অমান্য করে সরকারি এই জায়গাতে তোলা হয়েছে ব্যবসায়িক দোকান পাট। সর্বশেষ একই জায়গায় অবশিষ্ট প্রায় দুই শতক জমি দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাড় করানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রশাসন এই জায়গা থেকে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করলেও পুনরায় ব্যবসায়ীরা তা দখল করে ব্যবসা করছেন। এদিকে সরকারি জায়গাটি দখলে নিতে রীতিমত শিমশিম খাচ্ছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। তবে জায়গাটি দখলমুক্ত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম। উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম আরো জানান, ব্যবসায়ীদের কাছে অবৈধভাবে দখলে থাকা জমিটি উদ্ধারের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। রাজনৈতিক কারনেই মূলত দখল নিতে সমস্যা হচ্ছে। তবে জমিটি উদ্ধারে একটি সমন্বিত উদ্যেগ গ্রহন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খাজুরা ইউনিয়নের খাজুরা বাজারের প্রবেশ মুখে খাজুরা মৌজায় ৩ নং খতিয়ানের ৩০৫৪ দাগে মোট ৮ শতক জমির উপর পূর্বে কৃষি বিভাগের একটি গোডাউন ঘর ছিল। গোডাউনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় তা পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। সেই সুযোগে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ওই জমির উপর দোকান পাট বসিয়ে ব্যবসা করছিল। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অবৈধভাবে তৈরীকৃত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্ছেদ করা হলে পরবর্তীতে তা আবার ব্যবসায়ীদের অবৈধ দখলে চলে যায়। সম্প্রতি সেখানে মোট ৮ শতক জমির মধ্যে প্রায় ৬শতক জমির উপর ৪/৫টি দোকানঘর ছিল। কৃষি বিভাগের নির্দেশ অমান্য করে বাকী প্রায় ২ শতক জমির উপর টিনের বেড়া ও টিনের চালা দিয়ে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠে খাজুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মিনাজুল আবেদিন মিঠুনের বিরুদ্ধে। এদিকে সরকারি এই জমির অবৈধ দখল উচ্ছেদে সকলের সহযোগীতা কামনা করেছে কৃষি বিভাগ। তবে ছাত্রলীগের নেতা মিনাজুল আবেদিন মিঠুনের দাবী করে বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও নাটোর ২ আসনের সাংসদের অনুমতি নিয়ে সেখানে আমি দোকান ঘর নির্মাণ করছি। খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান অনুমতি দেয়ার কথা অস্বীকার করে জানান, কৃষি বিভাগের জায়গায় দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। তবে কৃষি অফিসার আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে এসে জায়গাটি দখল বন্ধের সহযোগিতা চাইলে আমি বলেছি আপনারা উচ্ছেদের উদ্দ্যেগ নেন আমি সহযোগিতা করবো।
×